ভূমিকা: এই বইটি ফুল-প্রকৃতি-গাছ-গাছালি নিয়ে। নজরুল ফুল নিয়ে দৃশ্য তৈরি করে, গানের বাণীতে ফুল-নাম সংযুক্ত করে তার অসাধারণ উৎকৃষ্ট লেখা ও গানগুলােকে উৎকৃষ্টআকর্ষণীয় করেছেন তা বাংলা সাহিত্যেই বিরল। এত এত নানান ফুল তার রচনায় স্থান পেয়েছে যা সাহিত্য-সঙ্গীতাকাশে আলাদা মাত্রা এনে দিয়েছে। এর জন্য নজরুলকে আলাদা নতুন পরিচয়ে তাকে ‘ফুলের কবি নজরুল’- নামে ভূষিত করা যেতেই পারে। নজরুল গ্রামে-গঞ্জের পথে পথে ঘুরে বেড়িয়েছেন, দেখেছেন নানান ফুল পরিচিত হয়েছেন নানান গাছ-গাছালির সাথে । ১৭৩ সংখ্যাটি প্রমাণ করে তার সেই পরিচিতির কথা। শহরময় বা সাধারণের কাছে পরিচিত যে ফুল যে গাছ শুধু সেগুলােতেই নজরুল নির্ভর করেন নি। অপরিচিত নাম-না-জানা ফুল-লতা-গুল্মেরও নাম বাণীতে, দৃশ্য তৈরিতে চয়ন করে পড়ুয়াদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। নজরুল পড়লে সে সবের সাথে পরিচয় ঘটবে। নজরুল দেশীয় ফুল-গাছসমূহেই মূলত নির্ভর করেছেন। | মধ্যপ্রাচ্যেরও। ফুল এবং সুর মানুষকে প্রাণখােলা করে তােলে- নজরুল এই দুটোকেই ভালােবেসেছিলেন তাই তার রচনায় পাই মানবতার সাহসী কথােপকথন। এমন অসাধারণ ‘পূর্ণ' মানুষটিকে নিয়ে চলে অমানবিক আচরণ। পশ্চিমবঙ্গ এবং ঢাকার | মিডিয়াকুল তাে এমন নির্লজ্জ আচরণ করে চলেছে যে মনে হবে ‘নজরুল' তাদের | প্রতিহিংসার বিষয়। এই বুদ্ধিজীবীরা শিক্ষা দেয় ধর্ম-নিরপেক্ষতার, অসাম্প্রদায়িকতার। অথচ এই দু'টি শব্দের প্রতি সবচেয়ে বেশি অশিক্ষিত আচরণ তারাই করে চলেছেন।