বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার কাজ এখনো অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। গণতন্ত্র মানে স্রেফ ভোটাভুটি নয়। জনগণের ভোটে প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে— গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের এই রীতিনীতি নিয়ে কোনো তর্ক করা চলে না। কিন্তু খোদ রাষ্ট্রকাঠামোই যদি অগণতান্ত্রিক হয়, তাহলে নির্বাচন জনগণের কষ্টে উপার্জিত অর্থের শ্রাদ্ধ ছাড়া আর কিছুই হয় না।
\বাংলাদেশের সাংবিধানিক ক্ষমতাকাঠামোর ধরনটাই এমন যে, জনগণের ভোট দেওয়া না দেওয়ায় কিছু যায় আসে না। তবু ‘মন্দের ভালো’ পঞ্চবার্ষিকী ভোটাভুটিটুকুও যে উঠে গেল, এর বীজ আমাদের ‘মহান’ সংবিধানেই ঘাপটি মেরে ছিল।
সেই অগণতান্ত্রিক মহাদানব এখন মাথা চাড়া দিয়ে দৃশ্যমান হওয়ায় আমাদের মাথাখারাপ দশা। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণই সারকথা। জনগণ তার প্রয়োজনে রাষ্ট্র গঠন করে, প্রশাসন পরিচালনা করে, নিজেদের মৌলিক অধিকার সংবিধানে টুকে রাখে। এর অন্যথা হলে বুঝতে হবে রাষ্ট্রটা আর গণতান্ত্রিক নাই, ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। এ থেকে পরিত্রাণের পথ স্পষ্ট, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিগঠনের গণসচেতনতা গড়ে তোলা।
সারোয়ার তুষার এর মারণ-রাজনীতি এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 338 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। maron-rajniti by Sarwar Tusharis now available in boiferry for only 338 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.