মানব জীবনের একটি সুন্দর সময় তারুণ্য। শিশুকাল থেকে বার-চৌদ্দ বছর সময়ের মত এমন সুন্দর সময় জীবনে আর কখনাে খুঁজে পাওয়া যায় না। মানুষের জীবনের লক্ষ্য ও গতিবিধির বীজ এখানেই বপন হয়। আর এই সময় হাসি-আনন্দ জীবনের চাঞ্চল্য যেন পাহাড় সম হয়। সকলের স্নেহ ভালবাসায় সিক্ত হয়। আর সে যদি হয় সম্রান্ত পরিবারের ছেলে মেয়ে তবে তাে ভালােবাসার পাল্লা আরাে ভারি হয়। গ্রাম গায়ের এক সনাম ধন্য মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিন সিকদার সাহেব। সামাজিকতা ও ব্যক্তিত্বের অধিকারী রবিন সিকদার সাহেবের কন্যা মাধবীলতা। শিশুকাল থেকে কৈশাের ও তারুণ্যে প্রধান শিক্ষকের কন্যা হিসাবে সুন্দরী ও ফুট ফুটে মাধবীলতা বয়জ্যেষ্ঠ ও বড় ভাই বােনের কাছে আদরের ছিল। বাড়ির গণ্ডি পেরিয়ে গ্রাম ও স্কুল পর্যন্ত সকলের আদরের ছিল। | বয়স বাড়ার সাথে সাথে নিজের রূপ ও গুণে গ্রামের অলংকার রূপে আবির্ভাব হল মাধবীলতা। ফুলগাছে ফুল না ফুটলে যেমন ফুলগাছের পূর্ণতা আসেনা তেমনই প্রত্যেক গ্রামে কিছু কিছু কন্যা থাকে যারা গ্রামের অলংকার স্বরূপ। নানা-নানী, দাদা-দাদী, ভাইবােন সকলের কাছেই এরা প্রিয় হয় আবার যারা তারণ্যে ভাবাবেগে থাকে তাদের চেতনাকে যেন নতুন গতি সঞ্চার করে। দেখতে দেখতে মাধবীলতা কৈশাের পেরিয়ে যৌবনে পদাপর্ণ করেছে। উচ্চ মাধ্যমিকে ভালাে রেজাল্ট করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছে। রবিন সিকদার সাহেবের ইচ্ছা ছিলাে মেয়েকে ডাক্তারী পড়াবে কিন্তু মাধবীলতা বাবার | সে আশা পূরণ করতে পারে নি। তবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়াও অতাে সহজ নয়।