Loading...

পন্ডিত মশাই (হার্ডকভার)

স্টক:

১০০.০০ ৭৫.০০

কুঞ্জ বােষ্টমের ছােট বােন কুসুমের বাল্য-ইতিহাসটা এতই বিশ্রী যে, এখন সে-সব কথা স্মরণ করিলেও, সে লজ্জায় দুঃখে মাটির সহিত মিশিয়া যাইতে থাকে। যখন সে দু'বছরের শিশু তখন বাপ মরে, মা ভিক্ষা করিয়া ছেলে ও মেয়েটিকে প্রতিপালন করে। যখন পাঁচ বছরের, তখন মেয়েটিকে সুশ্রী দেখিয়া, বাড়ল গ্রামের অবস্থাপন্ন গৌরদাস অধিকারী তাহার পুত্র বৃন্দাবনের সহিত বিবাহ দেয়; কিন্তু বিবাহের অনতিকাল পরেই কুসুমের বিধবা-মায়ের দুর্নাম উঠে, তাহাতে গৌরদাস কুসুমকে পরিত্যাগ করিয়া ছেলের পুনর্বার বিবাহ দেয়। | কুসুমের মা, দুঃখী হইলেও, অত্যন্ত গর্বিতা ছিল। সেও রাগ করিয়া কন্যাকে স্থানান্তরে লইয়া গিয়া, সেই মাসেই আর একজন আসল বৈরাগীর সহিত কন্যার কণ্ঠীবদল-ক্রিয়া সম্পন্ন করে; কিন্তু ছয় মাসের মধ্যেই এই আসল বৈরাগীটি নিত্যধামে গমন করেন। তবে ইনি কে, কোন্ গ্রামে বাড়ি, তাহা একা কুসুমের মা ছাড়া, আর কেহই জানিত না, কুঞ্জও না। তাহার মা, কাহাকেও সঙ্গে লইয়া যায় নাই। কণ্ঠীবদল ব্যাপারটা সত্য, কিংবা শুধুই রচনা, তাহাও কেহ নিশ্চয় করিয়া বলিতে পারি না। এত কাণ্ড কুসুমের সাত বৎসর বয়সেই শেষ হইয়া যায়। সেই অবধি কুসুম বিধবা। সংক্ষেপে এই তাহার বাল্য-ইতিহাস। এখন সে ষােল বৎসরের যুবতী,—তাহার দেহে রূপ ধরে না। যেমনই গুণ, তেমনই কর্মপটুতা, আবার লেখাপাড়াও জানে। খুব বড়লােকের ঘরেও বােধ করি তাহাকে বেমানান দেখাইত না। এদিকে বৃন্দাবনের বাপ মরিয়াছে, দ্বিতীয় স্ত্রী মরিয়াছে; তাহার বয়সও পঁচিশছাব্বিশের অধিক নয়। এখন সে কুসুমকে ফিরিয়া গ্রহণ করিতে চাহে। সে কুঞ্জকে পঞ্চাশ টাকা নগদ, পাঁচ জোড়া ধূতি-চাদর এবং কুসুমকে পাঁচ ভরি সােনা ও একশ' ভরি রূপার অলঙ্কার দিতে স্বীকৃত। দুঃখী কুঞ্জনাথ লােভে পড়িয়াছে। তাহার বড় ইচ্ছা কুসুম সম্মত হয়; কিন্তু কুসুম সে কথা কানেও তােলে না। কেন তাহা বলিতেছি;—ইহাদের বাপ-মা নাই। ভাই-বােন যে দুখানি ক্ষুদ্র কুটীরে বাস করে, তাহা গ্রামের ব্রাহ্মণপাড়ার ভিতরেই। শিশুকাল হইতেই কুসুম ব্রাহ্মণকন্যাদের সঙ্গেই বাড়িয়া উঠিয়াছে, একত্রে হর পণ্ডিতের পাঠশালে পাড়িয়াছে, খেলাধূলা করিয়াছে। আজিও তাহারাই তাহার সঙ্গীসাথী। তাই এসব প্রসঙ্গেও তাহার সর্বাঙ্গ ঘৃণায় লজ্জায় শিহরিয়া উঠে। ম্যালেরিয়া এবং ওলাউঠা-প্রপীড়িত বঙ্গদেশে বিধবা হইতে বিলম্ব হয় না। তাহার বাল্যসখীদের অনেকেই, তাহার মত হাতের নােয়া ও সিঁথির সিঁন্দুর ঘুচাইয়া, আবার জন্মস্থানে ফিরিয়া আসিয়াছে; ইহারা কেহ তাহার মকর-গঙ্গাজল, কেহ সই মহাপ্রসাদ। ছি, ছি, দাদার কথায় সম্মত হইলে, এ কালামুখ কি ইহজন্যে আর এ গ্রামে সে দেখাইতে পারিবে! কুঞ্জ কহিল, দিদি, রাজী হ। ধরতে গেলে বৃন্দাবনই তাের আসল বর।
Pondit Moshai,Pondit Moshai in boiferry,Pondit Moshai buy online,Pondit Moshai by Sarat Chandra Chatterjee,পন্ডিত মশাই,পন্ডিত মশাই বইফেরীতে,পন্ডিত মশাই অনলাইনে কিনুন,শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর পন্ডিত মশাই,9847016700372,Pondit Moshai Ebook,Pondit Moshai Ebook in BD,Pondit Moshai Ebook in Dhaka,Pondit Moshai Ebook in Bangladesh,Pondit Moshai Ebook in boiferry,পন্ডিত মশাই ইবুক,পন্ডিত মশাই ইবুক বিডি,পন্ডিত মশাই ইবুক ঢাকায়,পন্ডিত মশাই ইবুক বাংলাদেশে
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর পন্ডিত মশাই এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 80.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Pondit Moshai by Sarat Chandra Chatterjeeis now available in boiferry for only 80.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ৭৪ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2012-10-01
প্রকাশনী আফসার ব্রাদার্স
ISBN: 9847016700372
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
লেখকের জীবনী
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (Saratchandra Chattopadhyay)

৩১শে ভাদ্র, ১২৮৩ - ২রা মাঘ, ১৩৪৪ রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর ১৮৭৬ – ১৬ জানুয়ারি ১৯৩৮) ছিলেন একজন বাঙালি লেখক, ঔপন্যাসিক, ও গল্পকার। তিনি দক্ষিণ এশিয়া এবং বাংলা ভাষার অন্যতম জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক।[২][৩] তার অনেক উপন্যাস ভারতবর্ষের প্রধান ভাষাগুলোতে অনূদিত হয়েছে। বড়দিদি (১৯১৩), পরিণীতা (১৯১৪), পল্লীসমাজ (১৯১৬), দেবদাস (১৯১৭), চরিত্রহীন (১৯১৭), শ্রীকান্ত (চারখণ্ডে ১৯১৭-১৯৩৩), দত্তা (১৯১৮), গৃহদাহ (১৯২০), পথের দাবী (১৯২৬), শেষ প্রশ্ন (১৯৩১) ইত্যাদি শরৎ চন্দ্র রচিত বিখ্যাত উপন্যাস।[২] বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অপ্রতিদ্বন্দ্বী জনপ্রিয়তার দরুন তিনি 'অপরাজেয় কথাশিল্পী' নামে খ্যাত। তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৩ খ্রিষ্টাব্দে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক পান৷[৪] এছাড়াও, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে 'ডিলিট' উপাধি পান ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে।

সংশ্লিষ্ট বই