‘ধৎ' চোখ মুখ কুঁচকে বিরক্তি সূচক শব্দ করতেই মুকুলের দিকে তাকালাে সবাই। এই শীতকালটার সবই ভাল, শুধু বিকেলটা বাদে।' সায় দিয়ে বলল জ্যোতি। শীতকালে রাত বড় আর দিন ছােট। আর এখানেই ওদের আপত্তি। কারণ বিকেল বেলা খেলার সময় খুব কম পাওয়া যায়। আসরের আযানের পর কতটুকুইবা খেলা যায় মনের আশা মিটিয়ে? তাই ওরা দিন গুনছে কবে পুরােপুরি ক্লাস বন্ধ হয়ে স্কুল ছুটি দিয়ে দিবে। তাহলে সকালেও একটু খেলতে পারবে। ফাইনাল পরীক্ষা হয়ে গেছে ওদের। কয়েক দিনের মধ্যে রেজাল্টও দিয়ে দিবে। তবে এ নিয়ে তিনজন বাদে ওদের কারােও মাথা ব্যথা আছে বলে মনে হয় না। ওরা ছয় বন্ধু। কথা যখন উঠলই তখন ওদের পরিচয়টা দিয়ে দেয়া যাক। ছয়জন মিলে ওরা একটা বিশেষ দল করেছে। নামটা বেশ অদ্ভুত, “সিক্সকিউ”। এমন অদ্ভুত নামের কারণটা পরে বলছি। দলের প্রধান হচ্ছে মুকুল নামের হালকা পাতলা ছেলেটি। পড়াশুনায় রুবেল তাহসিনের মত ভালাে না হলেও জ্যোতির মত নয়। মােটামুটি ভালাে একটা রেজাল্ট ও সবসময়ই করে আসছে। কিন্তু পড়াশুনা বাদে আর সব ক্ষেত্রে ওর দক্ষতা অদ্বিতীয়। সেটা মারামারিতেই হােক বা খেলাধূলাতেই হােক। দুরন্তপনায় জ্যোতি ছাড়া ওর সমকক্ষ কেউ নেই। জ্যোতি পড়াশুনা একদম না করলে কি হবে আর সব ক্ষেত্রে মুকুলের চেয়ে খুব বেশি কম যায় না। ওর কোকড়া চুল, ওর বেশভুষাই ওর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য প্রকাশে যথেষ্ট। ওরা দুজন বাদে ওদের দলের অন্য চারজন হল আসিফ, শাওন, রুবেল আর। তাহসিন। আসিফ হল জ্ঞান-সাগর। অন্তত নিজেকে ও তাই মনে করে। ওর সংগ্রহে এমন সব বই আছে, যা ওর লাইব্রেরিতে না গেলে বােঝা যায় না। সেখানে। ঢােকার আগে ওর বিশেষ পারমিশন নিতে হয়।