"নানান রঙের মানুষ" বইয়ের পিছনের কভারের লেখা:
বিচিত্র মানুষের বসবাস আমাদের চারপাশে। চলার পথে তারা গল্প করে, গল্প বানায়, গল্প গাঁথে। সেসব গল্পে উঠে আসে জনমানুষের কথা, জীবনের কথা। প্রাণ এবং প্রণােদনার কথা। উৎসাহ এবং উদ্দীপনার কথা। কিছু গল্প ভাবায়, অনুপ্রেরণা দেয়, শক্তি যােগায়। আমাদের আহ্বান করে কল্যাণের দিকে ধাবিত হওয়ার। জীবনকে নতুন করে গড়ে তােলার। সেরকম কিছু গল্প দিয়েই সাজানাে নানান রঙের মানুষ।
Nanan Ronger Manush,Nanan Ronger Manush in boiferry,Nanan Ronger Manush buy online,Nanan Ronger Manush by Rehanuma Binte Anis,নানান রঙের মানুষ,নানান রঙের মানুষ বইফেরীতে,নানান রঙের মানুষ অনলাইনে কিনুন,রেহনুমা বিনতে আনিস এর নানান রঙের মানুষ,9789843439604,Nanan Ronger Manush Ebook,Nanan Ronger Manush Ebook in BD,Nanan Ronger Manush Ebook in Dhaka,Nanan Ronger Manush Ebook in Bangladesh,Nanan Ronger Manush Ebook in boiferry,নানান রঙের মানুষ ইবুক,নানান রঙের মানুষ ইবুক বিডি,নানান রঙের মানুষ ইবুক ঢাকায়,নানান রঙের মানুষ ইবুক বাংলাদেশে
রেহনুমা বিনতে আনিস এর নানান রঙের মানুষ এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 139 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Nanan Ronger Manush by Rehanuma Binte Anisis now available in boiferry for only 139 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন |
পেপারব্যাক | ১৩৬ পাতা |
প্রথম প্রকাশ |
2018-09-01 |
প্রকাশনী |
সমকালীন প্রকাশন |
ISBN: |
9789843439604 |
ভাষা |
বাংলা |
ক্রেতার পর্যালোচনা
1-1 থেকে 1 পর্যালোচনা
-
পর্যালোচনা লিখেছেন 'Md. Jashim Uddin'
~~~~~~~ বই পর্যালোচনা~~~~~~~~~
আমাদের সমাজে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন স্বভাব, চরিএ, ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন, ভিন্ন বৈশিষ্টের মানুষ। জীবনে চলার পথে বিভিন্ন ধরণের মানুষের সাথে আমাদের পরিচয় হয়, বিভিন্ন মানুষের মনের বিভিন্ন রং আমাদের মনেও বিচিএ রংধনু রূপে প্রতিফলিত হয়। কিছু মানুষ আছে যাদের সংস্পর্শ আমাদের ভালো লাগে, কিছু মানুষের ভালোবাসার উষ্ণতায় আমরা উদ্বেল হই, কখনো মানুষের উদারতায় মুগ্ধ হই, কখনো অপরের মনের বেদনাগুলো আমাদের মনকেও রাঙিয়ে দিয়ে যায় বেদনার নীলে, কিছু মানুষের হিংসা ঘৃণা জিঘাংসা কৃতঘ্নতার কালো অন্ধকারে আমরা ভীত হই, আবার কখনো সাদা রঙের মানুষের সাথে মিশতে মিশতে আমাদের মনটাও পবিএ হয়ে যায়। বিচিএ এ মানুষগুলোর বসবাস আমাদের সমাজেই। সমাজের এই বিচিএ মানুষগুলোকে নিয়েই লেখা ‘নানান রঙের মানুষ’ বইটি।
★বইটি থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ উল্লেখ করছি, যা পাঠকদের বইটি পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করবে-
~~~~ ওরা পাকিস্তানী~~~~~
পাকিস্তানী নাম শুনলেই আমাদের মধ্যে এক অন্যরকম ধারণার সৃষ্টি হয়। আর হবে নাই বা কেন? পাকিস্তানিরা আমাদের উপর তো কম অত্যাচার করে নি। কিন্তু সব পাকিস্তানীই কি সমান?
শীত যাই যাই করছে, আমাদের পাড়ার মধ্যেই আরেকটা নতুন বাসায় শিফট হলাম। বেচারা, তার নাম শাফকাত ভাই, বৃষ্টির মধ্যে নিজে মাথায় করে ভারী বিছানা আগের বাসা থেকে নতুন বাসায় এনে আমাদের সাথে ধরাধরি করে সেট করে দিলেন। শিফট করার শেষ দিন রান্না করতে কষ্ট হবে বলে তার স্ত্রী হাবিবা আমাদের বাসায় দাওয়াত করে খাওয়ালেন। আমাদের পাড়ায় দু’টো বাংলাদেশী পরিবার আছে। তাদের কাছেও আমরা এই সহযোগিতা আশা করিনি। তাই সপ্রণোদিত হয়ে এই সাহায্য আমাদের হৃদয় ছুয়েঁ দিল।
~~~~~~~~সত্যানুসন্ধানী~~~~~~~
আমাদের মাসজিদে জুমু’আর নামাযের পর এক শেতাঙ্গ ক্যানাডিয়ান ইসলাম গ্রহণ করলেন। ইমামের সাথে প্রথমে ‘আরবীতে এবং অত:পর ইংরেজিতে শাহাদাহ’র বাক্যগুলো উচ্চারণ করলেন। সাথে সাথে পুরো মাসজিদ ‘আল্লাহু আকবার’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হলো। নবাগত মুসলিম ভাইটি কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন।
ইউসুফ এস্টেস সাহেব একবার এক ব্যক্তির শাহাদাহ কবুলের পর ব্যাখা করলেন, কোন ব্যাক্তি যখন সত্যকে গ্রহণ করে তখন তার হৃদয়ে আল্লাহর পক্ষ থেকে যে করুণাধারা বর্ষিত হয় সে কারণেই তার দুচোখ প্লাবিত হয়, এর দ্বারা তার অতীতের সব পঙ্কিলতা ধুয়ে মুছে পরিষ্কার হয়ে যায়।
~~~~~~~~~~পরিশেষে~~~~~~
বইটি ১৮টি খন্ডের প্রথম অংশে লেখিকা তার সাদামাটা জীবনের অভিজ্ঞতার ঘটনাগুলো এবং দ্বিতীয় অংশের গল্পগুলো সত্যিকার মানুষজনের বাস্তজীবনের অভিজ্ঞতার আলোকে সাজিয়েছেন। আমাদের চারপাশের হরেক রকম মানুষের হরেক রকম গল্প নিয়েই মূলত সাজানো হয়েছে এ বইটি।সাহিত্যপাঠে অভ্যস্ত যেকোনো পাঠকের জন্য বইটি নির্মল আনন্দের খোরাক হবে, ইন শা আল্লাহ।
June 29, 2022
লেখকের জীবনী
রেহনুমা বিনত আনিস (Rehanuma Binte Anis)
রেহনুমা বিনত আনিস
জন্ম চট্টগ্রামে, শৈশব ঢাকায়, কৈশোর আবুধাবি ও ভারতে। বিয়ের পর আবার চট্টগ্রামে ফিরে আসা। বর্তমানে স্বামী ও দুই সন্তানসহ ক্যানাডায়। আদর্শবাদী ও জ্ঞানানুরাগী একটি পরিবারে বেড়ে ওঠা। ছোটবেলা থেকেই মুখচোরা। বইপোকা।
ইংরেজিতে অনার্স মাস্টার্স। ছাত্রাবস্থায় চট্টগ্রামের সিজিএস ও প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে শিক্ষকতা। মাস্টার্সের পর ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রামের ইংরেজি বিভাগে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা অনেক দিনের।
ভালো লাগে বিশ্বসাহিত্য। অত্যধিক আগ্রহের ফলে জ্ঞানের মোটামুটি সব শাখাতেই অল্পবিস্তর বিচরণ।
ছোটবেলায় ‘শিশু’ ম্যাগাজিনে ছোটদের লেখা পড়ে উদ্দীপ্ত হয়ে লেখালেখিতে হাতেখড়ি। পাঁচ বছর বয়স থেকে কবিতা লেখা দিয়ে সূত্রপাত হলেও প্রথম প্রকাশ নয় বছর বয়সে, আবুধাবির ‘ইয়াং টাইমস’ এবং ‘জুনিয়র নিউজ’-এ। ‘ইয়াং টাইমস’-এ নির্বাচিত লেখিকা হয়ে সামান্য পরিচিতি। এসএসসি’র পর দেশে ফিরে প্রথম বাংলায় লেখালেখি শুরু। পরবর্তী সময়ে বৃহত্তর অঙ্গনে পদচারণা, নানান কাজে সংশ্লিষ্টতা এবং শিক্ষকতার সুবাদে নানা রঙের অভিজ্ঞতা দিয়ে বোঝাই হয়েছে ঝুলি।
সমাজের নানা সংগতি-অসংগতি নিয়ে ভাবনাটা আর দশজনের সাথে ভাগাভাগি করতে গিয়ে লেখালেখির বিস্তৃতি। পাঠকদের চিন্তাশীলতা জাগ্রত করতে পারাই এই প্রচেষ্টার সার্থকতা।