Loading...

পদ্মা নদীর মাঝি (হার্ডকভার)

স্টক:

১৫০.০০ ১১২.৫০

একসাথে কেনেন

পদ্মায় ইলিশ মাছ ধরার মরসুম চলিয়াছে। দিবারাত্রি কোনাে সময়েই মাছ ধরিবার কামাই নাই। সন্ধ্যার সময় জাহাজঘাটে দাঁড়াইলে দেখা যায় নদীর বুকে শত শত আলাে অনির্বাণ জোনাকির মতাে ঘুরিয়া বেড়াইতেছে। জেলে নৌকার আলাে ওলি। সমস্ত রাত্রি আলােগুলি এমনিভাবে নদীবক্ষের রহস্যময় স্নান অন্ধকারে দুর্বোধ্য সঙ্কেতের মতাে সঞ্চালিত হয়। একসময় মাঝরাত্রি পার হইয়া যায়। শহরে, গ্রামে, রেলস্টেশনে ও জাহাজঘাটে শান্ত মানুষ চোখ বুজিয়া ঘুমাইয়া পড়ে। শেষরাত্রে ভাঙা-ভাঙা মেঘে ঢাকা আকাশে ক্ষীণ চাদটি ওঠে। জেলে নৌকার আলােগুলি তখনাে নেভে না। নৌকার খােল ভরিয়া জমিতে থাকে মৃত সাদা ইলিশ মাছ। লণ্ঠনের আলােয় মাছের আঁশ চকচক করে, মাছের নিস্পলক চোখগুলিকে স্বচ্ছ নীলাভ মণির মতাে দেখায়। কুবের মাঝি আজ মাছ ধরিতেছিল দেবীগঞ্জের মাইল দেড়েক উজানে। নৌকায় আরো দুজন লােক আছে। ধনঞ্জয় এবং গণেশ। তিনজনের বাড়িই কেতুপুর গ্রামে। আরাে দু মাইল উজানে পদ্মার ধারেই কেতুপুর গ্রাম। নৌকাটি বেশি বড় নয়। পিছনের দিকে সামান্য একটু ছাউনি আছে। বর্ষা-বাদলে দুতিনজনে কোনােরকমে মাথা গুজিয়া থাকিতে পারে। বাকি সবটাই খােলা। মাঝখানে। নৌকার পাটাতনে হাত দুই ফঁক রাখা হইয়াছে। এই ফাক দিয়া নৌকার খােলের মধ্যে। মাছ ধরিয়া জমা করা হয়। জাল ফেলিবার ব্যবস্থা পাশের দিকে। ত্রিকোণ বাঁশের ফ্রেমের বিপুল পাখার মতাে জালটি নৌকার পাশে লাগানাে আছে। জালের শেষ সীমায় বাশটি নৌকার পার্শ্বদেশের সঙ্গে সমান্তরাল। তার দুই প্রান্ত হইতে লম্বা দুটি বাঁশ নৌকার ধারে আসিয়া মিশিয়া পরস্পরকে অতিক্রম করিয়া নৌকার ভিতরে হাত দুই আগাইয়া আসিয়াছে। জালের এ দুটি হাতল। এই হাতল ধরিয়া জাল উঠানাে এবং নামানাে হয়। গভীর জলে বিরাট ঠোটের মতাে দুটি বাঁশে বাঁধা জাল লাগে। দড়ি ধরিয়া বাঁশের ঠোট হাঁ-করা জাল নামাইয়া দেওয়া হয়। মাছ পড়িলে খবর আসে জেলের হাতের দড়ি বাহিয়া, দড়ির দ্বারাই জলের নিচে জালের মুখ বন্ধ করা হয়। | ঐ নৌকাটি ধনঞ্জয়ের সম্পত্তি। জালটাও তারই। প্রতি রাত্রে যত মাছ ধরা হয় তার অর্ধেক ভাগ ধনঞ্জয়ের, বাকি অর্ধেক কুবের ও গণেশের। নৌকা এবং জালের মালিক বলিয়া ধনঞ্জয় পরিশ্রমও করে কম। আগাগােড়া সে শুধু নৌকার হাল ধরিয়া বসিয়া থাকে। কুবের ও গণেশ হাতল ধরিয়া জালটা জলে নামায় এবং তােলে, মাছগুলি সঞ্চয় করে।
Podma Nodir Majhi,Podma Nodir Majhi in boiferry,Podma Nodir Majhi buy online,Podma Nodir Majhi by Manik Bondhopadhai,পদ্মা নদীর মাঝি,পদ্মা নদীর মাঝি বইফেরীতে,পদ্মা নদীর মাঝি অনলাইনে কিনুন,মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর পদ্মা নদীর মাঝি,9789849054498,Podma Nodir Majhi Ebook,Podma Nodir Majhi Ebook in BD,Podma Nodir Majhi Ebook in Dhaka,Podma Nodir Majhi Ebook in Bangladesh,Podma Nodir Majhi Ebook in boiferry,পদ্মা নদীর মাঝি ইবুক,পদ্মা নদীর মাঝি ইবুক বিডি,পদ্মা নদীর মাঝি ইবুক ঢাকায়,পদ্মা নদীর মাঝি ইবুক বাংলাদেশে
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর পদ্মা নদীর মাঝি এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 120.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Podma Nodir Majhi by Manik Bondhopadhaiis now available in boiferry for only 120.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ১১০ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2016-02-01
প্রকাশনী রচনা প্রকাশ
ISBN: 9789849054498
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
লেখকের জীবনী
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (Manik Bondhopadhai)

শ্রমজীবী মানুষের সংগ্রাম, মধ্যবিত্ত সমাজের কৃত্রিমতা, নিয়তিবাদ ইত্যাদি বিষয়কে লেখার মধ্যে তুলে এনে বাংলা সাহিত্যে যিনি অমর হয়েছেন, তিনি হলেন প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। খ্যাতিমান এই সাহিত্যিক ১৯০৮ সালের ১৯ মে বিহারের সাঁওতাল পরগনায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, আর মানিক ছিলো তাঁর ডাকনাম। বাবার বদলির চাকরিসূত্রে তাঁর শৈশব, কৈশোর ও ছাত্রজীবন কেটেছে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে, যার ফলে বিভিন্ন অঞ্চলের পটভূমিতে বিভিন্ন সাহিত্য রচনা করেছেন তিনি। প্রবেশিকা ও আইএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় গণিত বিষয়ে অনার্স করতে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। এখানে পড়াশোনাকালে বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে তিনি 'অতসী মামী' গল্পটি লেখেন। সেই গল্পটি বিখ্যাত 'বিচিত্রা' পত্রিকায় ছাপানো হলে তা পাঠকনন্দিত হয় এবং তিনি সাহিত্যাঙ্গনে পরিচিত হয়ে ওঠেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি সাহিত্য রচনায় পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন, যার ফলে তাঁর পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এবং তিনি আর পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। তাঁর হাতে বাংলা সাহিত্যে এক বৈপ্লবিক ধারা সূচিত হয় ঐ সময়ে, যখন সারা পৃথিবী জুড়ে মানবিক বিপর্যয়ের এক চরম সংকটময় মুহূর্ত চলছে। কমিউনিজমের দিকে ঝুঁকে যাওয়ায় তাঁর লেখায় একসময় এর ছাপ পড়ে এবং মার্ক্সীয় শ্রেণীসংগ্রাম তত্ত্ব দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বই সমগ্র। ফ্রয়েডীয় মনোসমীক্ষণেরও প্রভাব লক্ষ্য করা যায় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র-তে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বই সমূহ এর মধ্যে 'পদ্মানদীর মাঝি', 'দিবারাত্রির কাব্য', 'পুতুলনাচের ইতিকথা', 'শহরতলি', 'চতুষ্কোণ', 'শহরবাসের ইতিকথা' ইত্যাদি বিখ্যাত উপন্যাস, এবং 'আত্মহত্যার অধিকার', 'হারানের নাতজামাই', 'বৌ', 'প্রাগৈতিহাসিক', 'সমুদ্রের স্বাদ', 'আজ কাল পরশুর গল্প' ইত্যাদি গল্পগ্রন্থ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা রচনার কিছু নিদর্শন থাকলেও সেগুলো তেমন উল্লেখযোগ্যতা অর্জন করেনি। অসামান্য এই কথাসাহিত্যিক মাত্র ৪৮ বছর বয়সে ১৯৫৬ সালের ৩ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

সংশ্লিষ্ট বই