ক্রেতার পর্যালোচনা

1-1 থেকে 1 পর্যালোচনা

• পর্যালোচনা লিখেছেন 'Maimuna Rahman'

  গান-বাজনার ব্যাপারে মালিকি মাযহাব বলেন: গান-বাজনা ফাসিকদের কাজ।( কুরতুবি-আত-তাফসীর:১৪/৫৫) দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা যেখানেই যায় না কেন..! বিয়ে বাড়ি,বাস,পার্ক,শপিং মল,স্কুলকলেজ -ইউনিভার্সিটি,রাস্তাঘাটসহ যেখানে সেখানে গান-বাজনা চলতেই আছে কারণে অকারণে। কি একটা অদ্ভুত ব্যাপার তাই না? সুখেদুঃখে সব সময় এই গান-বাজনায় মানুষের একমাত্র সঙ্গী এই উন্মাদ দুনিয়ার। বাংলা-হিন্দি,ইংলিশ, জাপানিজ, চাইনিজ, এরাবিকসহ নানা ভাষার গান শুনতে দেখা যায় এই যুগের তরুণ সমাজকে। তারা গানের ভাষা বুঝুক বা না বুঝুক। তারা গান শুনবেই আর সেই গানের সুরের তালে তালে নিজে নাচবে ও গাইবে। কতই না মারাত্মক...! ইবনু তাইমিয়্যা (রহ.) বলেন, বাদ্যযন্ত্র অন্তরের মদের ন্যায়। যা মদের মতো অন্তরে নেশা সৃষ্টি করে। ( মাজমূউল ফাতাওয়া:১০/৪১৭) আর এই নেশা এতই ক্ষতিজনক যে তা আমাদের হৃদয়কে বিষাক্ত করে দেই। একজন মানুষকে তার রবকে ভুলিয়ে রাখে। সে দ্বীন থেকে ছিটকে পড়ে এক অন্ধকার জগতে যে, জগতটা অতি ভয়ংকর। আর সেই জগত থেকে বের হওয়ার ইচ্ছাশক্তি যদি না জাগে তো তাদের ঈমাদের শেষ বিন্দুটুকু ও শেষ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। হাদিসে বর্ণিত আছে: রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ ‘অবশ্যই, অবশ্যই আমার পরে এমন কিছু লোক আসবে যারা যেনা, রেশম, নেশাদার দ্রব্য ও গান-বাজনা বাদ্যযন্ত্রকে হালাল মনে করবে’ (বুখারী হা/৫৫৯০)। বই পর্যালোচনা : বইটি তে লেখক কিছু টপিক দিয়ে বইটির ইতি টেনেছেন মাত্র ২৭ পৃষ্ঠাতেই। মিউজিক যে শয়তানের সুর তার ব্যাপারে কুরআন,সুন্নাহ ও আলেম গণের মতামত দিয়ে সাজিয়েছেন। এমনকি লেখক ২ টি টপিক উল্লেখ করেছেন শেষের দিকে যা আমাদের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। ১. বাদ্যযন্ত্র ধ্বংসের ব্যাপারে আলেম গণের অভিমত। ২. যারা গান-বাজনা হালাল মনে করে তাদের কিছু ভ্রান্তি। বইটি যেকারণে পড়া উচিত: গান-বাজনা আমাদের ঈমান ধ্বংসকারী। আমাদের এই গান-বাজনা থেকে বাঁচতে হবে। যারা এরাবিক গান গুলোকে হালাল মনে করেন তাদের জন্য বইটির সূচনাতেই " লেটেস্ট' ইসলামিক সিডি " নামের একটি গল্প আছে যা আমাদের এই পার্থিব দুনিয়ার জন্য খুবই উপকারী।

  June 23, 2022