আল্লাহর একত্ববাদী অস্তিত্ব ও বিশা¦সের উত্তরাধিকার বুকে নিয়ে যাঁরা পার্থিব জীবনে মানব-কল্যাণের প্রতিশ“্রতি পালন করেন, সংশয়াতীতভাবে তাঁরা, আল­াহর মনোনীত পুরুষ-ব্যক্তিত্বÑ পরিভাষায় আমরা যাঁদের নবী বা রাসূল বলি। বস্তুত তাঁদের জন্ম-মৃত্যু, জীবন ও কর্ম-চাঞ্চল্য পার্থিব ও পারলৌকিক জীবনের সংজ্ঞা নিরূপণে অতি-তৎপর। কেননা, আল­াহর মনোনীত এসব পবিত্রাত্মা প্রতিপালকের কাক্সিক্ষত জীবনাদশর্কেই জগতের বুকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য দায়বদ্ধ। অতএব একজন নবী বা রাসূলের নিজস্ব বলতে কিছুই থাকে না। অথচ তাঁকে নিঃস্বও বলা যাবে না। কেননা, আল্লাহ তাঁকে অঢেল উপকরণ-প্রাচুর্যে পূর্ণ রাখেন। নিয়ত-সমৃদ্ধ তিনি। প্রজ্ঞাই তাঁর প্রাণ। আর প্রাণের প্রদীপ জ্বেলেই তিনি পথ চলেন। এ দীপশিখা যাতে নিভে না যায়, আল­াহ তারও নেপথ্য আয়োজন অব্যাহত রাখেন নানা প্রকরণে-প্রতিবেশের আনুকূল্য যার মধ্যে একটি। এ প্রতিবেশ থেকে উঠে আসেন এক-একজন গরিয়সী নারী, নবী- পতœী হিসেবে যাঁরা তাঁর প্রাণের প্রদীপকে ঝড়ো বাতাসের প্রকোপ থেকে সযতে রক্ষা করেন। সুনির্মল হৃদয়ের আতিথ্য দিয়ে তাঁকে প্রদীপ্ত ও পুলকিত রাখেন। তাঁর সঙ্গিনী-নামের, কর্মের আর মর্মের। অতএব ধর্মেরও। যে ধর্ম আকাশের নক্ষত্র কিংবা নীহারিকা নয় অথবা নয় পৃথিবীর বিশেষ নামাঙ্কিত কোনো বস্তু। বস্তুত ধর্মই জীবন। জীবনের প্রতিটি ভাঁজে জড়িত অপরিত্যাজ্য এক রক্তকণিকা অথবা শা¦স-প্রক্রিয়া। একজন নবী বনিতাও তাই নেপথ্যে নবী-জীবনে রক্তস্রোত বাহিত করেন। শা¦সক্রিয়াকে সচল রাখেন। প্রচুর দায়িত্ব তাঁর। প্রায় অপরিমেয়। এ অর্থে, নবী পতœীরাও আল­াহর মহার্ঘ উপহার। তাঁর প্রিয়জনের পূর্ণতার প্রয়োজনে তিনি তাঁদের চয়ন করেন। পূর্ণতার প্রয়োজনেই একদা দূর অতীতে আদি পুরুষ হযরত আদম আলাইহিস সালামের জন্য হযরত হাওয়া আলাইহিস সালামের সৃষ্টি। আর ঐ তাগিদেই পৃথিবীতে আল­াহর সর্বশেষ প্রতিনিধির জন্য হযরত খাদিজাতুল কুবরা !-এর অন্যান্য মহীয়সী প্রিয়তমার সুখ, সমৃদ্ধ সমাবেশ।