Loading...

পেশা (হার্ডকভার)

স্টক:

১০০.০০

একসাথে কেনেন

কেদার আজ পাসের খবর জানতে যাবে। প্রকাশ্যভাবে সকলের পাস-ফেলের খবর প্রকাশ হতে এখনও কযেকদিন দেরি আছে। তলে তলে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে যােগাযােগ ঘটানাে সম্ভব হওযায় খবরটা আগেই জানার ব্যবস্থা হয়েছে। বাড়ির লােকের কথা আলাদা। তারা ব্যাকুল হবেই। একদিন আগে পাসের খবর সুনিশ্চিত জেনে সম্পূর্ণ নিশ্চিন্ত হতে পারাটাও তাদের কাছে সামান্য কথা নয়। নিজের আগ্রহ ব্যাকুলতাই অত্যন্ত অনুচিত মনে হয় কেদারের। পাস করে যে ডাক্তার হবে, বিজ্ঞানের সাহায্যে মানুষের রােগ সারাবার মৃত্যু ঠেকাবার দায়িত্ব পাবে, জানা কথা জানতে কী তাব এমন অধীর হওয়া সাজে ? পরীক্ষা ভালােই দিয়েছে। সহজ বুদ্ধিতেই সে জানে যে কল্পনাতীত কোনাে অঘটন না ঘটলে তাব ভালােভাবে পাস না করার কোনােই কারণ নেই। তবু শুধু এই পাসের খবরটা জানার জন্য সেও যেন বাড়ির লােকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যাকুল হয়েছে মনে হয়।
Pesha,Pesha in boiferry,Pesha buy online,Pesha by Manik Bondhopadhai,পেশা,পেশা বইফেরীতে,পেশা অনলাইনে কিনুন,মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর পেশা,Pesha Ebook,Pesha Ebook in BD,Pesha Ebook in Dhaka,Pesha Ebook in Bangladesh,Pesha Ebook in boiferry,পেশা ইবুক,পেশা ইবুক বিডি,পেশা ইবুক ঢাকায়,পেশা ইবুক বাংলাদেশে
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর পেশা এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 100.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Pesha by Manik Bondhopadhaiis now available in boiferry for only 100.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ৯৯ পাতা
প্রথম প্রকাশ 1938-02-01
প্রকাশনী উইনার্স বাজার
ISBN:
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
লেখকের জীবনী
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (Manik Bondhopadhai)

শ্রমজীবী মানুষের সংগ্রাম, মধ্যবিত্ত সমাজের কৃত্রিমতা, নিয়তিবাদ ইত্যাদি বিষয়কে লেখার মধ্যে তুলে এনে বাংলা সাহিত্যে যিনি অমর হয়েছেন, তিনি হলেন প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। খ্যাতিমান এই সাহিত্যিক ১৯০৮ সালের ১৯ মে বিহারের সাঁওতাল পরগনায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, আর মানিক ছিলো তাঁর ডাকনাম। বাবার বদলির চাকরিসূত্রে তাঁর শৈশব, কৈশোর ও ছাত্রজীবন কেটেছে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে, যার ফলে বিভিন্ন অঞ্চলের পটভূমিতে বিভিন্ন সাহিত্য রচনা করেছেন তিনি। প্রবেশিকা ও আইএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় গণিত বিষয়ে অনার্স করতে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। এখানে পড়াশোনাকালে বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে তিনি 'অতসী মামী' গল্পটি লেখেন। সেই গল্পটি বিখ্যাত 'বিচিত্রা' পত্রিকায় ছাপানো হলে তা পাঠকনন্দিত হয় এবং তিনি সাহিত্যাঙ্গনে পরিচিত হয়ে ওঠেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি সাহিত্য রচনায় পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন, যার ফলে তাঁর পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এবং তিনি আর পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। তাঁর হাতে বাংলা সাহিত্যে এক বৈপ্লবিক ধারা সূচিত হয় ঐ সময়ে, যখন সারা পৃথিবী জুড়ে মানবিক বিপর্যয়ের এক চরম সংকটময় মুহূর্ত চলছে। কমিউনিজমের দিকে ঝুঁকে যাওয়ায় তাঁর লেখায় একসময় এর ছাপ পড়ে এবং মার্ক্সীয় শ্রেণীসংগ্রাম তত্ত্ব দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বই সমগ্র। ফ্রয়েডীয় মনোসমীক্ষণেরও প্রভাব লক্ষ্য করা যায় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র-তে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বই সমূহ এর মধ্যে 'পদ্মানদীর মাঝি', 'দিবারাত্রির কাব্য', 'পুতুলনাচের ইতিকথা', 'শহরতলি', 'চতুষ্কোণ', 'শহরবাসের ইতিকথা' ইত্যাদি বিখ্যাত উপন্যাস, এবং 'আত্মহত্যার অধিকার', 'হারানের নাতজামাই', 'বৌ', 'প্রাগৈতিহাসিক', 'সমুদ্রের স্বাদ', 'আজ কাল পরশুর গল্প' ইত্যাদি গল্পগ্রন্থ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা রচনার কিছু নিদর্শন থাকলেও সেগুলো তেমন উল্লেখযোগ্যতা অর্জন করেনি। অসামান্য এই কথাসাহিত্যিক মাত্র ৪৮ বছর বয়সে ১৯৫৬ সালের ৩ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

সংশ্লিষ্ট বই