এক. নিজের চেম্বারে ঢুকতেই শামীম দেখতে পায় রিসিপশনে এক সুন্দরী ললনা বসে আছে। এক নজর চোখাচোখি হতেই শামীমের পুরাে শরীরে যেন বিদ্যুৎ ঢেউ খেলে যায়। এমন হলাে কেন বুঝতে পারে না সে। মেয়েটি খুব বেশী সুন্দরী নয় তবে কী যেন আছে তার চেহারায়। চেম্বারে বসে সে প্রথমে এক গ্লাস পানি খায়। একটি জটিল মামলার শুনানীতে অংশ নিয়ে বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছে সে। বিচারক বেশ বেয়ারা তাকে বুঝানাে খুব কঠিন কাজ তবুও সক্ষম হয়েছে সে। আদেশ কী দেবে বলা যাচ্ছে না। এ সময় আবার সেই মেয়েটির কথা মনে পড়ে যায়। কে ওই মেয়ে বুঝতে পারে না সে। কোনাে মক্কেল নয় এটা সে বুঝতে পারে। কী যেন আবার হতেও পারে এখনতাে নারীঘটিত মামলাই বেশী আসছে। এ সময় দরজা ঠেলে রুমে ঢােকে তার পিএস শান্তা ইসলাম। : স্যার আপনার কাছে এক ভদ্র মহিলা এসেছেন। : কে সে? : এডভােকেট আব্দুর রহমান সাহেব পাঠিয়েছেন। : ও বুঝতে পেরেছি। ঠিক আছে পাঠাও পিএস বেরিয়ে যায়। শামীমের মনে পড়ে বন্ধু রহমানের কথা, সে একদিনও বুঝতে পেরেছি । ঠিক আছে পাঠাও পিএস বেরিয়ে যায়। শামীমের মনে পড়ে বন্ধু রহমানের কথা, সে একদিন বলেছিল সদ্য পাশ করা এক নারী ল-ইয়ারকে অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নেয়ার জন্য। রহমান নিম্ন আদালতে প্র্যাক্টিস করে কিন্তু ওই মেয়েটি হাইকোর্টে কাজ করতে চায় বিষয়টি শামীমকে বলেছে সে। এমন ভাবনার মধ্যেই ভেতরে প্রবেশ করে মেয়েটি। : আসতে পারি? : এসাে। হ্যাভ এ সিট বলে এক নজরে ভালাে করে তাকে দেখে নেয় শামীম। মেয়েটি ছােটখাটো কিন্তু বেশ আকর্ষণীয় ফিগার। ড্রেসআপও বেশ সুন্দর । জিন্সের প্যান্টের সাথে সাদা শার্ট পরেছে । ডাগর চোখ, সূক্ষ্ম চিবুক, বুকের ওঠানামা বেশ স্পষ্ট। দেখতে অসাধারণ লাগছে। : থ্যাঙ্ক ইউ।