Loading...

ন্যায়সূত্র (হার্ডকভার)

অনুবাদক: আবীর হাসান

স্টক:

১২৬.০০ ৯৪.৫০

একসাথে কেনেন

ফ্ল্যাপে লিখা কথা
বিশ্ব বিপ্লবের প্রতীক চে গুয়েভারা তাঁর সময়ে হয়ে উঠেছিলেন সাম্রাজ্যবাদের জন্য আতঙ্ক। বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে তিনি মার্ক্সবাদী তত্ত্বের সার্থক প্রয়োগ ঘটিয়েছিলেন এবং সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনে যোগ করেছিলেন নতুন মাত্রা। চেয়েছিলেন বিশ্বব্যাপী ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে যাতে দরিদ্র-বঞ্চিত মানুষ ন্যায়সঙ্গত অধিকার অর্জন করতে পারে।মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের ধ্বংস সাধনের পন্থাও বাৎলেছিলন চে। আর একবিংশ শতাব্দীর মানুষ কেমন হবে তার রূপরেখাও এঁকে ছিলেন তিনি। এসব বিষয়ে তার একটি বক্তৃতা , একটি চিঠি এবং একটি নিবন্ধ সঙ্কলিত হয়েছে এই গ্রন্থে। এতে পাওয়া যাবে বিশ্ব সম্পর্কে তাঁর উপলব্ধি, আগামূী পৃথিবী সম্পর্কে তার দূরদর্শী মন্তব্য এবং বিপ্লবী কর্তব্য পালনের আহবান। ন্যায়সূত্র চে গুয়ভারার তাত্ত্বিক ঋদ্ধতার প্রমাণবাহী একটি আকর গ্রন্থ যাতে রয়েছে সেই বিখ্যাত শ্লোগানের ব্যাখ্যা এক দুই বা ততোধিক ভিয়েতনাম সৃষ্টি করুণ...

Naysoutro,Naysoutro in boiferry,Naysoutro buy online,Naysoutro by Ernesto Che guevara,ন্যায়সূত্র,ন্যায়সূত্র বইফেরীতে,ন্যায়সূত্র অনলাইনে কিনুন,আর্নেস্তো চে গুয়েভারা এর ন্যায়সূত্র,9847020900764,Naysoutro Ebook,Naysoutro Ebook in BD,Naysoutro Ebook in Dhaka,Naysoutro Ebook in Bangladesh,Naysoutro Ebook in boiferry,ন্যায়সূত্র ইবুক,ন্যায়সূত্র ইবুক বিডি,ন্যায়সূত্র ইবুক ঢাকায়,ন্যায়সূত্র ইবুক বাংলাদেশে
আর্নেস্তো চে গুয়েভারা এর ন্যায়সূত্র এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 88.20 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Naysoutro by Ernesto Che guevarais now available in boiferry for only 88.20 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ৮১ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2014-02-01
প্রকাশনী সন্দেশ
ISBN: 9847020900764
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

আর্নেস্তো চে গুয়েভারা
লেখকের জীবনী
আর্নেস্তো চে গুয়েভারা (Ernesto Che guevara)

জন্ম ১৪ জুন, ১৯২৮ – মৃত্যু ৯ অক্টোবর, ১৯৬৭। তিনি ছিলেন একজন আর্জেন্টিনীয় মার্কসবাদী, বিপ্লবী, চিকিত্সক, লেখক, বুদ্ধিজীবী, গেরিলা নেতা, কূটনীতিবিদ, সামরিক তত্ত্ববিদ এবং কিউবার বিপ্লবের প্রধান ব্যক্তিত্ব। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল এর্নেস্তো গেভারা দে লা সের্না (স্পেনীয়: Ernesto Guevara de la Serna)। তবে তিনি সারা বিশ্ব লা চে বা কেবলমাত্র চে নামেই পরিচিত। মৃত্যুর পর তাঁর শৈল্পিক মুখচিত্রটি একটি সর্বজনীন প্রতিসাংস্কৃতিক প্রতীক এবং এক জনপ্রিয় সংস্কৃতির বিশ্বপ্রতীকে পরিণত হয়। তরুণ বয়সে ডাক্তারি ছাত্র হিসেবে চে সমগ্র লাতিন আমেরিকা ভ্রমণ করেছিলেন। এই সময় এই সব অঞ্চলের সর্বব্যাপী দারিদ্র্য তাঁর মনে গভীর রেখাপাত করে। এই ভ্রমণকালে তাঁর অর্জিত অভিজ্ঞতা ও পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে এই অঞ্চলে বদ্ধমূল অর্থনৈতিক বৈষম্যের স্বাভাবিক কারণ হল একচেটিয়া পুঁজিবাদ, নব্য ঔপনিবেশিকতাবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ; এবং এর একমাত্র সমাধান হল বিশ্ব বিপ্লব। এই বিশ্বাসের বশবর্তী হয়ে চে রাষ্ট্রপতি জাকোবো আরবেনজ গুজমানের নেতৃত্বাধীন গুয়াতেমালার সামাজিক সংস্কার আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৫৪ সালে সিআইএ-এর ষড়যন্ত্রে গুজমানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হলে চে-র বৈপ্লবিক আদর্শ চেতনা বদ্ধমূল হয়। পরবর্তীকালে মেক্সিকো সিটিতে বসবাসের সময় তাঁর সঙ্গে রাউল ও ফিদেল কাস্ত্রোর আলাপ হয়। চে তাঁদের ছাব্বিশে জুলাই আন্দোলনে যোগ দেন। মার্কিন-মদতপুষ্ট কিউবান একনায়ক ফুলগেনসিও বাতিস্তা উৎখাত করার জন্য গ্রানমায় চড়ে সমুদ্রপথে কিউবায় প্রবেশ করেন। অনতিবিলম্বেই চে বিপ্লবী সংঘের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড পদে তাঁর পদোন্নতি হয় এবং বাতিস্তা সরকারকে উত্খাত করার লক্ষ্যে দুই বছর ধরে চলা গেরিলা সংগ্রামের সাফল্যের ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। কিউবার বিপ্লবের পর চে নতুন সরকারে একাধিক ভূমিকা পালন করেছিলেন। এগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য, বিপ্লবী আদালতে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অভিযুক্তদের আপিল পুনর্বিবেচনা ও ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড প্রদান, শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রী হিসেবে খামার সংস্কার আইন প্রবর্তন, কিউবার জাতীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ও সামরিক বাহিনীর ইনস্ট্রাকশনাল ডিরেক্টরের ভূমিকা পালন, এবং কিউবান সমাজতন্ত্রের প্রচারে বিশ্বপর্যটন। এই পদাধিকারের কল্যাণে তিনি মিলিশিয়া বাহিনীকে প্রশিক্ষণ প্রদানের সুযোগ পান; ফলত এই বাহিনী পিগস উপসাগর আক্রমণ করে তা পুনর্দখলে সক্ষম হয়। কিউবায় সোভিয়েত পরমাণুব্যালিস্টিক মিসাইল আনার ক্ষেত্রেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। চে ছিলেন এক বিশিষ্ট লেখক ও ডায়েরি-লেখক। গেরিলা যুদ্ধের উপর তিনি একটি প্রভাবশালী ম্যানুয়েল রচনা করেন। তরুণ বয়সে দক্ষিণ আফ্রিকায় মোটরসাইকেলে ভ্রমণের স্মৃতিকথাটিও তাঁর অত্যন্ত জনপ্রিয় রচনা। বৃহত্তর বিপ্লবে অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি ১৯৬৫ সালে কিউবা ত্যাগ করেন। প্রথমে কঙ্গো-কিনসহাসায় তাঁর বিপ্লব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। এরপর তিনি বলিভিয়ায় বিপ্লবে অংশ নেন। এখানেই সিআইএ-মদতপুষ্ট বলিভিয়ান সেনার হাতে বন্দী ও নিহত হন চে। চে গেভারা একাধারে ইতিহাসের এক নন্দিত ও নিন্দিত চরিত্র। বিভিন্ন জীবনী, স্মৃতিকথা, প্রবন্ধ, তথ্যচিত্র, গান ও চলচ্চিত্রে তাঁর চরিত্রের নানা দিক ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। টাইম পত্রিকার বিংশ শতাব্দীর সর্বাপেক্ষা প্রভাবশালী ১০০ জন ব্যক্তির তালিকায় তাঁর নাম প্রকাশিত হয়। আবার গেরিলেরো হেরোইকো নামে আলবের্তো কোর্দার তোলা চে-র বিখ্যাত ফটোগ্রাফটিকে "বিশ্বের সর্বাপেক্ষা প্রসিদ্ধ ফটোগ্রাফ" হিসেবে ঘোষিত।

সংশ্লিষ্ট বই