র ভােরে সুবিমলের ফোনটা এল, নীলাঞ্জন তাড়াতাড়ি চলে আয়, জরুরি কথা আছে তাের সঙ্গে। আর হ্যা ব্রেকফাস্ট কিন্তু দুজনে একসঙ্গেই করব। দেরি করিস না। | মনে মনে অবাক হ'ল নীলাঞ্জন। কী যেন কাজে দিন সাতেকের জন্য চাইবাসায় গিয়েছিল সুবিমল। এত তাড়াতাড়ি ফেরার কথা নয়। ওর বন্ধু যতীন সিনেমা বানাবে। স্পট নির্বাচন করতে ওকে সঙ্গে নিয়ে গেছে। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি ফিরে এল কেন ? হঠাৎই কী এমন জরুরী আলাপ ? এক ধরনের কৌতুহল অনুভব করে নীলাঞ্জন। সকাল সাতটায় সুবিমলের বাড়ি পৌঁছে যায় নীলাঞ্জন, কীরে বন্ধু সকাল সকাল এত জরুরি তলব ? ব্যাপার খানা কী ? বােস, বলছি। আগে একটু জিরিয়ে নে। নীলাঞ্জন, তাের তাে আরাে কিছুদিন চাইবাসায় থাকার কথা, হঠাৎ চলে এলি ? সুবিমল, বন্ধু আমি ওখানে অদ্ভুত এক জিনিস দেখলাম। এমন জিনিস আগে কখনও দেখিনি। ওটা দেখার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লাম, জ্বর এসে গেল, আমি আর থাকতে পারলাম না। বলতে গেলে এক রকম পালিয়ে এলাম। যতীন আমার সঙ্গে ছিল। যতীনও চলে এসেছে। তবে আমি যা দেখেছি তার সিকির সিকি ভাগও দেখেনি ও। বেশ রহস্যের গন্ধ পাচ্ছি তা জিনিসটা কী ? নীলাঞ্জন জানতে চায়। সুবিমল, হ্যা রহস্যতাে বটেই। তবে আগে ব্রেকফাস্টটা সেরে নেই। রহস্য আরাে একটু ঘনীভূত হােক।