প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস জেন অস্টিনের অন্যতম প্রধান উপন্যাস। অষ্টাদশ শতাব্দীর অভিজাত ইংজেদের যে চিত্র উপন্যাসটিতে প্রতিফলিত হয়েছে, তা শুধু ব্যঙ্গাত্নকই নয়, যথেষ্ট হৃদয়গ্রাহীও বটে। লেডি ক্যাথেরিনের মতো জমিদারপত্নীরআভিজাত্যের অহংকার ,ক্যারোলিনের মতো উচ্চবিত্ত ঘরের মেয়েদের আরো ধনী ঘরে বিয়ের জন্য যে প্রাণান্তকর চেষ্টা, তা অনেকেরই হাসির উদ্রেক করবে । মি. হার্স্ট যেন ঐ অভিজাত শ্রেণীটির সঠিক প্রতিভূ। মি. বেনেটের পরিবারটি যেন ইংরেজ অভিজাত শ্রেণীর জন্য একটি সমস্যা। অর্থবিত্তের দিক দিয়ে তারা সচ্ছল নয়। কিন্তু পরিচয় দিতে হবে অভিজাত বলে। মি. বেনেট তার খালার নিকট থেকে দানসূতে একটি বড় সম্পত্তির মালিক হন। কিন্তু উইলের শর্ত ছিল, মি. বেনেটের কোন পুত্র সন্তান নাহলে, তার মৃত্যুর পর ঐ সম্পত্তির মালিক হবে তার অন্য এক (তুতো) ভাইয়ের পুত্র। একটি পুত্র সন্তানের আশায় মিসেস বেনেট পর পর পাঁচটি কন্যা সন্তান জন্ম দিয়ে শেষে বুঝতে পারলেন, তাদের কোন পুত্রভাগ্য নেই। অথচ একটি পুত্র সন্তান না হলে , মি. বেনেটের কন্যারা, তার মৃত্যুর পর ঐ সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবে। মিসেস বেনেট ঐ হৃদয়হীন শর্তটির জন্য মনে মনে সব সময় তার খালা শাশুড়িকে অভিশাপ দেন।
উপন্যাসটির মূল ঘটনা যেন আবর্তিত হয়েছে ডার্সি ও লিজাকে নিয়ে। ডার্সি ধনী জমিদার পিতার শিক্ষিত এবং একমাত্র পুত্র।পিতার অবর্তমানে জমিদারির মালিক। সে অহংকারী হলেও অমিতব্যয়ী নয়। সে অসচ্ছল ও সংকীর্ণমনা। তাকে যেন শেখানোই হয়েছে সাধারণ মানুষকে অর্থ্যাৎ প্রজাদের ঘৃণা করতে হবে।
লিজা বেনেট পরিবারের এক ব্যতিক্রম। সে অসচ্ছল অভিজাত ঘরের বুদ্ধিমতী মেয়ে। পিতার দুর্বল শাসনের সুযোগ নিয়ে পরিবারের ছোট গেয়েগুলো হয়ে উঠেছে বেয়াড়া, যা লিজাকে সব সময়ই পীড়া দেয়। সে সব কিছু সহজে গ্রহণ করতে চায় না। ডার্সির প্রতি প্রথম তার যে প্রেজুডিস ছিল, পরে সে তা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়। ডার্সি এক সময় যে প্রাইড বা অহংকার ছিল, লিজার সংস্পর্শে এসে সেও তা পরিত্যাগ করে। ডার্সির প্রাইড আর লিজার প্রেজুডিসই উপন্যাসটির নামকরণের বিষয়।
জেন অস্টেন এর প্রাইড এন্ড প্রেজুডিস এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 280.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Pride And Prejudice by Jane Austenis now available in boiferry for only 280.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.