পিয়াল, তােমাকে একটা গল্প বলি। সােনারগাঁও মােড়ে গাড়ি থেমেছে। বিরাট লাইন। এক ভদ্রলােক গাড়িতে একা বসে আছেন। ট্রাফিক জ্যাম নিয়ে বােধহয় খিচতি আওড়াচ্ছিলেন। অথবা অন্য কোনাে কারণেও মন খারাপ হতে পারে। আমি সিওর না । যাক, আসল কথায় আসি। একটা উলঙ্গ শিশু ভদ্রলােকের। সামনে এসে করুণ চোখে তাকালাে, স্যার কিছু দ্যান না। ভদ্রলােকের মন নরম হয়ে গেলাে। পকেট থেকে বিশ টাকার একটা নােট বের করে শিশুটির হাতে তুলে দিতেই ঝড়ের বেগে দৌড়ে এল একটি মেয়ে। বয়স আন্দাজ করি বিশ অথবা বাইশ। মেয়েদের বয়সের ব্যাপারে অবশ্য ঝামেলা আছে। তুমি আলিয়স সেজ চেন? সায়েন্স ল্যাবরেটরী মােড়ের পাশে। সেখানে একটি ক্যান্টিন। আছে। প্রতিদিন বিকেলের পর থেকে বেশ আডডা জমে। তাে হয়েছিল কি, ক্যান্টিনে বসে পাটিশাপটা পিঠা খাচ্ছিলাম। আমার সাথে বসেছিলাে রীয়া। আমার কাজিন। সিলেটে থাকে। রীয়া শুধু চা খাচ্ছিলাে। হঠাৎ আমাদের পাশের টেবিল দখল করে বসলাে একটি মেয়ে ও একটি ছেলে। মেয়েটির ববকাট চুল। ‘ইউনাে স্টাইলে কথা বলছিলাে। রীয়া আমাকে প্রশ্ন করলাে, বলতাে মেয়েটার বয়স কতাে হবে? আমি মেয়েটার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে বললাম, কতাে আর হবে? ত্রিশ পয়ত্রিশের মধ্যে। রীয়া আমার দিকে চোখ বড় করে তাকিয়ে অবাক কণ্ঠে বললাে, তুমি একটা... ঐ মহিলার বয়স কতাে জান? ফিফটি প্লাস। সিলেটি। ছেলেটা হলাে তার বয়ফ্রেন্ড । সিলেটে ওরা কেলেঙ্কারী করে এসেছে।