Loading...

পদ্মা নদীর মাঝি (হার্ডকভার)

স্টক:

১৬০.০০ ১১০.২০

পদ্মানদীর মাঝি উপন্যাসের পটভূমি বাংলাদেশের বিক্রমপুর-ফরিদপুর অঞ্চল। এই উপন্যাসের দেবীগঞ্জ ও আমিনবাড়ি পদ্মার তীরবর্তী গ্রাম। উপন্যাসে পদ্মার তীর সংলগ্ন কেতুপুর ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের পদ্মার মাঝি ও জেলেদের বিশ্বস্ত জীবনালেখ্য চিত্রিত হয়েছে। পদ্মা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান নদী। এর ভাঙন প্রবণতা ও প্রলয়ংকরী স্বভাবের কারণে একে বলা হয় 'কীর্তিনাশা' বা রাক্ষুসী পদ্মা। এ নদীর তীরের নির্দিষ্ট কোন সীমারেখা নেই। শহর থেকে দূরে এ নদী এলাকার কয়েকটি গ্রামের দীন-দরিদ্র জেলে ও মাঝিদের জীবনচিত্র এতে অঙ্কিত হয়েছে। জেলেপাড়ারর মাঝি ও জেলেদের জীবনের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না-অভাব-অভিযোগ - যা কিনা প্রকৃতিগতভাবে সেই জীবনধারায় অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ তা এখানে বিশ্বস্ততার সাথে চিত্রিত হয়েছে। তাদের প্রতিটি দিন কাটে দীনহীন অসহায় আর ক্ষুধা-দারিদ্র‍্যের সাথে লড়াই করে। দুবেলা দুমুঠো খেয়ে-পরে বেঁচে থাকাটাই যেন তাদের জীবনের পরম আরাধ্য। এটুকু পেলেই তারা খুশি।
Padma Nodir Majhi,Padma Nodir Majhi in boiferry,Padma Nodir Majhi buy online,পদ্মা নদীর মাঝি,পদ্মা নদীর মাঝি বইফেরীতে,পদ্মা নদীর মাঝি অনলাইনে কিনুন,মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর পদ্মা নদীর মাঝি,9789849396496,Padma Nodir Majhi Ebook,Padma Nodir Majhi Ebook in BD,Padma Nodir Majhi Ebook in Dhaka,Padma Nodir Majhi Ebook in Bangladesh,Padma Nodir Majhi Ebook in boiferry,পদ্মা নদীর মাঝি ইবুক,পদ্মা নদীর মাঝি ইবুক বিডি,পদ্মা নদীর মাঝি ইবুক ঢাকায়,পদ্মা নদীর মাঝি ইবুক বাংলাদেশে,Padma Nodir Majhi by Manik Bondhopadhai
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর পদ্মা নদীর মাঝিএখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 115 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে।Padma Nodir Majhi by মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়is now avaiable in boiferry for only 115 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ১১১ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2015-08-12
প্রকাশনী পূর্ব পশ্চিম
ISBN: 9789849396496
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

5
1 reviews

1-1 থেকে 1 পর্যালোচনা

  • পর্যালোচনা লিখেছেন 'Mijun Uddin Masud'
    মানিক বন্ধ্যোপাধ্যায় অনন্য একজন কথা সহিত্যিক।তার শ্রেষ্ট কিছু উপন্যাসের মধ্যে "পদ্মা নদীর মাঝি অন্যতম"। উপভোগ্য, আনন্দসঞ্চারী ও আনন্দদানকারী। ঔপন্যাসিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদ্মানদীর মাঝি উপন্যাসটির মধ্যে রয়েছে এই বৈশিষ্ট্যগুলো। "পদ্মানদীর মাঝি" উপন্যাসে কীর্তিনাশা পদ্মানদী তীর সংলগ্ন কেতুপুর ও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের মানুষের জীবন ও জীবিকার চালচিত্র তুলে ধরা হয়েছে শহর থেকে দূরে দীন-দরিদ্র জেলে ও মাঝিদের হুবুহু মিলে যাওয়া এক বিশ্বস্ত জীবনচিত্র অঙ্কন করেছেন লেখক। মহাজনদের শোষণের চিত্রও ফুটে উঠেছে বইটিতে। উপন্যাসের নায়ক অর্থাৎ প্রধান চরিত্র হতদরিদ্র কুবের পদ্মানদীর মাঝি। অন্যান্য সঙ্গীদের নিয়ে পদ্মা নদীতে মাছ ধরে কুবের। সংসারে তার স্ত্রী মালা, একমাত্র মেয়ে গোপী, তিন ছেলে ও বোনকে নিয়ে অতি কষ্টে তার জীবন চলে। মালা ছিলো খোড়া। একমাত্র মেয়ে গোপী আর কুবেরের বোন ঘরের কাজ সামলায়। স্বামীর বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়ে মালার বোন কপিলা এসে ঠাই নেয় কুবেরে দরিদ্র সংসারে। কপিলা তার রুপ যৌবন দিয়ে কুবেরকে আদিম আকর্ষণে নিজের দিকে আকৃষ্ট করতে চায়। গড়ে তুলতে চায় আদিম, অসংস্কৃত ও নিষিদ্ধ প্রেম। উপন্যাসটির অন্যতম চরিত্র হোসেন মিয়া। কেতুপুর এলাকায় দীনহীন ও কপর্দকশূন্য এই লোকটির হঠাৎ ভাগ্য পরিবর্তন ও জেলে মাঝিদের মাঝে পরম বন্ধুরুপে তার আবির্ভাব এক রহস্যের সৃষ্টি করে। গ্রামের অনেক পরিবার হঠাৎ করে উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনা জেলে মাঝিদের মনে আরো বেশি রহস্যের সৃষ্টি করে। বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী একটি উপন্যাস।বইটি যতবারি পড়বেন ততবারি এর গভীরতায় হারিয়ে যেতে বাধ্য।
    June 30, 2022
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
লেখকের জীবনী
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (Manik Bondhopadhai)

শ্রমজীবী মানুষের সংগ্রাম, মধ্যবিত্ত সমাজের কৃত্রিমতা, নিয়তিবাদ ইত্যাদি বিষয়কে লেখার মধ্যে তুলে এনে বাংলা সাহিত্যে যিনি অমর হয়েছেন, তিনি হলেন প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। খ্যাতিমান এই সাহিত্যিক ১৯০৮ সালের ১৯ মে বিহারের সাঁওতাল পরগনায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, আর মানিক ছিলো তাঁর ডাকনাম। বাবার বদলির চাকরিসূত্রে তাঁর শৈশব, কৈশোর ও ছাত্রজীবন কেটেছে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে, যার ফলে বিভিন্ন অঞ্চলের পটভূমিতে বিভিন্ন সাহিত্য রচনা করেছেন তিনি। প্রবেশিকা ও আইএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় গণিত বিষয়ে অনার্স করতে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। এখানে পড়াশোনাকালে বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে তিনি 'অতসী মামী' গল্পটি লেখেন। সেই গল্পটি বিখ্যাত 'বিচিত্রা' পত্রিকায় ছাপানো হলে তা পাঠকনন্দিত হয় এবং তিনি সাহিত্যাঙ্গনে পরিচিত হয়ে ওঠেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি সাহিত্য রচনায় পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন, যার ফলে তাঁর পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এবং তিনি আর পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। তাঁর হাতে বাংলা সাহিত্যে এক বৈপ্লবিক ধারা সূচিত হয় ঐ সময়ে, যখন সারা পৃথিবী জুড়ে মানবিক বিপর্যয়ের এক চরম সংকটময় মুহূর্ত চলছে। কমিউনিজমের দিকে ঝুঁকে যাওয়ায় তাঁর লেখায় একসময় এর ছাপ পড়ে এবং মার্ক্সীয় শ্রেণীসংগ্রাম তত্ত্ব দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বই সমগ্র। ফ্রয়েডীয় মনোসমীক্ষণেরও প্রভাব লক্ষ্য করা যায় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র-তে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বই সমূহ এর মধ্যে 'পদ্মানদীর মাঝি', 'দিবারাত্রির কাব্য', 'পুতুলনাচের ইতিকথা', 'শহরতলি', 'চতুষ্কোণ', 'শহরবাসের ইতিকথা' ইত্যাদি বিখ্যাত উপন্যাস, এবং 'আত্মহত্যার অধিকার', 'হারানের নাতজামাই', 'বৌ', 'প্রাগৈতিহাসিক', 'সমুদ্রের স্বাদ', 'আজ কাল পরশুর গল্প' ইত্যাদি গল্পগ্রন্থ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা রচনার কিছু নিদর্শন থাকলেও সেগুলো তেমন উল্লেখযোগ্যতা অর্জন করেনি। অসামান্য এই কথাসাহিত্যিক মাত্র ৪৮ বছর বয়সে ১৯৫৬ সালের ৩ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

সংশ্লিষ্ট বই