ভূমিকা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভূয় ও উন্নয়নের রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় গ্রহণ করেন। ছােটোবেলায় বঙ্গবন্ধু ছিলেন খুবই দুরন্ত। নদীর পানিতে হরহামেশা কঁপি দেওয়া, বর্ষার বদা পানিতে ভেজা, মেঠো পথের ধুলােবালি গায়ে মাখা ছিল তাঁর দৈনন্দিন বিষয়। তাঁর ডাক নাম ছিল বােকা। স্কুলের হোটো-বড়ো সকলেই তাকে মিয়া ভাই বলে ডাকতাে। মুজিব ছিলেন নির্যাতিত, নিপীড়িত, শােষিত, বঞ্চিতদের নেতা। ছিলেন হাত্রনেতা, প্রাদেশিক নেতা, জাতীয় নেতা, মহাকালের নেতা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও এ অঞ্চলের আপামর জনসাধারণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বঙ্গবন্ধু যে দুঃখ-কষ্ট অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছেন বিশ্বের ইতিহাসে তা এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। পাকিস্তানের ২৪ বছরের রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধু ১৮ বার কারাবরণ করে ১২ বছরে কারাভ্যন্তরে অন্তরীণ থেকে ২৪টি মামলা মােকাবিলা করেন। তাই বাংলাদেশের অস্তিত্বের সাথে তাঁর নাম মিশে আছে, থাকবেও অনন্ত কাল।। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পাকিকানের শােষণ ও শাসকদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সনের ৭ই মার্চ স্বাধীনতার ডাক দেন। শুরু হয় পত্তািন হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ-মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ এবং লক্ষ লক্ষ শহিদ ও মা-বােনের ইজ্জতের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের বিজয় অর্জন-স্বাধীনতা লাভ বাঙালি জাতিকে দিয়েছে নিজস্ব জাতিরাষ্ট্র ও গর্বিত আত্মপরিচয়ের ঠিকানা। ফলে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গর্ব ও অহংকারের বিষয়। দেশের খ্যাতিমান লেখকদের লেখা দিয়ে সংকলিত হলাে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা শীর্ষক এ গ্রন্থটি। গ্রন্থটিতে যাদের লেখা ছাপা হলাে তাদের সকলের প্রতি আমি কণী এবং কৃতজ্ঞ। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ শীর্ষক এ গ্রন্থটি সত্যি সত্যিই একটি তথ্যসংবলিত মনে করি। আমরা আশা করি উক্ত বিষয়ে জ্ঞানপিপাসু পাঠকদের। এ বই যথেষ্ট সহায়ক ভূমিকা রাখবে। মুদ্রণজনিত ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে মার্জনা করবেন। বইটির পাঠকপ্রিয় পেলেই আমার শ্রম সার্থক মনে করবাে। হরেন্দ্রনাথ বসু।