চিরাচরিত ভাষ্য অনুসারে প্রতীকী ন্যায়শায়ে অবরােহী যুক্তি পৃথক দু'ভাগে বিভক্ত। যথা । ৮নিক যুক্তি ও বিধৈই যুক্তি। বাচনিক যুক্তিই প্রচলিত নাম সত্যাপেক্ষিক যুক্তি। সত্যাপেক্ষিক খুকি আলোচিত হয়। বাচনিক কলনে, আর বিধেয় যুক্তির আলােচনার প্রধান ক্ষেত্র বিধেয় কলন। বাচনিক যুক্তির বিশদ আলােচনা পাওয়া যাবে প্রতীকী ন্যায়শাসের ওপর লিখিত বর্তমান লেখকের প্রতীকী খুবিদা । বাসনিক কম্পন শীর্ষক গ্রহে। আর বিধেয় যুক্তি আলোচিত হয়েছে বর্তমান এতে। অবশ্য বিধেয় মুক্তির পর্ণাঙ্গ চিত্র বর্তমান এতে পাওয়া যাবে না। এর পর্ণাঙ্গ চিত্র পাওয়া যাবে লেখকের পরবর্তী আছে। এখানে লেখক নিয়ে কি একটা সরল ভাষ্য উপস্থাপন করেছেন মাত্র। নিধেয় কলনের প্রাথমিক বিষয়গুলােই কেবল বর্তমান গ্রন্থে আলােচিত হয়েছে। এদিক থেকে বর্তমান গ্রন্থকে বিধেয় কশনের একটি সংক্ষিপ্ত রূপরেখা বলে আখ্যায়িত করা যায়। বিধেয় যুক্তি আকার উদ্ধার, এ ধরনের যুক্তি প্রতীকায়ন এবং বৈধতা প্রমাণে নেন ? কীভাবে। যুক্তির আন্তর গঠন ও অভ্যন্তরীণ কাঠামো বিশ্লেষণ করতে হয়। এ ব্যাপারে বিশদ আলোচ• পাওয়া যাবে। বর্তমান গ্রন্থে। মােট পাঁচটি অধ্যায়ে বিন্যস্ত করে বর্তমান গ্রন্থের বিষয়বস্তুকে সহজ, সরল ও অনবদ্য ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে। বিধেয় কানের সাথে সম্পৃক্ত প্রাথমিক বিষয়গুলাে উপস্থাপিত হয়েছে প্রথম অধ্যায়ে। এই বিষয়গুলাে আয়ত্ত করতে পারলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার্থী এবং অনুসন্ধিৎসু পাঠক-পাঠিকারা বিধেয় নকলন সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারণা লাভ করতে পারবেন বলে আমরা মনে করি। দ্বিতীয় অধ্যায়ে আলোচিত হয়েছে সার্বিক মাণক এবং সাত্তিক মিণকের পারস্পরিক সম্পর্ক। তৃতীয় অধ্যায়ের আলােচিত বিষয় মাণকত্মিক যুক্তিবিধি ও তাদের প্রয়োগ কৌশল। মাণকাক যুক্তির অবৈধতা প্রমাণের কৌশল বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যাত হয়েছে চতুর্থ অধ্যায়ে। সব শেষে পঞ্চম অধ্যায়ে আলােচিত হয়েছে মাধ্যমিনুমানের আকারবহির্ভূত মাণকাত্মক যুক্তির বৈধতা ও অবৈধতা। এভাবেই সহজ, সরল ও পর্যাপ্ত উদাহরণের আলােকে বিপে কলনের প্রাথমিক বিষয়গুলাে তুলে ধরা হয়েছে প্রতীক্সী যুক্তিবিদ্যা । প্রারম্ভিক বিধেয় কলন শীর্ষক বর্তমান আছে। একই লেখকের ন্যায়শাস্ত্রের ওপর লিখিত পূর্ববর্তী দুটি গ্রন্থের মতো বর্তমান গ্রন্থটিও পাঠকনন্দিত হবে বলে আমাদের ঐকান্তিক আশা ও বিশ্বাস।