বিএনপির নির্বাচন প্রতিহত করার ক্ষমতা কতটুকু আছে, সেটা তাে ৰােঝাই গেল। আবার এই ক্ষমতা দিয়েই ভােটারশূন্য এবং কিছুটা রক্তাক্ত নির্বাচন করতে বাধ্য হলাে সরকার। নির্বাচনটিকে সত্যিকার অর্থে হাস্যকর করে দিল আসলে এরশাদ। জাতীয় পার্টি যদি নাটক ছাড়া নির্বাচনে থাকত, তবে এতটা হাস্যকর হতাে না নির্বাচন। স্বৈরাচার সাহেব হাসপাতালের ফাইভ স্টার মানের ভিভিআইপি কেবিনে অবসর যাপন করছেন। আছে বিনােদনের সব ব্যবস্থা। গলফ খেলছেন নিয়মিত। শােনা যায়। তিনি নিজে কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকা ইতিমধ্যে পেয়ে গেছেন। তার পরও জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে তাকে রাজি করানাে গেল না। তার মাঠের নেতারা যারা এখনও প্রার্থী আছেন, একেকজন ২৫ লাখ থেকে এক কোটি টাকা নাকি পেয়েছেন। ভােট নেই, ভােটার নেই, আছে শুধু টাকা। | বেশ ভালােই নির্বাচনই করল আওয়ামী লীগ সরকার। নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকল। বিএনপি প্রমাণ করল ভােট থাকলেও, আন্দোলনে তার অবস্থা বড়ই করুণ। জামায়াত যে সন্ত্রাসী শক্তি, সেটা আর একবার প্রমাণ হলাে। যেকোনাে সময়, যেকোনাে দিকে যাওয়ার পথ খােলা রেখে, আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে, স্বৈরাচার এরশাদ তার গ্রহণযােগ্যতা কিছুটা বাড়িয়ে নিল, আওয়ামী লীগের কাঁধে বন্দুক রেখে। হায়!! ২০০৮-এর সেই আওয়ামী লীগ, আর ২০১৪-র এই আওয়ামী লীগ!!!