Loading...

জিজ্ঞাসা ও জবাব (১ম খণ্ড) (হার্ডকভার)

স্টক:

২২০.০০ ১৬২.৮০

একসাথে কেনেন

জিজ্ঞাসা ও জবাব বইটির ভূমিকাঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর জন্যই সকল হামদ। তিনি মানুষকে ইলম দান করেছেন, মানুষকে শিক্ষা দিয়েছেন তা যা সে জানতো না। তিনিই মানুষকে ইলমের মাধ্যমে উন্নত করেছেন। যারা জানে ও যারা জানে না তাদেরকে সমান বলেন নি। যুগে যুগে আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে তারাই ভালো যারা নবী ও রাসূল। তাদের অবর্তমানে তাদের ওয়ারিস আলেমগণ সবচেয়ে ভালো মানুষ। সে মানুষদের জন্যই যতো দুনিয়ার মর্যাদা ও আখরাতের মর্তবা। এদের জন্যই দো'আ করে প্রতিটি প্রাণী এমনকি আকাশের পাখি ও পানির নিচের মাছ। তাদের জন্যই ডানা বিছিয়ে দেয় আল্লাহর মালাইকা। সারা দুনিয়াতে যত ভালো কাজ হয় তা তাদের আলোতে আলোকিত হওয়ার কারণেই হয়ে থাকে। তারাই দুনিয়াকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে আখেরাত বিনির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছে। তাদেরকেই আল্লাহ তাআলা তাঁর নিজের পাশে সাক্ষ্য হিসেবে স্থান দিয়েছেন। তাদেরকেই আল্লাহ তাআলা তার দীন জানার জন্য মাধ্যম হিসেবে ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ বলেন, “যদি তোমরা না জানো তবে যারা যিকর (কুরআন ও সুন্নাহ) এর জ্ঞান রাখে তাদের জিজ্ঞাসা কর।”(সূরা আন-নাহল: ৪৩) কোনো এক যুদ্ধে এক সাহাবী আহত হলেন, তিনি পানি ব্যবহারে অসমর্থ হলেন, সাথে থাকা লোকদের কাছে তিনি এর প্রতিকার কী হতে পারে জানতে চাইলেন, কিন্তু তারা তাকে সঠিক পরামর্শ দিতে অসমর্থ হলো, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যারা জানে না, তাদের জানার ঔষধ হচ্ছে জেনে নেওয়া।”(সুনান আবী দাউদঃ ৩৩৬,৩৩৭) কোনো মানুষের পক্ষেই সর্ববিষয়ে জ্ঞানী হওয়া সম্ভব হয় না। তাদের কতেকের ওপর অপর কতেককে আল্লাহ জ্ঞানী করেছেন। আল্লাহ বলেন, “আর প্রত্যেক জ্ঞানীর ওপরেই জ্ঞানী রয়েছে।”(সূরা ইউসুফ: ৭৫) জ্ঞানীরা তাদের জ্ঞান দিয়ে ইজতিহাদ করে থাকেন, ইজতিহাদ তাদের জ্ঞানকে শানিত করে, ইজতিহাদের কারণে তারা আল্লাহর কাছে পুরস্কারপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “বিচারক যদি বিধান জানার জন্য কুরআন ও হাদীসে ইজতিহাদ করে আর সে তাতে ভুল করে তবুও সে এক সাওয়াব পাবে, আর যদি সঠিক মতে পৌঁছতে পারে তো তার দু' সাওয়াব।”(বুখারী: ৭৩৫২; মুসলিম: ১৭১৬)। প্রতিটি মাসআলায় কুরআন ও সুন্নাহর দলীল খুঁজে বের করা অনেক কঠিন কাজ। তা আরও কঠিন হয় যখন তা তাৎক্ষনিক কোথাও উপস্থাপন করতে হয়। এ কাজ সবার দ্বারা হয়ে উঠে না। একাজ কেবল ফকীহগণের। যাদেরকে আল্লাহ তাঁর বিশেষ নেয়ামত দিয়ে সিক্ত করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে তিনি ফিকহের জ্ঞান দান করেন।”(বুখারী: ৭১; মুসলিম: ১০৩৭) এ ফকীহগণকে এ জন্যই ক্ষণজন্মা পুরুষ বলা হয়ে থাকে। ইমাম আবু হানীফা, ইমাম মালেক, ইমাম শাফেঈ ও ইমাম আহমদ রাহিমাহুমুল্লাহসহ উম্মতের সে সব ব্যক্তিবর্গকে আল্লাহ তা'আলা তাঁর বিশেষ নেআমত হিসেবে আমাদের জন্য প্রদান করেছেন। তাদের মর্যাদা যারা বুঝে তারা নিজেরাই অজ্ঞ, জ্ঞানীদের কাতারে তাদের কোনো স্থান নেই। প্রত্যেক যুগে ও এলাকায় এক বা একাধিক মুজতাহিদ থাকা বাঞ্ছনীয়। না থাকলে উম্মতের সমূহ ক্ষতি হয়ে যাবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ তাআলা ইলমে একেবারে উঠিয়ে নিবেন না, তিনি আলেমগণকে নিয়ে যাবার মাধ্যমে ইলমকে উঠিয়ে নিবেন। অতঃপর যখন কোনো আলেম থাকবে না তখন লোকেরা তাদের মধ্যকার জাহিল লোকদেরকে তাদের নেতা বানাবে, তখন তাদের প্রশ্ন করা হবে আর তারা ইলম ব্যতীত উত্তর দিবে, এতে করে তারা নিজেরা পথভ্রষ্ট হবে অপরকেও পথভ্রষ্ট করবে।”(বুখারী: ১০০; মুসলিম: ২৬৭৩) বস্তুত: ইলমুল ফিকহ হচ্ছে প্রশ্নোত্তরের সমষ্টি। এজন্যই ইমাম আবু হানীফাকে ফিকহের জনক বলা হয়। কারণ তিনি প্রায় সকল প্রশ্নেরই অবতারণা করেছেন। আর তার অর্ধেক উত্তর তিনি দিয়ে গেছেন। বাকী উত্তরগুলোতে অন্য ফকীহগণ শেয়ার করেছেন। সুতরাং উম্মতের মধ্যে যারাই ফকীহ হবেন তারাই ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ্র পরিবারভুক্ত হবেন এটাই ইমাম শাফেঈর বক্তব্য। আর তা-ই যথার্থ । ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর ছিলেন তেমনি এক ক্ষণজন্মা মানুষ। যাকে আমরা সত্যিকারের একজন ভাষাবিদ, দাঈ ইলাল্লাহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও ফকীহ বলে বিশ্বাস করি। তিনি ইসলামিক টিভিতে নিয়মিত প্রশ্নোত্তর দিতেন। বিভিন্ন সভা-মাহফিলে জীবন জিজ্ঞাসার জবাব দিতেন। তাঁর উত্তরের বৈশিষ্ট্য ছিল এই যে, তিনি সর্বদা কুরআনে কারীমের আয়াত ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদীস দিয়ে তার উত্তরকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করতেন। তিনি কাউকে আক্রমন করতেন না। ইমামগণকে সম্মানের সাথে উল্লেখ করতেন। কোনো বিষয়ে কেউ তার বিরোধী মত পোষণ করলে সেটাকে দলীলের মাধ্যমে খণ্ডনের চেষ্টা করতেন। প্রচলিত দাওয়ার কাজে কর্মরত মানুষদের ভুল ধরার চেয়ে তাদের সংশোধনের চেষ্টা বেশি করতেন। জিজ্ঞাসা ও জবাব ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ্র রেখে যাওয়া এ অমূল্য সম্পদের সংরক্ষণ ও যথাযথ প্রচার ইলম প্রচারেরই নামান্তর। আমাদের জাতির দুর্ভাগ্য যে আমরা জীবিত অবস্থায় মনীষীদের কদর করতে শিখিনি। যদি তিনি আরব বিশ্বের কেউ হতেন তাহলে হয়তো তার জীবনী ভিন্নভাবে লিখা হতো, আর তার জীবনকে ঘিরে থাকতো হাজারো ছাত্রের আনাগোনা! আমার আনন্দ লাগছে যে, তাঁর প্রশ্নোত্তর পর্ব সম্মন্ধ এ কাজটিতে আমি শরীক হতে পেরেছি। আল্লাহর কাছে দু'আ করি তিনি যেন এ মহতিকর্ম কবুল করেন এবং এগুলোকে তাঁর জন্য ও আমাদের মত তাঁর মুহিব্বীনদের জন্যও নাজাতের উসীলা হিসেবে গ্রহণ করেন। আমীন, সুম্মা আমীন। ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া সহযোগী অধ্যাপক, আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
9789849328216,Jiggasa o Jobab - 1st part,Jiggasa o Jobab - 1st part in boiferry,Jiggasa o Jobab - 1st part buy online,Jiggasa o Jobab - 1st part by Dr. Khandaker Abdullah Jahangir,জিজ্ঞাসা ও জবাব (১ম খণ্ড),জিজ্ঞাসা ও জবাব (১ম খণ্ড) বইফেরীতে,জিজ্ঞাসা ও জবাব (১ম খণ্ড) অনলাইনে কিনুন,ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর এর জিজ্ঞাসা ও জবাব (১ম খণ্ড),Jiggasa o Jobab - 1st part Ebook,Jiggasa o Jobab - 1st part Ebook in BD,Jiggasa o Jobab - 1st part Ebook in Dhaka,Jiggasa o Jobab - 1st part Ebook in Bangladesh,Jiggasa o Jobab - 1st part Ebook in boiferry,জিজ্ঞাসা ও জবাব (১ম খণ্ড) ইবুক,জিজ্ঞাসা ও জবাব (১ম খণ্ড) ইবুক বিডি,জিজ্ঞাসা ও জবাব (১ম খণ্ড) ইবুক ঢাকায়,জিজ্ঞাসা ও জবাব (১ম খণ্ড) ইবুক বাংলাদেশে
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর এর জিজ্ঞাসা ও জবাব (১ম খণ্ড) এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 120.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Jiggasa o Jobab - 1st part by Dr. Khandaker Abdullah Jahangiris now available in boiferry for only 120.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ১৬০ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2018-08-03
প্রকাশনী আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স
ISBN: 9789849328216
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
লেখকের জীবনী
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (Dr. Khandaker Abdullah Jahangir)

ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় ইসলাম ধর্ম বিষয়ক ব্যক্তিত্ব, লেখক এবং গবেষক। তাঁর জন্ম ১৯৬১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহ জেলার ধোপাঘাট গোবিন্দপুর গ্রামে। তিনি ঢাকা সরকারি আলিয়া মাদরাসা থেকে দাখিল পাশ করে আলিম, ফাজিল এবং আল হাদিস বিভাগ থেকে কামিল পাস করেন। উচ্চতর শিক্ষার জন্য তিনি সৌদি আরবের রিয়াদস্থ ইমাম মুহাম্মাদ বিন সাঊদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরপর দুবার সেরা ছাত্রের পুরষ্কার লাভ করেন। এরপর তিনি ঢাকার দারুস সালাম মাদ্রাসায় খণ্ডকালীন শায়খুল হাদিস, এবং পরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক পদে যোগদান করেন। পিস টিভি, ইসলামিক টিভি, এটিএন বাংলাসহ বিভিন্ন চ্যানেলে ধর্মবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করতেন ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর। সর্বদা মানুষকে ইসলামমুখী করার ব্যাপারেই তিনি সচেষ্ট ছিলেন। ২০১৬ সালের ১১ মে মাগুরায় এক মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন দেশবরেণ্য এই ইসলামী ব্যক্তিত্ব। ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর এর বইগুলো সবই ইসলাম ধর্ম বিষয়ক। তিনি ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ত্রিশের অধিক বই রচনা করেছেন। এর মধ্যে কিছু অনুবাদ, কিছু ব্যখ্যা ও গবেষণামূলক। ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর এর বই সমূহ এর মাঝে এহইয়াউস সুনান, কুর’আন-সুন্নাহর আলোকে ইসলামী আকীদা, রাহে বেলায়াত, ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ, খুতবাতুল ইসলাম, A Woman From Desert, Guidance For Fasting Muslims, A Summary of Three Fundamentals of Islam প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। তিনি আরবী ভাষাতেও বই রচনা করেছেন। ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর এর বই সমগ্র মানুষকে ইসলামমুখী করতে, ইসলামের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আরও গভীরভাবে জানার সুযোগ করে দিয়েছে। তবে তিনি কেবল বইয়ের গণ্ডির মাঝেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। এর পাশাপাশি ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, ধর্মপ্রচার এবং বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথেও নিজেকে সক্রিয়ভাবে যুক্ত রাখতেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট বই