জমজমাট গল্প পড়তে কার না ভালাে লাগে? আর এই ভালােলাগায় যদি মেশে পাহাড়ের নীল ছায়া, পরীর ডাগর চোখের মায়া এবং পিয়ানাের শব্দ তােলা জলের আয়নায় পড়া নিজের কায়া, তাহলে । তিরিশ বছর আগে প্রকাশিত তার প্রথম গ্রন্থ “আকাশ কুসুম থেকে নিয়ে এই মুঠোফোনের যুগে হালি সাম্প্রতিক পরানপুরের পরী" সে সাক্ষ্যই দেবে। টান টান ভাষায় রুদ্ধশ্বাস এবং অবশেষে দীর্ঘশ্বাস. তার গল্প পাঠের এ অভিজ্ঞতা পাঠক মাত্রই জানেন। সনাতন ধারায় তিনি গল্প লেখেন না। কারণ পাঠকদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ যারা, তার মতে : তারা আগামীদিনের চালক। সুতরাং বানানাে গল্প ফেঁদে তাদের কাছ থেকে অহেতুক ৭। শত তিনি আগ্রহী নন। পরানপুরের পরী'র প্রধান চরিত্র পরী তাই ডানা মেলে উড়তে পারে না! কিন্তু তার হাসি ও ব্যক্তিত্ব, মন ও মমতা, সাহস ও সৌন্দর্য, বন্ধুদের মাঝে তাকে পরীতে পরিণত করে। নীল পাহাড়ের রানীকে কখনাে দেখেনি কেউ। সেই সুরমা রানীর অপেক্ষায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সমীর । অথচ শাস্তি মনে মনে তাকেই যেন দেখতে পায়, যে রানী স্বপ্ন দেখেছিলেন : একদিন মাছের আধার হবে সুরমা নদী । রাজ্য জুড়ে বাদুড়'- কার অভিশাপে? গল্প পড়তে পড়তে যে কারও মনে হতে পারে, ঘটনাগুলাে যেন লর । অথচ হাজারাে বছর আগে ঘটে যাওয়া নারী। রাজ্যের এসব ঘটনা এখন ইতিহাসের অংশ। ইতিহাস, কিংবদন্তি ও কল্পনার মিশেলে গড়ে তােলা এ রকম গল্প আমাদের সাহিত্যে খুব বেশি নেই। আজ থেকে সাইত্রিশ বছর আগে একটি নতুন দেশের অভ্যুদয় আমাদের ইতিহাসের জ্বলজ্বলে এক অধ্যায় । লাখাে মানুষের রক্তে অর্জিত এ দেশের জন্যে অকাতরে প্রাণ দিয়েছিল আরাে একজন গ্রেনেড বাচ্চু'। আজো তার মৃত্যুর রহস্য উন্মোচন করতে পারেনি কেউ! জাপানের বিশিষ্ট ঐতিহাসিক ইয়াসুনারি মিকিগাওয়া কী পেরেছিলেন? এরকম অসংখ্য প্রশ্ন ও প্রত্যুত্তর মিলবে বাকি চারটি গল্পে। মিলবে নতুন প্রান্তর, যার কাছাকাছি যেতে পাঠক মাত্রই আগ্রহী। আটটি গল্প নিয়ে এই গ্রন্থ তাই ভিন্নমাত্রার বর্ণিল এক কৃত্য।