রমিজ বলে, ‘তৈয়ব কই রে ফুলবানু? কানাডারে কখন থেকে দেখি না?’
‘তুমি নিজেও তো কানা। শরম করে না? খবরদার রমিজ ভাই, তৈয়বরে তুমি কানা বলবা না’।
‘হি হি হি। কানারে কানা বলবনা তো কী বলব তুই আমারে বইলা দে লেংড়ি?’
‘কেন তার নাম নাই?’
‘গোসা করস কেন? মজাক করলাম একটু।’
কিন্তু রমিজের রসিকতায় গা জ্বলে ফুলবানুর। ফুলবানুর এই এক দোষ। তৈয়বকে কেউ গালমন্দ করলে তার ভালো লাগে না।
রমিজ একটা সিগারেট জ্বালায়। স্টেশনের দক্ষিণ দিকটায় আঙুল উঁচিয়ে বলে ‘ওই যে তর ভাতার তৈয়ব আসে।’
ফুলবানু আবার ঝামটি দিয়ে ওঠে, ‘আজেবাজে কথা কইবানা রমিজ ভাই। তৈয়ব কে তুমি তা জানো না? বিয়ে হোক তখন বলবা। এখন একদম চুপ।’
‘বাপরে, এত দেমাগ তর লেংড়ি! এত দেমাগ ভালা না।’
ফুলবানু স্টেশনের দক্ষিণ দিকটায় তাকায়। কত সুন্দর করে হেঁটে আসছে তৈয়ব আলী। কে বলবে তৈয়ব অন্ধ? তৈয়বের ফর্সা মুখখানি লাল হয়ে আছে। কী সুন্দর দেখতে। অথচ কি দুর্ভাগ্য তার। ভিক্ষার থলি নিয়ে প্রতিদিন বের হতে হয় তাকে।
রাজীব উল আহসান এর কৃষ্ণপক্ষের চোখ এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 304.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Krishnopokkher Chokh by Rajib Ul Ahsanis now available in boiferry for only 304.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.