ক্রমাগত প্রাকৃতিক নিয়ম লঙ্ঘন করলে দেহ ও মনের মধ্যে যে সমন্বয়হীনতা তৈরি হয়, সেটাই ‘রোগ’! যদিও প্রাথমিক অবস্থায় কোনো রোগই তেমন ক্ষতিকর নয়, কেননা রোগ প্রতিরোধের সকল সক্ষমতা প্রাকৃতিক নিয়মে দেহের ভেতরেই বিদ্যমান। কিন্তু মানুষ যখন ভুলভাল জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাস অব্যাহত রাখে, রোগ তখনি প্রবলভাবে জাপটে ধরে- যেখান থেকে অনেকেই আমৃত্যু ছাড়া পায় না!
সৃষ্টির শুরু থেকে মানুষের চিকিৎসা ছিল প্রকৃতি নির্ভর। সে কারণে ঘটনাক্রমে কেউ অসুস্থ হলেও প্রকৃতির সহযোগিতা নিয়ে খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতো, কিন্তু যখন থেকে রোগমুক্তির জন্য প্রকৃতিকে উপেক্ষা করে মানুষ কৃত্রিম পদ্ধতির দিকে ঝুঁকে পড়েছে, তখন থেকেই বিপর্যয়ের সূচনা। মানুষ তার ভুল বুঝতে পেরে প্রকৃতির কাছে ফিরে গেলে আবার সুরক্ষা পাবে, কিন্তু প্রকৃতি-বিরুদ্ধ নিয়মে চললে ভুলের মাত্রা ক্রমশ বাড়তেই থাকবে। চলমান ড্রাগ নির্ভর চিকিৎসা ব্যবস্থা স্রষ্টা প্রদত্ত মহামূল্যবান মানবশরীর নিয়ে কেবল ব্যবসাই করছে, কিন্তু কাউকে পুরোপুরি সুস্থ করে তুলতে পারছে না। কেমিক্যাল নির্ভর চিকিৎসা ব্যবস্থার মধ্যে একটিবার ঢুকে গেলে রোগীর চূড়ান্ত নিষ্কৃতিও মিলছে না। অথচ মানুষের সুস্থতার জন্য আলাদাভাবে কোনো ওষুধের প্রয়োজন নেই, খাদ্যই পথ্য তথা চিকিৎসা। সব ওষুধ আছে প্রকৃতিতে, আপনার সুস্থতা আপনারই হাতে।
মানবদেহ আসলে তাই- যা আমরা খাই; আমাদের দেহ মূলত রূপান্তরিত খাদ্য। সেটা যদি সঠিকভাবে নির্বাচন করে, সঠিক সময়ে, সঠিক নিয়মে, সঠিক পরিমাণে দেহাভ্যন্তরে ঢোকানো যায়, তাহলে মানবদেহ আমৃত্যু সুস্থ থাকবে। কিন্তু উল্টাপাল্টা খাবার খেলে আর আবোলতাবোল জীবনযাপন করলে মৃত্যুর নির্ধারিত ক্ষণ ঘনিয়ে আসার অনেক আগেই যেনতেন প্রকারে বেঁচে থাকতে হবে- যেটাকে সত্যিকারের বেঁচে থাকা বলে না!
আমরা যদি চিকিৎসার নামে মানবশরীরে কেমিক্যাল (ড্রাগ) ঢোকানো বন্ধ করতাম, তাহলেও অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যগত সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারতাম! বনের প্রাণীরা প্রাকৃতিক খাবার সরাসরি খায় বলেই সুস্থ থাকে, কিন্তু মানুষ সভ্য হওয়ার নামে প্রাকৃতিক খাবার জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে নানাভাবে বিকৃত করে খায় বলে অসুখ-বিসুখের হাত থেকে নিস্তার পাচ্ছে না!
মানবদেহ মাটি আর পানির সমন্বয়ে তৈরি। সেই দেহের ভেতরে যতক্ষণ বাতাস আনাগোনা করে, ততক্ষণই প্রাণ থাকে। তার মানে মাটি-পানি-বাতাসের সমন্বয়ে তৈরি মানুষের খাবারও মূলত তিনটি- কঠিন, তরল আর বায়বীয়। এই তিন খাবারের সুসমন্বয় হলে মানুষ আমৃত্যু সুস্থ ও সবল থাকবে। প্রকৃতির পূর্ণ সহযোগিতা নিয়ে প্রাকৃতিক রীতি-নীতি মেনে খাবার খেলে পার্থিব কোনো রোগ আমাদেরকে ছুঁতেই পারবে না! কিন্তু তিন খাবারের মধ্যে সমস্যা হলে/থাকলে মানবদেহ দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়বে এবং শরীর একটিবার বিগড়ে গেলে আবার তাকে সুস্থতার পথে ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত কঠিন। বিস্তারিত জেনে, বুঝে, মেনে চলার জন্য বইটি শুধু পাঠ্য নয়, অবশ্যই সংগ্রহে রাখার মতো।
Sab Ausadha Prakrtite Susthata Nijer Hate,Sab Ausadha Prakrtite Susthata Nijer Hate in boiferry,Sab Ausadha Prakrtite Susthata Nijer Hate buy online,সব ঔষধ প্রকৃতিতে সুস্থতা নিজের হাতে,সব ঔষধ প্রকৃতিতে সুস্থতা নিজের হাতে বইফেরীতে,সব ঔষধ প্রকৃতিতে সুস্থতা নিজের হাতে অনলাইনে কিনুন,Sab Ausadha Prakrtite Susthata Nijer Hate Ebook,Sab Ausadha Prakrtite Susthata Nijer Hate Ebook in BD,Sab Ausadha Prakrtite Susthata Nijer Hate Ebook in Dhaka,Sab Ausadha Prakrtite Susthata Nijer Hate Ebook in Bangladesh,Sab Ausadha Prakrtite Susthata Nijer Hate Ebook in boiferry,সব ঔষধ প্রকৃতিতে সুস্থতা নিজের হাতে ইবুক,সব ঔষধ প্রকৃতিতে সুস্থতা নিজের হাতে ইবুক বিডি,সব ঔষধ প্রকৃতিতে সুস্থতা নিজের হাতে ইবুক ঢাকায়,সব ঔষধ প্রকৃতিতে সুস্থতা নিজের হাতে ইবুক বাংলাদেশে,Sab Ausadha Prakrtite Susthata Nijer Hate by Shahid Ahmed,শহিদ আহমেদ এর সব ঔষধ প্রকৃতিতে সুস্থতা নিজের হাতে
শহিদ আহমেদ এর সব ঔষধ প্রকৃতিতে সুস্থতা নিজের হাতে এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 524.25 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Sab Ausadha Prakrtite Susthata Nijer Hate by Shahid Ahmedis now available in boiferry for only 524.25 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন |
হার্ডকভার | ৩২০ পাতা |
প্রথম প্রকাশ |
2023-02-20 |
প্রকাশনী |
অদম্য প্রকাশ |
ISBN: |
|
ভাষা |
বাংলা |
লেখকের জীবনী
শহিদ আহমেদ (Shahid Ahmed)
কোনো ওষুধ ছাড়াই শুধুমাত্র প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে জটিল রোগে আক্রান্ত সহস্রাধিক মৃত্যু পথযাত্রীকে সুস্থ্যতার পথ দেখিয়ে তুলে চমক সৃষ্টি করেছেন শহিদ আহমেদ- দাদাভাই নামে যিনি সমাধিক পরিচিত। পেশাগত জীবনে ছিলেন পাটকলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা- চিকিৎসাবিজ্ঞানের সঙ্গে কোনোকালেই ছিল না তাঁর ন্যূনতম সংশ্লিষ্টতা, এ বিষয়ে নেই কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাও; অথচ এই মানুষটিই ক্যান্সার, কিডনি বিকল, উচ্চ রক্তচাপ ও উচ্চ মাত্রার ডায়বেটিসসহ নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত শত শত রোগীকে কোনোপ্রকার ওষুধ ছাড়াই শুধু প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে স্রষ্টার অশেষ কৃপায় সুস্থ করে তুলে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন!
আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান তথা দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা ডাক্তারগণ যেসব মরণাপন্ন রোগীর হাল ছেড়ে দেন, সেইসব নিশ্চিত মৃত্যু পথযাত্রীকে শুধুমাত্র প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে আবার সুস্থ্যতার পথ দেখান তিনি। রোগীরা আবার ফিরে পান সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন। আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব এ রকম ঘটনা একটি বা দু’টি নয়, শত শত।
বিগত তিন দশকে নীরবে-নিভৃতে প্রাকৃতিক নিয়মে সুস্থ হওয়ার অসংখ্য নজীর সৃষ্টিকারী শহিদ আহমেদ ওরফে দাদাভাইয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে সেবা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন দেশের অনেক শিল্পপতি, শীর্ষস্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও খ্যাতিমান বিত্তশালী ব্যক্তিগণ- যাঁরা এর আগে অনেক অর্থ ব্যয় করে দেশ-বিদেশে চিকিৎসা নিয়েও সুস্থতার কূল-কিনারা করতে পারছিলেন না, কিন্তু দাদাভাইয়ের পরামর্শ মেনে তাঁরাই আবার ফিরে পেয়েছেন সুস্থ জীবন!
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তবর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলায় এমন অনেক জ্ঞানী ও গুণীজন জন্মগ্রহণ করেছেন- যাঁরা নিজেদের কর্মগুণে আপামর জনসাধারণের জীবনাচরণ, সমাজজীবন তথা মানবজীবনকেই ভাস্কর করে চলেছেন। যে কীর্তিমান মানুষগুলো জাতীয় প্রেক্ষাপটে গভীরভাবে ছায়াসম্পাত করেছেন, গড়ে তুলেছেন আমাদের জীবনের অভিমুখ এবং অবধারিতভাবে হয়ে হয়ে উঠেছেন ইতিহাসের নায়ক, তাঁদেরই একজন এই শহিদ আহমেদ। এই প্রকৃতি-প্রেমী বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় অবস্থান করে তাঁর বিশেষ কর্ম বা সৃষ্টির দ্বারা সামষ্টিক জীবনে অবদান রেখে চলেছেন।
শহিদ আহমেদ ১৯৪২ সালের ২৩ আগস্ট চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার বন্ডবিল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা শামসুদ্দীন আহমেদ, মা ফাতেমা খাতুন। পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়। ছেলেবেলা কেটেছে বন্ডবিল গ্রামে। প্রথমে আলমডাঙ্গা হাইস্কুলে পড়াশোনা করলেও মেট্রিক পাস করেন ১৯৫৮ সালে রাজবাড়ির আর.এস.কে ইনস্টিটিউট থেকে। তারপর কুষ্টিয়া কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও খুলনার বিএল কলেজ থেকে স্নাতক (বিএসসি) সম্পন্ন করে ১৯৬৪ সালে ক্রিসেন্ট পাটকলে চাকরিজীবন শুরু করেন। পর্যায়ক্রমে চারটি পাটকলে চাকরি করে ১৯৮৫ সালে ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। তাঁর একমাত্র ছেলে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কোর-এর কর্নেল আহমেদ শরীফ, পুত্রবধূও সেনাবাহিনীর মেজর। একমাত্র মেয়ে সানথিয়া আইরিন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুষ্টিবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।