লালসাুল ছিল সমাজের অংশবিশেষের স্বচ্ছ চিত্র এবং এক অচলায়তনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, চাঁদের অমাবস্যা-য় এলাে অস্তিত্বের প্রসঙ্গ এবং মনােসমীক্ষণ অর্থাৎ ব্যক্তির বহির্দেশ থেকে অন্তর্দেশে প্রবেশ করলেন শিল্পী। তৃতীয় উপন্যাস কাঁদো নদী কাঁদো-তে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ চৈতন্যকে এবং জীবনের ভিতর ও বাহির, পাপ-পুণ্য, প্রেম, ভালােবাসা, হিংসা-প্রতিহিংসা প্রভৃতি নানা মৌলিক বিষয় দার্শনিকের দৃষ্টিতে এবং শিল্পীর নৈপুণ্যে উপস্থিত করেছেন। অন্তৰ্জীবনের অন্ত হীনতাকে একটা মােটামুটি রূপদান করতে চেয়েছেন তিনি এই উপন্যাসে। চেতনাপ্রবাহরীতিতে রচিত এটি বাংলা ভাষার প্রথম উপন্যাস। এখন পর্যন্ত এটি অদ্বিতীয়।
১৯৬৮-তে কাঁদো নদী কাঁদো প্রকাশিত হয়। ওয়ালীউল্লাহর অন্য দুটি উপন্যাসের মতাে এটিও সমালােচকদের একটু বিপন্ন করে অর্থাৎ তারা তৎক্ষণাৎ দুটি দলে বিভক্ত হয়ে যান : একদল বলেন উপন্যাস হিসেবে এটি তেমন আর কি- রগরগে কোনাে কাহিনী নেই- কি সব প্রলাপ শুধু; আর একদল বলেন এটি অসাধারণ- অত্যুকৃষ্ট। কি কারণে উক্তৃষ্ট সে ব্যাখ্যা কেউ দেন না। দু'পক্ষই বিচার বিবেচনা না করে নিন্দা বা প্রশংসা করেছেন তা তাদের সে-সব আলােচনায় চোখ বুলানাে মাত্র উপলব্ধি করা যায়। প্রকরণ, ভাষা এবং বিষয় আর-কোনাে বাংলা উপন্যাসটির নিকটবর্তী নয়।
কাঁদো নদী কাঁদো প্রকাশের অব্যবহিত পরে আবু জাফর শামসুদ্দীন বাংলা একাডেমী পত্রিকায় সমালােচনাকালে মন্তব্য করেছিলেন গ্রন্থটিতে পাঁচ পাঁচটি মৃত্যু আছে। এতােগুলাে মৃত্যু ঘটানাের প্রয়ােজন ছিল না। মহকুমা হাকিম মােস্তফার আত্মহত্যা আবুল ফজলের কাছেও স্বাভাবিক মনে হয়নি। এ জাতীয় সমালােচনা ওয়ালীউল্লাহকে পীড়া দিয়েছিল তা শওকত ওসমানকে লেখা চিঠিতে অবগত হওয়া যায়। মােটের ওপর এই উপন্যাসের প্রকরণ ও বিষয়বস্তু দুই-ই পাঠক-সমালােচককে বিব্রত ও বিরক্ত করে। ওয়ালীউল্লাহর অন্যান্য গল্প-উপন্যাসনাটকেও মৃত্যুর প্রসঙ্গ হয়েছে কিন্তু চাঁদের অমাবস্যা, তরঙ্গ-ভঙ্গ, উজানে মৃত্যু এবং কাঁদো নদী কাঁদো-তে মৃত্যু এসেছে অনেকটা শিল্পকর্মের অধিবিদ্যাগত প্রয়ােজন পূরণ করতে। দর্শন-তত্ত্বভিত্তিক চেতনাপ্রবাহ রীতির ঔপন্যাসিকদের মধ্যে ভার্জিনিয়া উল্ফ-এর To The Lighthouse (১৯২৭)-এও অনেকগুলাে মৃত্যুর মুখােমুখি হন পাঠক : মিসেস র্যামসে, পুত্র এনডু এবং কন্যা
Kado Nodi Kado,Kado Nodi Kado in boiferry,Kado Nodi Kado buy online,কাঁদো নদী কাঁদো,কাঁদো নদী কাঁদো বইফেরীতে,কাঁদো নদী কাঁদো অনলাইনে কিনুন,সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ এর কাঁদো নদী কাঁদো,9789843411873,Kado Nodi Kado Ebook,Kado Nodi Kado Ebook in BD,Kado Nodi Kado Ebook in Dhaka,Kado Nodi Kado Ebook in Bangladesh,Kado Nodi Kado Ebook in boiferry,কাঁদো নদী কাঁদো ইবুক,কাঁদো নদী কাঁদো ইবুক বিডি,কাঁদো নদী কাঁদো ইবুক ঢাকায়,কাঁদো নদী কাঁদো ইবুক বাংলাদেশে,Kado Nodi Kado by Syed Waliullah
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ এর কাঁদো নদী কাঁদোএখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 188 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে।Kado Nodi Kado by সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্is now available in boiferry for only 188 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন |
হার্ডকভার | ১৮৩ পাতা |
প্রথম প্রকাশ |
2017-11-01 |
প্রকাশনী |
নুসরাত প্রকাশনী |
ISBN: |
9789843411873 |
ভাষা |
বাংলা |
লেখকের জীবনী
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ (Syed Waliullah)
Syed Waliullah (তাঁর জন্ম চট্টগ্রাম শহরের ষোলশহর এলাকায়, ১৯২২ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ আগস্ট) তাঁর পিতা সৈয়দ আহমাদুল্লাহ ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা; মা নাসিম আরা খাতুনও সমতুল্য উচ্চশিক্ষিত ও রুচিশীল পরিবার থেকে এসেছিলেন, সম্ভবত অধিক বনেদি বংশের নারী ছিলেন তিনি। ওয়ালীউল্লাহর আট বছর বয়সের সময় তার মাতৃবিয়োগ ঘটে। দুই বছর পর তার বাবা দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন টাঙ্গাইলের করটিয়ায়। বিমাতা এবং বৈমাত্রেয় দুই ভাই ও তিন বোনের সঙ্গে ওয়ালীউল্লাহর সম্পর্ক কখনোই অবনতি হয় নি। তার তেইশ বছর বয়সকালে কোলকাতায় চিকিৎসা করতে গিয়ে মারা যান। তার পিতৃমাতৃবংশ অনেক শিক্ষিত ছিলেন। বাবা এম এ পাশ করে সরাসরি ডেপুটি মেজিস্ট্রেট চাকুরিতে ঢুকে যান; মাতামহ ছিলেন কোলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স থেকে পাশ করা আইনের স্নাতক; বড়ো মামা এমএবিএল পাশ করে কর্মজীবনে কৃতি হয়ে খানবাহাদুর উপাধি পেয়েছিলেন এবং স্ত্রী ওয়ালীউল্লাহর বড়ো মামী ছিলেন নওয়াব আবদুল লতিফ পরিবারের মেয়ে, উর্দু ভাষার লেখিকা ও রবীন্দ্রনাথের গল্প নাটকের উর্দু অনুবাদক। ১৯৩৯ সালে তিনি কুড়িগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় হতে ম্যাট্রিক, এবং ১৯৪১ সালে ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। তার আনুষ্ঠানিক ডিগ্রি ছিলো ডিস্টিঙ্কশনসহ বিএ এবং অর্থনীতি নিয়ে এমএ ক্লাশে ভর্তি হয়েও শেষে পরিত্যাগ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর ওয়ালীউল্লাহ ঢাকায় এসে প্রথমে ঢাকা বেতার কেন্দ্রের সহকারী বার্তা-সম্পাদক ও পরে করাচি কেন্দ্রের বার্তা-সম্পাদক (১৯৫০-৫১) হন। ১৯৫১-৬০ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তান সরকারের পক্ষে নয়াদিল্লি, সিডনি, জাকার্তা ও লন্ডনে বিভিন্ন উচ্চ পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬০-১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি প্যারিসে পাকিস্তান দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি এবং ১৯৬৭-৭১ সাল পর্যন্ত ইউনেস্কোর প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট ছিলেন। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ দুটি গল্পগ্রন্থ নয়নচারা (১৯৫১), দুই তীর ও অন্যান্য গল্প এবং তিনটি নাটক বহিপীর (১৯৬০), তরঙ্গভঙ্গ (১৯৬৪) ও সুড়ঙ্গ (১৯৬৪) রচনা করেছেন। ছোটগল্প ও নাটকেও তিনি সমাজের কুসংস্কার, ধর্মীয় ভন্ডামি, মানসিক ও চারিত্রিক স্খলন ইত্যাদিকে প্রতিভাসিত করেছেন। তিনি দেশ-বিদেশের নানা সাহিত্য পুরস্কার এবং বাংলাদেশ সরকারের ‘একুশে পদক’ (মরণোত্তর, ১৯৮৩) লাভ করেন। ১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর প্যারিসে তাঁর মৃত্যু হয় এবং প্যারিসের উপকণ্ঠে মদোঁ-স্যুর বেল্ভু-তে তিনি সমাহিত হন।