Loading...

অব্যক্ত (হার্ডকভার)

স্টক:

৩০০.০০ ২২৫.০০

একসাথে কেনেন

বই পরিচিতি জগদীশচন্দ্র বসু শুধু সাহিত্যের জগতে বিচরণ করলেও যে খ্যাতি অর্জন করতে পারতেন-সেই স্বীকৃতি দিয়েছেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই স্বীকৃতি যে সঠিক তার প্রমাণ অব্যক্ত সংকলনটি। এই গ্রন্থের লেখাগুলাে খুবই সহজ-সরল, শিশু-কিশােরদের পাঠোপযােগী। যেমন আকাশ-স্পন্দন ও আকাশ-সম্ভব জগৎ প্রবন্ধে তরল ও বায়বীয় পদার্থের মধ্য দিয়ে শক্তি কীভাবে শব্দ, বিদ্যুৎ ও সূর্যকিরণরূপে প্রবাহিত হয়, তার সরল বর্ণনা করা হয়েছে। গাছের কথা প্রবন্ধে লেখক গাছের সঙ্গে অন্যান্য জীবের জীবনপ্রণালির সহজে দৃশ্যমান মিলগুলাের বর্ণনা দিয়েছেন। উদ্ভিদের জন্ম ও মৃত্যু প্রবন্ধে লেখক একটা সাধারণ উদ্ভিদের বীজ থেকে পূর্ণাঙ্গতা প্রাপ্তি, বংশবিস্তার ও মৃত্যুর বিবরণ দিয়েছেন। উদ্ভিদের যে প্রাণ আছে, এই মৌলিক আবিষ্কারটির মধ্যেই লুকিয়ে আছে প্রাচ্যের বিজ্ঞান ও দর্শনচিন্তার বীজসূত্র। তাই জগদীশ চন্দ্র বসু এবং তাঁর এই গ্রন্থটি আমাদের বিজ্ঞানের ইতিহাসে এত গুরুত্বপূর্ণ।
Obyakto,Obyakto in boiferry,Obyakto buy online,Obyakto by Acarjo Jogodishcandro Bosu,অব্যক্ত,অব্যক্ত বইফেরীতে,অব্যক্ত অনলাইনে কিনুন,আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু এর অব্যক্ত,9789849574163,Obyakto Ebook,Obyakto Ebook in BD,Obyakto Ebook in Dhaka,Obyakto Ebook in Bangladesh,Obyakto Ebook in boiferry,অব্যক্ত ইবুক,অব্যক্ত ইবুক বিডি,অব্যক্ত ইবুক ঢাকায়,অব্যক্ত ইবুক বাংলাদেশে
আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু এর অব্যক্ত এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 255.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Obyakto by Acarjo Jogodishcandro Bosuis now available in boiferry for only 255.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ১৬৫ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2021-03-15
প্রকাশনী রূপসী বাংলা
ISBN: 9789849574163
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু
লেখকের জীবনী
আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু (Acarjo Jogodishcandro Bosu)

Acarjo Jogodishcandro Bosu ১৮৫৮ সালের ৩০শে নভেম্বর ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি অঞ্চলের ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। বিক্রমপুরের রাঢ়িখাল গ্রামে তাঁর পরিবারের প্রকৃত বাসস্থান ছিল। তার পিতা ব্রাহ্ম ধর্মাবলম্বী ভগবান চন্দ্র বসু তখন ফরিদপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। তিনি কলকাতার হেয়ার স্কুল থেকে পড়াশোনা করে ১৮৭৯ খ্রিষ্টাব্দে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন। এই কলেজে ইউজিন ল্যাফন্ট নামক একজন খ্রিষ্টান যাজক প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের ওপর তাঁর আগ্রহ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এরপর তিনি আইসিএস পরীক্ষায় বসার জন্য ইংল্যান্ডে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও ভগবান চন্দ্র এতে রাজী হননি কারণ তিনি চেয়েছিলেন তাঁর পুত্র একজন বিদ্বান হোন। বাবার ইচ্ছা ও তার আগ্রহে তিনি ১৮৮০ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞান পাঠের উদ্দেশ্যেই লন্ডনের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান, কিন্তু অসুস্থতার কারণে বেশিদিন এই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি। তাঁর ভগ্নীপতি আনন্দমোহন বসুর আনুকুল্যে জগদীশ চন্দ্র প্রকৃতি বিজ্ঞান সম্বন্ধে শিক্ষালাভের উদ্দেশ্যে কেমব্রিজের ক্রাইস্ট কলেজে ভর্তি হন। এখান থেকে ট্রাইপস পাশ করেন। ১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি পাঠ সম্পন্ন করেন। কেম্ব্রিজে জন উইলিয়াম স্ট্রাট, ৩য় ব্যারন রেলি, মাইকেল ফস্টার, জেমস ডেওয়ার, ফ্রান্সিস ডারউইন, ফ্রান্সিস মেটল্যান্ড বালফুর, সিডনি ভাইনসের মতো বিখ্যাত বিজ্ঞানসাধকেরা তাঁর শিক্ষক ছিলেন। একজন বাঙালি পদার্থবিদ, উদ্ভিদবিদ ও জীববিজ্ঞানী এবং প্রথম দিকের একজন কল্পবিজ্ঞান রচয়িতা। তাঁর গবেষণার ফলে উদ্ভিদবিজ্ঞান শাখা সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে এবং ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যবহারিক ও গবেষণাধর্মী বিজ্ঞানের সূচনা হয় তাঁর হাত ধরে। তিনি আঠারো মাসের সেই গবেষণার মধ্যে মুখ্য ছিল অতিক্ষুদ্র তরঙ্গ নিয়ে গবেষণা। ১৮৯৫ সালে তিনি অতিক্ষুদ্র তরঙ্গ সৃষ্টি এবং কোন তার ছাড়া এক স্থান থেকে অন্য স্থানে তা প্রেরণে সফলতা পান। ১৮৮৭ সালে বিজ্ঞনী হের্‌ৎস প্রতক্ষভাবে বৈদ্যুতিক তরঙ্গের অস্তিত্ব প্রমাণ করেন। এ নিয়ে আরও গবেষণা করার জন্য তিনি চেষ্টা করছিলেন যদিও শেষ করার আগেই তিনি মারা যান। জগদীশচন্দ্র তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে সর্বপ্রথম প্রায় ৫ মিলিমিটার তরঙ্গ দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট তরঙ্গ তৈরি করেন। এ ধরণের তরঙ্গকেই বলা হয়ে অতি ক্ষুদ্র তরঙ্গ বা মাইক্রোওয়েভ।আধুনিক রাডার, টেলিভিশন এবং মহাকাশ যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই তরঙ্গের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স তাঁকে রেডিও বিজ্ঞানের জনক বলে অভিহিত করে। ব্রিটিশ অ্যাসোসিয়েশনে তার বক্তৃতার বিষয় ছিল "অন ইলেকট্রিক ওয়েভ্‌স"। মাত্র ১৮ মাসের মধ্যে করা পরীক্ষণগুলোর উপর ভিত্তি করেই তিনি বক্তৃতা করেন যা ইউরোপীয় বিজ্ঞানীদের চমৎকৃত ও আশ্চর্যান্বিত করে। অশীতিপর বৃদ্ধ বিজ্ঞানী লর্ড কেলভিন বক্তৃতা শোনার পর লাঠিতে ভর দিয়ে এসে জগদীশের স্ত্রী অবলা বসুকে তার স্বামীর সফলতার জন্য অভিবাদন জানান। তিনি ২৩ নভেম্বর ১৯৩৭ (বয়স ৭৮) গিরিডি, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারতে মৃত্যু বরর্ণ করেন।

সংশ্লিষ্ট বই