এই বইতে নাবিল সহজ ভাষায় সিনেমা শুরুর ইতিহাস যেমন বলেছে, তেমনি শুরুর দিকে বিশ ¦ চলচ্চিত্রের আন্দোলন যা বিশ্বের চলচ্চিত্রের ভাষাকে বদলে দিয়েছে, তা নিয়েও আলোকপাত করেছে। বিশ ¦ চলচ্চিত্র নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ভারতবষর্ ও বাংলাদেশের শুরুর দিকে নির্মিত চলচ্চিত্রের উপর রেখাপাত করেছে। এমনকি বতর্মানে বাংলাদেশী নতুন যুগের কিছু সিনেমা নিয়েও আলোচনা করেছে।

নাবিল এই বইতে অতি যত ড়ব সহকারে চলচ্চিত্রের আদি থেকে অš Í পর্যš Í তুলে ধরতে চেয়েছেন। সিনেমা শুরুর গল্প বিশদভাবে এবং প্রায় সঠিকভাবে শুরু করেছে। বিশ্বের চলচ্চিত্র শুরুর দিকে প্রধান সিনেমা আন্দোলনগুলোর একটা চিত্র তুলে ধরেছেন। এই উপমহাদেশের সিনেমার কথা বলতে গিয়ে তিনি মানিকগঞ্জের হীরালাল সেনের কথা বলেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৫৪ সালে এ দেশে প্র ম নির্মিত বাংলা সবাক চলচ্চিত্র আবদুল জব্বার খান পরিচালিত ‘মুখ ও মুখোশ’-এর উল্লেখ করেছেন। সেই সাথে একগুচ্ছ নতুন যুগের বাংলাদেশ সিনেমা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে ‘শুনতে কি পাও’ প্রামাণ্য ছবিটির ডিটেলস তুলে ধরেছেন, এবং ছবিটি ইউরোপের অন্যতম প্রমান্য চিত্র উৎসবের ৩৫তম আসরে মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্যচিত্রের পুরস্কার ‘গ্রাঁ পি’ জয় করার কথাও বলা হয়েছে। নতুন আঙ্গিকে সিনেমার কথা লেখতে গিয়ে নাবিল মাকে নিয়ে বিশ্বের কালজয়ী বিভিন ড়ব চলচ্চিত্রের বর্ণনা পাঠকদের জানিয়েছেন। শেষমেষ বোনাস আটির্ েকলে স্থান পেয়েছে বিশ্বের সর্বকালের সেরা ৫০টি সিনেমার পরিচালক-এর নামসহ ছবির নাম ও নির্মাণকাল। চলচ্চিত্র নিয়ে যারা আরো বিশদভাবে জানতে চান তাদের জন্যে এ বইটি একটি অভিধান হিসাবে কাজ করবে বলে আমি মনে করি।

চলচ্চিত্র একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম, যার মধ্যে দিয়ে একটি জাতির ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, আথর্ সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের চিত্র প্রতিফলিত হয়। সমকালীন শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সমাজবোধকে ধারন করে চলচ্চিত্র। সমাজে ঘটে যাওয়া নানা অসংগতি, আনন্দ বেদনা, প্রেম বিরহ, চাওয়া পাওয়ার নানা চিত্র ধরা দেয় চলচ্চিত্রে। চলচ্চিত্র দর্শককে আলোড়িত করে, দেশপে্ের ম উদ্বুদ্ধ করে, অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী করে তোলে। চলচ্চিত্র মানুষের কথা বলে।

এই বইটি সব ধরনের চলচ্চিত্র মোদীর কাছে সমাদৃত হবে বলে আমি আশা করি।