কবীরা গুনাহের মধ্যে শিরকের ক্ষেত্রে সব চাইতে বড় এবং জঘন্যতম গুনাহ হচ্ছে আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা বা তাঁর সমকক্ষ মনে করা অথবা তার গুণাবলীকে ক্ষুন্ন করে মানুষের গুণাবলীর প্রাধান্য দান করা ইত্যাদি। শিরক দুই প্রকারের ঃ (১) শিরকে আকবার অর্থাৎ বড় শিরক। (২) শিরকে আসগর অর্থাৎ ছােট শিক। শিরকে আকবার যা বড় শিরকের নামান্তর। আর তা হচ্ছে যেমন-আল্লাহু ব্যতীত অন্যের উদ্দেশ্যে কোন ইবাদত করা যেমন দুআ, যবাই, নযর এবং অন্যান্য ইবাদতগুলাে। বিশ্বাস তথা আকীদাগত দিক শিরকের পরিচয় বা দৃষ্টান্ত আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে আল্লাহ্র সমপর্যায়ভুক্ত মনে করে তার ইবাদত করা। যেমন দৃষ্টান্তস্বরূপ উল্লেখ করা যেতে পারে চন্দ্র, সূর্য, গাছপালা, পাথর, মূর্তি, নদ-নদী, তারকা, গ্রহ-নক্ষত্র, পশু-পাখী, ওলী-আওলিয়া ইত্যাদি যাই হােক না কেন, এসবের ক্ষেত্রে একে আল্লাহর সমপর্যায়ে ধারণা করে এসবের ইবাদতে লিপ্ত থাকা বা ফায়েদার উসিলা করা গুরুতর অপরাধের নামান্তর, যা সুস্পষ্ট শিরক। আল্লাহ্র আইনের বিধানের ক্ষেত্রে মানবীয় আইন প্রণেতাকে প্রাধান্য দেয়াও শিরকের অন্তর্গত। এর প্রমাণস্বরূপ আল্লাহর বাণী ঃ “আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে ডাকবে না। যা তােমার উপকার করতে পারেনা, অপকারও করতে পারেনা, যদি তুমি তা কর তাহলে তুমি যালিমদের অর্থাৎ মুশরিকদের অন্তর্গত হবে।” (সূরা ইউনুস ঃ ১০৬)