ভূমিকা দীন ইসলামের একমাত্র উদ্দেশ্য হল সারা বিশ্বকে সমতায় আনয়ন করা। তার ছায়ায় উচু-নীচু, বাদশা-ফকীর, আমীর-গরীব, নারী-পুরুষ সব সমান। শিক্ষা-দীক্ষা, আইন-আদালত, রীতি-নীতি ইত্যাদির মাধ্যমে ইসলাম সারা দুনিয়ায় সাম্যের বাণী পৌছিয়ে দিয়েছে। আর সেজন্যেই বদলে গেছে পূর্বেকার ধর্মমত, কুসংস্কার, কৃষ্টি ও রাজনীতির চেহারা। এসবের মাঝে নবতর জীবনের যে জোয়ার এসেছে, ইসলাম এটা সৃষ্টি করাকেই সর্বপ্রথম ফরয বলে গণ্য করেছে। ইসলামের আগে জগতে যে উন্নতি সাধিত হয়েছিল, তা শুধু পুরুষের চরিত্র ও মেধাশক্তির বিস্ময়কর রূপ। মিসর, ব্যাবিলন, ইরান, গ্রীস ও ভারত বিভিন্ন বড় বড় সভ্যতার লীলাভুমি। অথচ এসব সভ্যতার পেছনে নারী জাতি অন্তত যে পূতঃকর্মের যােগান দিয়েছিল, তার স্বীকৃতিও নেই। ইসলাম উন্নয়নের বাহন হিসবে নারী-পুরুষ উভয়ের পরিশ্রম ও সাধ্য-সাধনাকে এক ও অভিন্ন মর্যাদা দিয়েছে। এরই ফলে যখনই ইসলামী সভ্যতায় বসন্ত এসেছে তখনই সৃষ্টি হয়েছে সেখানে এক নবরূপ রঙ। জগতের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে নারীকে দেখা হয়েছে। প্রাচ্যে নারী হল পুরুষের পবিত্রতার অঙ্গনে একটা কলঙ্ক। রােমে গৃহের সামগ্রী, গ্রীসে শয়তান, তৌরাতে স্থায়ী লা'নতের পাত্র। খ্রীষ্টান-গির্জার মানবতার পথে একটা কন্টক। ইউরােপে প্রায় আল্লাহর আসনে বরণ করে নিয়েছে। কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পূর্ণ আলাদা। সেখানে নারী-সভ্যতার সুরভি, মানবতার প্রসাধনী।। | হযরত ইমাম বুখারী রহ. হযরত উমর ফারুক রাযি.-এর বাণী বর্ণনা করেছেনঃ “মক্কায় আমরা নারীকে বাজে মনে করতাম,সে তুলনায় মদীনায় নারীর সামান্য মূল্যমান ছিল। ইসলামের আগমনের পর নারী জাতির অধিকার সম্বন্ধে পবিত্র কুরআনের আয়াত নাযিল হয়, তখন আমরা তাদের মর্যাদা বুঝতে সক্ষম হই।