Loading...

ম্যাসেজ ফর ইয়ংগার (হার্ডকভার)

স্টক:

২২৫.০০ ১৬৮.৭৫

আমরা এ পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেছি একটা উদ্দেশ্য সাধনের নিমিত্তে-একটা বাণী প্রচারের জন্য। আলোকে জগৎ উদ্ভাসিত করবার জন্য যদি গগনে সূর্য উদিত হয়, গন্ধ বিতরণের উদ্দেশ্যে বনমধ্যে কুসুমরাজি যদি বিকশিত হয়, অমৃতময় বারিদান করতে তটিনী যদি সাগরাভিমুখে প্রবাহিত হয়-যৌবনের পূর্ণ আনন্দ ও ভরা প্রাণ নিয়ে আমরাও মর্ত্যলোকে নেমেছি একটা সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য। যে অজ্ঞাত গূঢ় উদ্দেশ্য আমাদের ব্যর্থ জীবনকে সার্থক করে তোলে তা আবিষ্কার করতে হবে-ধ্যানের দ্বারা, কর্মজীবনের অভিজ্ঞতার দ্বারা।
যৌবনের পূর্ণ জোয়ারে আমরা ভেসে এসেছি সকলকে আনন্দের আস্বাদ দেবার জন্য, কারণ আমরা আনন্দের স্বরূপ। আনন্দের মূর্ত বিগ্রহরূপে আমরা মর্ত্যে বিচরণ করব। নিজের আনন্দে আমরা হাসব-সঙ্গে সঙ্গে জগৎকেও মাতাব। আমরা যেদিকে ফিরব, নিরানন্দের অন্ধকার লজ্জায় পালিয়ে যাবে, আমাদের প্রাণময় স্পর্শের প্রভাবে রোগ, শোক, তাপ দূর হবে।
এই দুঃখ-সঙ্কুল, বেদনাপূর্ণ নরলোকে আমরা আনন্দ-সাগরের বাণ ডেকে আনব।
আশা, উৎসাহ, ত্যাগ ও বীর্য নিয়ে আমরা এসেছি সৃষ্টি করতে, কারণ-সৃষ্টির মধ্যেই আনন্দ। তনু, মন-প্রাণ, বুদ্ধি চালিয়ে দিয়ে আমরা সৃষ্টি করব। নিজের মধ্যে যা কিছু সত্য, যা কিছু সুন্দর, যা কিছু শিব আছে-তা আমরা সৃষ্ট পদার্থের মধ্যে ফুটিয়ে তুলব। আত্মদানের মধ্যে যে আনন্দ সে আনন্দে আমরা বিভোর হব, সেই আনন্দের আস্বাদ পেয়ে পরিবর্তন হবে।
কিন্তু আমাদের দেওয়া শেষ নেই, কর্মেরও শেষ নেই কারণ-
“যত দেব প্রাণ বহে যাবে প্রাণ
ফুরাবে না তার প্রাণ;
এত কথা আছে এত প্রাণ আছে
এত প্রাণ আছে মোর
এত সুখ আছে, এত সাধ আছে
প্রাণ হয়ে আছে ভোর।”অনন্ত আশা, অসীম উৎসাহ, অপরিমের তেজ ও অদম্য সাহস নিয়ে আমরা এসেছি-তাই আমাদের জীবনের স্রোত কেউ রোধ করতে পারবে না। অবিশ্বাস ও নৈরাশ্যের পর্বতরাশি সম্মুখে এসে দাঁড়াক অথবা সমবেত মনুষ্য-জাতির প্রতিকূল শক্তি আমাদের আক্রমণ করুক,-আমাদের আনন্দময়ী গতি চিরকাল অক্ষুণ্নই থাকবে।
আমাদের একটা বিশিষ্ট ধর্ম আছে-সেই ধর্মই আমরা অনুসরণ করি। যা নতুন, যা সরস, যা অনাস্বাদিত-তারই উপাসক আমরা। আমরা এনে দিই পুরাতনের মধ্যে নতুনকে, জড়ের মধ্যে চঞ্চলকে, প্রবীণের মধ্যে নবীনকে এবং বন্ধনের মধ্যে অসীমকে। আমরা অতীত ইতিহাসলব্ধ অভিজ্ঞতা সব সময়ে মানতে প্রস্তুত নই। আমরা অনন্ত পথের যাত্রী বটে কিন্তু আমরা অচেনা পথই ভালোবাসি-অজানা ভবিষ্যৎই আমাদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। আমরা চাই “the right to make blunders” অর্থাৎ “ভুল করবার অধিকার”। তাই আমাদের স্বভাবের প্রতি সকলের সহানুভূতি নাই, আমরা অনেকের কাছে সৃষ্টিছাড়া ও লক্ষ্মীছাড়া।
এতেই আমাদের আনন্দ; এখানেই আমাদের গর্ব। যৌবন বর্ষাকালে সর্বদেশে সৃষ্টিছাড়া ও লক্ষ্মীহারা। অতৃপ্ত আকাক্সক্ষার উন্মাদনায় আমরা ছুটে চলি-বিজ্ঞের উপদেশ পর্যন্ত অবসর আমাদের নাই। ভুল করি, ভ্রমে পড়ি, আছাড় খাই, কিন্তু কিছুতেই আমরা উৎসাহ হারাই না বা পশ্চাদপদ হই না। আমাদের তা-ব-লীলার অন্ত নাই, কারণÑআমরা অবিরামগতি।
আমরাই দেশে দেশে মুক্তির ইতিহাস রচনা করে থাকি। আমরা শান্তির জল ছিটাতে এখানে আসি নাই। বিবাদ সৃষ্টি করতে, সংগ্রামের সংবাদ দিতে, প্রলয়ের সূচনা করতে আমরা এসে থাকি। যেখানে বন্ধন, যেখানে গোঁড়ামি, যেখানে কুসংস্কার, যেখানে সঙ্কীর্ণতা-সেখানেই আমরা কুঠার হস্তে উপস্থিত হই। আমাদের একমাত্র ব্যবসায় মুক্তির পথ চিরকাল বণ্টকশূন্য রাখা, যেন সে পথ দিয়ে মুক্তির সেনা অবলীলাক্রমে গমনাগমন করতে পারে।

Message For Younger,Message For Younger in boiferry,Message For Younger buy online,Message For Younger by Subhaschandra Bosu,ম্যাসেজ ফর ইয়ংগার,ম্যাসেজ ফর ইয়ংগার বইফেরীতে,ম্যাসেজ ফর ইয়ংগার অনলাইনে কিনুন,সুভাষচন্দ্র বসু এর ম্যাসেজ ফর ইয়ংগার,9789849411246,Message For Younger Ebook,Message For Younger Ebook in BD,Message For Younger Ebook in Dhaka,Message For Younger Ebook in Bangladesh,Message For Younger Ebook in boiferry,ম্যাসেজ ফর ইয়ংগার ইবুক,ম্যাসেজ ফর ইয়ংগার ইবুক বিডি,ম্যাসেজ ফর ইয়ংগার ইবুক ঢাকায়,ম্যাসেজ ফর ইয়ংগার ইবুক বাংলাদেশে
সুভাষচন্দ্র বসু এর ম্যাসেজ ফর ইয়ংগার এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 191 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Message For Younger by Subhaschandra Bosuis now available in boiferry for only 191 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ১২৮ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2022-05-22
প্রকাশনী শোভা প্রকাশ
ISBN: 9789849411246
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

সুভাষচন্দ্র বসু
লেখকের জীবনী
সুভাষচন্দ্র বসু (Subhaschandra Bosu)

কংগ্রেস দলের বামপন্থী নেতা, ফরওয়ার্ড ব্লক এর প্রতিষ্ঠাতা ও ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির সর্বাধিনায়ক। সুভাষচন্দ্র বসু ছিলেন জানকীনাথ বসু ও প্রভাবতী দেবীর চৌদ্দ সন্তানের মধ্যে নবম। ১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি এখনকার ওড়িশা রাজ্যের কটক শহরে সুভাষচন্দ্র জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈত্রিক বাড়ি অবশ্য ছিল পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বারুইপুরের কাছে কোদালিয়া গ্রামে। ১৯১৯ সালে দর্শনে প্রথম শ্রেণিতে বিএ পাস করেন তিনি। এরপর বাবা-মায়ের ইচ্ছায় ১৯২০ সালে ইংল্যান্ডে গিয়ে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসেন। এই পরীক্ষাতে চতুর্থ স্থান অধিকার করলেও, ১৯২১ সালে সিভিল সার্ভিস থেকে পদত্যাগ করেন এবং দেশে ফিরে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের অধীনে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দেন। দেশবন্ধুর মৃত্যুর পর তিনি তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়ে কলকাতা শহরের মেয়র হয়েছিলেন। ১৯৩৮ সালে মহাত্মা গান্ধীর লবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁকে ইংরেজরা জেলে বন্দী করে। ১৯৩৮ সালে হরিপুরা কংগ্রেস অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত হন সুভাষ। কিন্তু গান্ধীজির সঙ্গে মতবিরোধ হওয়ায় ১৯৩৯ সালের এপ্রিল মাসে তিনি সেই পদ ত্যাগ করেন। এরপর জওহরলাল নেহেরুর সঙ্গেও তাঁর মতবিরোধ হয়। তখন কংগ্রেসের মধ্যেই তিনি ফরওয়ার্ড ব্লক নামে একটি রাজনৈতিক উপদল তৈরি করেন। এরপরই ব্রিটিশ সরকার তাঁকে গৃহবন্দী করে। ১৯৪১ সালের ২৬ জানুয়ারি সুভাষচন্দ্র বাড়ি থেকে অন্তর্হিত হন। এরপর দেশের বাইরে গিয়ে ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য সৈন্য ও রসদ সংগ্রহ শুরু করেন। প্রথমে জার্মানির সঙ্গে কথা বলেন। পরে জাপানের সক্রিয় সাহায্য আদায় করেন। ১৯৪২ সালের জানুয়ারি মাসে রেডিও বার্লিন থেকে নিয়মিত বেতার সম্প্রচারও শুরু করে দেন সুভাষ। পরের বছর পূর্ব এশিয়ায় গিয়ে রাসবিহারী বসুর হাত থেকে ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। গড়ে তোলেন আজাদ হিন্দ ফৌজ বা ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি। এই ফৌজে তিনিই হন সর্বাধিনায়ক। দেশবাসী তাঁকে ‘নেতাজি’ অর্থাৎ ‘মহান নেতা’ সম্মানে ভূষিত করেন। ১৯৪২ সালের ২১ অক্টোবর নেতাজি ‘আর্জি-হুকুমৎ-এ-আজাদ হিন্দ’ বা ‘আজাদ হিন্দ সরকার’ ঘোষণা করেন। এই সরকার সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ভারতে ব্রিটিশ শাসনমুক্ত করার জন্য বদ্ধপরিকর হয়। জাপানি বাহিনীর সহায়তায় আজাদ হিন্দ ফৌজ ভারত অভিযান চালায়। মণিপুরের কোহিমা দখল করে স্বাধীন ভারতের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে এই বাহিনী। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জও দখল করেছিলেন তাঁরা। নেতাজি এই দ্বীপের নাম রেখেছিলেন ‘শহীদ ও স্বরাজ দ্বীপপুঞ্জ’। বলা হয়, ১৯৪৫ সালের ১৮ অগস্ট তাইওয়ানের তাইপেইতে এক বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর সত্যতা আজও প্রমাণিত হয়নি। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে নেতাজি সুভাষচন্দ্রের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সকল দেশবাসীকে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে এক অখণ্ড জাতিসত্ত্বায় বেঁধে জাতীয় সংহতিকে দৃঢ় করেছিলেন। আজাদ হিন্দ ফৌজের জওয়ানদের মধ্যে তিনি ভালবাসা ও আনুগত্যের এক আশ্চর্য অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করেছিলেন। এমনকি দেশ স্বাধীন হলে সেদেশের প্রশাসন ও অর্থনৈতিক পরিকল্পনা কেমন হবে, তাও ঠিক করে রেখেছিলেন তিনি। ১৯৯২ সালে তাঁকে দেশের সর্বোচ্চ সম্মান ‘ভারতরত্ন’ দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়। কিন্তু তাঁর পরিবারবর্গের আপত্তিতে এই সম্মান দেওয়া হয়নি। তাকে সুভাষ চন্দ্র বোস ও বলা হয়।

সংশ্লিষ্ট বই