Loading...

কিশোর রচনা (হার্ডকভার)

স্টক:

৩০০.০০ ২২৫.০০

একসাথে কেনেন

বই পরিচিতি তখন বাংলা অঞ্চলে আধুনিক শিক্ষা সবেমাত্র শুরু হচ্ছে। শিশুরা চেয়ার-টেবিল-বেঞ্চিওয়ালা স্কুলে যাচ্ছে পড়তে। কিন্তু পড়তে গেলেই তাে আর হবে না! তাদের পড়ার জন্য তাে বই লাগবে! আগে তাে বই লাগত না। টোলে বা গুরুর বাড়িতে শিশু-কিশােররা পড়তে যেত। গুরু মুখে মুখে যা বলতেন তাই-ই তারা শিখত। কিন্তু আধুনিক শিক্ষার জন্য চাই বইপত্তর। কিন্তু কে লিখবে বই! এ তাে আর বড়দের বই না যে চাইলে অনেকেই লিখতে পারবে! ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর লিখলেন শিশুদের জন্য একের পর এক বই। লিখলেন বর্ণপরিচয় থেকে শুরু করে কথামালা, নীতিবােধ, চরিতাবলী, জীবনচরিত ইত্যাদি মজার মজার সব বই। বিদ্যাসাগরের ‘কিশাের রচনা’র এই সংকলনে মুলত ছােটদের মানবিক ও নৈতিক মূল্যবােধ অর্জনে সহায়ক গল্পগুলােই নেয়া হয়েছে। এসব গল্প পড়ে তারা যাতে বড় মানুষ হওয়ার পথে পা বাড়ায়; বড় পৃথিবীর পথে পা বাড়ায়। বইতে সংকলিত গ্রন্থগুলােতে বিদ্যাসাগরের বানানরীতিই অনুসরণ করা হয়েছে। যাতে আমাদের তরুণ শিক্ষার্থীগণ তার ভাষারীতির সৌন্দর্য্য উপভােগ করতে পারে।
Kishor Rochona,Kishor Rochona in boiferry,Kishor Rochona buy online,Kishor Rochona by Ishwar Chandra Vidyasagar,কিশোর রচনা,কিশোর রচনা বইফেরীতে,কিশোর রচনা অনলাইনে কিনুন,ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর কিশোর রচনা,9789849574132,Kishor Rochona Ebook,Kishor Rochona Ebook in BD,Kishor Rochona Ebook in Dhaka,Kishor Rochona Ebook in Bangladesh,Kishor Rochona Ebook in boiferry,কিশোর রচনা ইবুক,কিশোর রচনা ইবুক বিডি,কিশোর রচনা ইবুক ঢাকায়,কিশোর রচনা ইবুক বাংলাদেশে
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এর কিশোর রচনা এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 255.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Kishor Rochona by Ishwar Chandra Vidyasagaris now available in boiferry for only 255.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ১৪০ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2021-02-25
প্রকাশনী রূপসী বাংলা
ISBN: 9789849574132
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
লেখকের জীবনী
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (Ishwar Chandra Vidyasagar)

Iswar Chandra Vidyasagar- তিনি ১৮২০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ সেপ্টেম্বর (বাংলা ১২২৭ বঙ্গাব্দের ১২ আশ্বিন, মঙ্গলবার) বর্তমান পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বীরসিংহ সেই সময় অধুনা পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ঈশ্বরচন্দ্রের পিতামহ রামজয় তর্কভূষণ ছিলেন সুপণ্ডিত ও বলিষ্ঠ দৃঢ়চেতা পুরুষ। ইনিই ঈশ্বরচন্দ্রের নামকরণ করেছিলেন। ঈশ্বরচন্দ্রের পিতা ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় চাকুরি করতেন। পরিবার নিয়ে শহরে বাস করা তাঁর সাধ্যের অতীত ছিল। সেই কারণে বালক ঈশ্বরচন্দ্র গ্রামেই মা ভগবতী দেবী ও ঠাকুরমার সঙ্গে বাস করতেন।উনবিংশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও গদ্যকার। তাঁর প্রকৃত নাম ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে অগাধ পাণ্ডিত্যের জন্য প্রথম জীবনেই তিনি বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করেন। সংস্কৃত ছাড়াও বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় বিশেষ বুৎপত্তি ছিল তাঁর। তিনিই প্রথম বাংলা লিপি সংস্কার করে তাকে যুক্তিবহ করে তোলেন ও অপরবোধ্য করে তোলেন। বাংলা গদ্যের প্রথম সার্থক রূপকার তিনিই। রচনা করেছেন জনপ্রিয় শিশুপাঠ্য বর্ণপরিচয় সহ, একাধিক পাঠ্যপুস্তক, সংস্কৃত ব্যাকরণ গ্রন্থ। সংস্কৃত, হিন্দি ও ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন সাহিত্য ও জ্ঞানবিজ্ঞান সংক্রান্ত বহু রচনা। অন্যদিকে বিদ্যাসাগর মহাশয় ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারকও। বিধবা বিবাহ ও স্ত্রীশিক্ষার প্রচলন, বহুবিবাহ ও বাল্য বিবাহের মতো সামাজিক অভিশাপ দূরীকরণে তাঁর অক্লান্ত সংগ্রাম আজও স্মরিত হয় যথোচিত শ্রদ্ধার সঙ্গে। বাংলার নবজাগরণের এই পুরোধা ব্যক্তিত্ব দেশের আপামর জনসাধারণের কাছে পরিচিত ছিলেন ‘দয়ার সাগর’ নামে। দরিদ্র, আর্ত ও পীড়িত কখনই তাঁর দ্বার থেকে শূন্য হাতে ফিরে যেত না। এমনকি নিজের চরম অর্থসংকটের সময়ও তিনি ঋণ নিয়ে পরোপকার করেছেন। তাঁর পিতামাতার প্রতি তাঁর ঐকান্তিক ভক্তি ও বজ্রকঠিন চরিত্রবল বাংলায় প্রবাদপ্রতিম। মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর মধ্যে দেখতে পেয়েছিলেন প্রাচীন ঋষির প্রজ্ঞা, ইংরেজের কর্মশক্তি ও বাঙালি মায়ের হৃদয়বৃত্তি। বাঙালি সমাজে বিদ্যাসাগর মহাশয় আজও এক প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুরে তাঁর স্মৃতিরক্ষায় স্থাপিত হয়েছে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। রাজধানী কলকাতার আধুনিক স্থাপত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন বিদ্যাসাগর সেতু তাঁরই নামে উৎসর্গিত। জন্ম গ্রহণ কালে তার পিতামহ তার বংশানু্যায়ী নাম রেখেছিলেন "ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়"। ১৮৩৯ সালের ২২ এপ্রিল হিন্দু ল কমিটির পরীক্ষা দেন ঈশ্বরচন্দ্র। এই পরীক্ষাতেও যথারীতি কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে ১৬ মে ল কমিটির কাছ থেকে যে প্রশংসাপত্রটি পান, তাতেই প্রথম তাঁর নামের সঙ্গে 'বিদ্যাসাগর' উপাধিটি ব্যবহৃত হয়। তিনি ২৯ জুলাই ১৮৯১, ৭০ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন।

সংশ্লিষ্ট বই