ফাইনাল এগলাম শেষ, শীতের তুটি শুরু। আবির বুৰ আশা করেছিল এবার গ্রামের বাড়ি বেড়াতে যাবে। কিন্তু এর লে আশায় গুড়েবালি। আপাতত গাঁয়ে যাওয়া হচ্ছে না। কারণ বাসার পরিবেশ সুবিধের নয়। খ্রীতিমতাে থমথমে। ওয় পানি সিডি ভাঙতে গিয়ে ভুল করে কোমর ভেঙে ফেলেহেন। যুভ বয়সে কোময় তাখলে কী হয় আবিয়ে জানা নেই। জোড়া লাগে কি লাগে না তাও বুঝতে পারছে না। তবে ডাক্তার নাসের দৌড়ঝাঁপ দেবে মালুম হয়, সুতি এবার বেশ জ্বালাবে। কোনাে মানে হয়! আবিরের কথা শুনে মা ধমকান, কথায় কী হিরি দেখাে! নিলেয় গালিকে নিয়ে কথা বলার সময় মিনিমাম সম্মানটুকু অন্তত মাৰাে । ভুলাে না ছােটন, তুমিও একদিন বুড়াে হবে, বয়স হবে তােমায়। বয়স হলে মানুষ এমনিতেই খুব অসহায় বােধ করেন। দাদির সম্পর্কে এমন কথা আর যেন না শুনি। সরি মা, আমি কিছু ভেবে বলিনি। কিন্তু তুমিই বলাে, এত আশা করে ছিলাম স্কুল ফাইনাল শেষে বাড়ি যাব। কাজিনরা বিশেষ করে ওর সবচে প্রিয় বন্ধু | নোল ওয়েট নহে। সবাই মিলে ক্রিকেট ম্যাচ খেলব। আংলায় বাঘের এখন গর্জে উঠেছে। ইন্ডিয়া-পাকিস্তান সব ধরাশায়ী । সাউথ আফ্রিকায় অবস্থা মিউমিউ, মানে মেনিবেড়াল বনে গেছে। কিন্তু দাদির কোমর ভেঙে সব প্ল্যান তল করে দিল। ওর বাড়ি যাওয়া হলাে না। আবিরের মনের অবস্থা রুনা বােঝেন। হেলে ওপৰ তায় অনেক মায়া। রুনা লায়লা একটা বাচ্ছাদের স্কুলে পড়ান। আবার বাসাও সামলান। জোটলের শেখাতে গেলে নিজেকেও কিছুটা বাচ্চা ধরনের হতে হয়। এলে বুঝতে হয়, নইলে যারা তার কাছে শিবে কেন! রুনা এ কাজটি বেশ ভালােই পারেন। স্কুলে সবার কাছে রুনাপা ভীষণ প্রিয়। আবিরের বাবা রিয়াল সাহেব এই গচটা প্রকৃতি। কথায় কথায় রেগে যান। ক্রনিক কোষ্ঠকাঠিন্যের রােগী তিনি। এটা অবশ্য সত্যি কি মিথ্যা আৰিয় জানে না। ওর ছােটচাচা ফুয়াদ না করে আড়ালে আবডালে তাইয়ের সম্পর্কে | এমন অলে।