বকুলের ইচ্ছে ছিল বাইরে যাবে। তবে কড়া পাহারার জন্য বাইরে যেতে পারছে না। তার বিষয়ে যে সব ঘটনা শােনা যাচ্ছে, তার শাস্তিসরূপ এই আদেশ। তবে খুব কড়া আদেশ নয়। তার মনােভাব দেখে যে কোন সময় আদেশ শিথিল করা হবে। ছেলের কাণ্ডকারখানা মারাত্মক। এই নিয়ে অনেকে অভিযােগ করেন। আজ এসেছেন একজন সন্ধ্যেবেলা। বকুলের বাবাকে বলতে চাইছেন, আপনার ছেলেকে সামলান ভাই। সে যেসব কাণ্ড করে বেড়াচ্ছে, ভ্রুক্ষেপ তাে কিছুই করছেন না। ভ্রুক্ষেপ না করলে পারবেন সামলাতে? হঠাৎ বিপদ ঘটায়ে ফেললে, তখন? এই ধরনের চিন্তা থেকে আসলাম। নিজের বিবেক কথা বলে উঠলাে। আচ্ছা, ছেলেদের কখনাে নিজেদের ইচ্ছামত চলতে দেয়া কি উচিত? বলেন তাে? আমার হিসাবে উচিত্ না । কারন তারা অবুঝ। ব্যাপারটা ঠিক কি না। কোনটা ভালাে কোনটা মন্দ এটা তারা বােঝে না। বােঝে না বলেই বিপদ! ছেলে যখন মারাত্মক দোষ করে ফেলবে, তখন মানুষ কি শুধু ছেলেকেই দোষ দিবে, বাবাকে একটুও দোষ দিবে না? আমার কথা এতটুকু। এর বেশি না। আমার মনে যতটুকু তােলপাড় হয়েছে, ততটুকুই বললাম। এই বলে তার বিশাল বর্ণনা থামিয়ে রাখলেন। জয়নাল সাহেব ডাক্তার সাহেবের চেয়ে বয়সে বড়। তাকে তিনি বিশেষ মান্য করেন। অর্থাৎ এই ধরনের অভিযােগ অন্য কেউ করলে তার খবর ছিল। কিন্তু তার বেলায় সেটা হচ্ছে না। কারন তিনি তার সাহচর্য পছন্দ করেন। কাছে রাখতে চান। জয়নাল সাহেব এ কথা জানেন। জানেন বলে তার সাহসটা একটু বেশি।