বিশ্বের মহাশক্তিধর পরাশক্তি আমেরিকার কিতাবি নাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। উত্তর আমেরিকা মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত এই দেশটি ১৪৯৩ সালে কলম্বাসের মাধ্যমে প্রথম সভ্যতার ছোঁয়া পায়। প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগরের মাঝামাঝি এ ভূমিতে আদিবাসী রেড ইন্ডিয়ানদের উচ্ছেদ করে পশ্চিমা সভ্যতা বাসা বাঁধতে শুরু করে। ১৭৮৯ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তির হাত থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেয়ার পর দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট হন জর্জ ওয়াশিংটন। স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রবাদপুরুষ জর্জ ওয়াশিংটন পরপর দুই দফা প্রেসিডেন্ট থাকার পর আড়াইশত বছরের মার্কিন ইতিহাসে মােট ৪৫ জন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব পালন করেছেন। জর্জ ওয়াশিংটন থেকে বারাক ওবামা, প্রায় সব প্রেসিডেন্টই বিশ্বের সামগ্রিক রাজনীতি ও অর্থনীতির পালাবদলে ভূমিকার জন্য আলােচিতসমালােচিত। বিশ্বজুড়ে বিতর্কিতও হয়েছেন অনেকে। সেই খাতায় এবার যুক্ত হয়েছেন ৪৫তম প্রেসিডেন্ট ডােনাল্ড জে. ট্রাম্প। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে গণতান্ত্রিক সৌন্দর্যের কারণেই ক্ষমতাধর দেশটি গােটা বিশ্ব দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। অন্যান্য দেশের গণতন্ত্রের সাথে মিল খুব কম থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। মার্কিন গণতন্ত্রের সৌন্দর্য বিশ্বে রােল মডেল হিসেবে খ্যাতি ছড়ালেও দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। সমালােচিত ইলেক্টোরাল পদ্ধতির মারপ্যাচে পড়ে পপুলার ভােট বেশি পেয়েও ডােনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হার মানতে হয়েছে হিলারি ক্লিনটনকে। | বিশ্ব রাজনীতি, কূটনীতি ও অর্থনীতির মােড়ল যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন নীতি মাঝেমধ্যেই বিশ্বকে কাঁপিয়ে তােলে। মার্কিন ক্ষমতার পালাবদলের ওপর নির্ভর করে অনেক দেশের ভালাে-মন্দ। কথায় আছে, যুক্তরাষ্ট্রে একবার যুদ্ধবাজ এবং পরেরবার শান্তিকামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে বিশ্বময় শান্তির সুবাতাস ছড়িয়ে দেয়। একথার শতভাগ সত্যতা না মিললেও যুক্তরাষ্ট্রের