১০ জানুয়ারি, বুধবার। একটি খবর পড়ে সারা পৃথিবীর মানুষ চমকে উঠল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী জিওফ্রে মার্সি জানিয়েছেন, দুটি নতুন গ্রহের সন্ধান পাওয়া গেছে, যেগুলােতে প্রাণের অস্তিত্ব থাকা সম্ভব । পৃথিবী থেকে ঐ দুটি গ্রহের দূরত্ব ৩৫ ও ৩৬ আলােক বর্ষ। জিওফ্রে বিস্তর গবেষণার পর নিশ্চিত হয়েছেন যে ঐ দুটি গ্রহের একটির তাপমাত্রা ৮৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, অপরটির ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুটি গ্রহই জুপিটারের চেয়ে বড় এবং মেঘ মুক্ত আকাশে তাদের খালি চোখে দেখা যায়। গ্রহ দুটিতে প্রাণী আছে! বিজ্ঞানী জিওফ্রে মার্সি ও তাঁর সহকারী পল বাটলার যখন নতুন দুটি গ্রহে প্রাণীর অস্তিত্ব নিয়ে গবেষণায় ব্যস্ত, তখন মহাকাশযান গ্যালিলিও আকাশে চক্কর দিয়ে বেড়াচ্ছে। জিওফ্রে ও বাটলার সহ পৃথিবীর সকলেই এখন জানে যে দুবছর পর পৃথিবীতে ফিরবে গ্যালিলিও। তখন জানা যাবে আরও অনেক তথ্য। গ্যালিলিও ইতােমধ্যে ঐ দুটি গ্রহের ছবি তুলেছে কি-না কে জানে! জিওফ্রে কিংবা বাটলার আবিস্কৃত দুটি গ্রহের কোনও নাম এখনও রাখেননি। ১২০ ইঞ্চি লম্বা টেলিস্কোপে তাঁরা নাকি একদিন দেখতে পেয়েছেন, ঐ দুটি গ্রহের চারপাশে শুধু মেঘ আর মেঘ। মেঘেরা ঘুরে বেড়ায়। উড়ে বেড়ায়। পালিয়ে বেড়ায়। বৃহস্পতির বেশ কিছু মেঘময় ছবি তুলে পাঠিয়েছে। গ্যালিলিও। বৃহস্পতির সঙ্গে ঐ দুটি গ্রহের কোনও সম্পর্ক হয়তাে নেই। তবে জিওফ্রে যখন টেক্সাসে সংবাদ সম্মেলনে তাঁর বক্তব্য রাখছিলেন, তখন অন্যরকম। ঘটনা ঘটছিল অন্য কোথাও, অন্য কোনও গ্রহে। মহাকাশযান গ্যালিলিওর