রাত তিনটার মতন হবে।চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। মাঘ মাস। প্রচন্ড শীত এবার বাঙলাদেশে। নীল্ চাদর গায়ে। বারান্দায় বসে আছে । সাবিহার ঘটনাটি যেনো সবাইকে নিস্তব্ধ করে দিে য়ছে। প্রতিবেশীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমেছে। ধীরে ধীরে সে ঘরের দিকে যায়। শোবার আয়োজন করে। নীল কম্বল বের করবার জন্য আলমারির দরজা খোলে। দরজা খুলতেই ঝন ঝন কাচের চুড়ির শব্দ পায়। নীল ভাবে যে সেটা চাবির গোছার শব্দ । কিন্তু এ আলমারিরতো কোনো চাবি নেই। এ আলমারির চাবি থাকে মামীর কাছে শব্দ কোথা থেকে আসলো ? নীল আবারও দরজা খোলে। আবারও শব্দ। সে একটু ভালো করে দরজার ভেতরটা লক্ষ্য করে। সে দেখে যে একটি হাত। ঠিক সাবিহার হাতের মতোন সুন্দর করে নেইল পালিশ করা ও চুড়ি পড়া এবং সে হাত ভর্তি রক্ত । সে হাত নীলকে হাত ছানি দিয়ে ডাকছে । নীলের মাথা ঘুরে যাবার মতোন হয়। সে সাথে সাথেই আলমারির দরজা বন্ধ করে দৌড়ে বারান্দার দরজা খোলে এবং বারান্দায় এসে দাড়ায়। বারান্দায় দাড়িয়ে সে সাবিহাদের বারান্দার দিকে তাকায়। ঠিক তখনই দেখতে পায় যে সাবিহা নীলকে হাতের ইসারায় ডাকছে। ফাবিহা সম্পূর্ণ সাদা পোশাক পরা এবং পুরো শরীর ঢাকা। শুধু মুখটি দেখা যা”েছ। দৌড়ে ঘরে চলে আসে। বারান্দার দরজা ভালো করে বন্ধ করে দেয়। দরজা বন্ধ করতেই দরজায় টোকা পড়ে। নীল পরিষ্কার সাবিহার কন্ঠ শুনতে পায়। নীলের মূর্ছা যাবার মতন অবস্থা হয়। কিছুক্ষণ পর নীল্ আবার ও জেগে ওঠে। কে যেন নীলকে ডাকে। নীল্ দরজা খোল-নীল্! সাবিহা: নীল্ কণ্ঠ বলে , নীল দরজা খোল । খুব পরিষ্কার স্পষ্ট আওয়াজের কথা। নীল ভীত কন্ঠে জিজ্ঞাসা করে, কে তুমি ? কন্ঠ জবাবে বলে , কে আমি? তুমি আমাকে চেন না? আমি সাবিহা । নীল জবাবে বলে, সাবিহা! কিন্তু তুমিতো মারা গেছো। আমি মারা যাইনি নীল, ওরা আমাকে মেরে ফেলেছে। নীল্ :ওরা! ওরা কারা? ফাবিহা: ওরা কারা সেটা তোমাকে খুঁজে বের করতে হবে। নীল্ কি পারবে তাদেরকে খুঁজে বের করতে ?
তানিয়া হোসেন এর নীল ও অশরীরী এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 160.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Neel O Ashoriri by Tania Hossainis now available in boiferry for only 160.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.