দ্যা হান্টিং অব ব্ল্যাকউড হাউজ
অসম সাহসী মেয়ে মারা। প্রকৃতির খেয়ালে এক অসাধারণ ক্ষমতা নিয়ে জন্মেছে সে। আত্মাদের সাথে যোগাযোগ করার ক্ষমতা। কিন্তু আত্মা, প্রেতাত্মা বা পরলোক বলে কিছু বিশ্বাস করে না আধুনিক মানসিকতার নির্ভীক মেয়ে মারা। পুরোনো একটা বাড়ি কিনে একা একা বসবাস শুরু করে, লোকালয় থেকে দূরে, জঙ্গলঘেরা একটা নির্জন বাড়িতে। মুখোমুখি হয় এক ব্যতিক্রমধর্মী অভিজ্ঞতার। অবিশ্বাস আর অনিচ্ছা সত্ত্বেও ওর সাথে যোগাযোগ ঘটে ওই বাড়িতে বহু আগে খুন হয়ে যাওয়া মানুষগুলোর অতৃপ্ত আত্মাদের সাথে। ওদের মুক্তির দায়ও যেন ওর ওপরে এসে বর্তায়। শুভ-অশুভের দ্বন্দ্ব, রহস্য আর রোমাঞ্চে ভরপুর কাহিনি দ্যা হান্টিং অব ব্ল্যাকউড হাউজ।
ভয়েসেস ইন দ্যা স্নো
অচেনা, অদ্ভুত একটা ঘরে ঘুম থেকে জেগে ওঠে ক্লেয়ার। টের পায় সমস্ত শরীরে ক্ষত। কোথায় এসেছে ও, কি করে আসল? অপরিচিত এক যুবক ডোরান। সে ওকে বলে যে, প্রচন্ড এক তুষারঝড়ের ভিতরে দুর্ঘটনায় চুরমার হয়ে যাওয়া একটা গাড়ি থেকে উদ্ধার করে নিজের বাড়িতে নিয়ে এসেছে ওকে। জীবন বাঁচিয়েছে ওর। বাইরে তখনও তুষারঝড়ের তান্ডবে নাস্তানুবাদ পৃথিবী। পালাতে চেয়েও পালাতে পারে না ক্লেয়ার। অপরিচিত ডোরানের সাথে বন্দি হয়ে পড়ে ও এক বিশাল, অদ্ভুত বাড়িতে। মাথা থেকে হারিয়ে যাওয়া স্মৃতিটুকু মনে করার চেষ্টা করতে করতে অপেক্ষা করে কবে বৈরী প্রকৃতি শান্ত হয়ে ওঠে। কিন্তু প্রকৃতি যে ঘরের ভিতরেও বৈরী! অন্ধকারে কিম্ভূতকিমাকার সব জীব দেখতে পায় ক্লেয়ার। কিছুটা মানুষের মতো, কিছুটা জন্তুর মতো দেখতে কারা ওরা? কি কারণে বিকৃত হয়ে গেল ওদের শরীর? মানবিক সত্তা, বুদ্ধিমত্তা খুইয়ে কীসের প্রভাবে এরকম প্রাগৈতিহাসিক যুগের প্রাণীতে পরিনত হয়েছে পৃথিবীর মানুষেরা। মাংসাশি, নির্বোধÑ লড়াই করে টিকে থাকাই প্রধান বৈশিষ্ট্য হয়ে গেছে ওদের। নিজেদের পরিচয় ভুলে পরিণত হয়েছে অন্ধকারের জীবে। কি করবে এবার পৃথিবীতে টিকে থাকা বাকি মানুষগুলো? কোনো ভয়ংকর বৈজ্ঞানিক গবেষণার ফলাফলেই এরকম হল নাকি কোনো মহাজাগতিক শক্তির প্রভাবে, নাকি কোনো রশ্মির বিকিরণে? ক্লেয়ার কি খুঁজে পাবে ওর একমাত্র বোনকে? বাঁচতে পারবে কি ওরা আধাজন্তুতে পরিণত হওয়া স্মৃতিভ্রষ্ট, বুদ্ধিভ্রষ্ট ভয়ংকর মানুষগুলোর হাত থেকে? এ এক অন্যরকম লড়াই এর গল্প। মানবিকতার সাথে জান্তবিকতা, বুদ্ধিমত্তার সাথে নির্বুদ্ধিতা, সভ্যতা আর অসভ্যতার লড়াই। সেইসঙ্গে প্রকৃতির সাথে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভরতারও দ্ব›দ্ব বটে। ভৌতিক ও বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর এক চমৎকার মেলবন্ধন ভয়েসেস ইন দ্যা স্নো।
ক্রাভেন ম্যানর
স্বজনহীন, একাকী, বেকার এক অসহায় যুবক, জীবনযুদ্ধে লড়তে থাকা ড্যানিয়েল। যান্ত্রিকতা, বিবেকহীনতায় ভরা নিষ্ঠুর পৃথিবীতে যুঝতে থাকা এই সদ্য কৈশোর পেরোনো যুবক একদিন একটা রহস্যময় চিঠি পায়। হন্যে হয়ে চাকরি খুঁজতে থাকা ইঁদুর দৌড়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে নিতে ক্রমাগত হতাশ হয়ে পড়া ড্যানিয়েলকে কে যেন সেধে চাকরির নিমন্ত্রণ পাঠায়। এক পরিত্যক্ত, নির্জন প্রাসাদ ক্রাভেন ম্যানরের বিনষ্ট বাগানে ফুল ফোটাতে হবে ওকে। নিরুপায় ড্যানিয়েল উপেক্ষা করতে পারে না সেই নিমন্ত্রণ। ভ‚তুড়ে প্রাসাদে মালীর কাজ নেয় সে। অদৃশ্য কেউ ওকে নির্দেশনা দিয়ে যায় কাজকর্মের। কে সে? জীবিত না কি মৃত? মধ্যরাতের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত কেন ঘরের দরজা জানালা খুলতে নিষেধ করা হয়েছে ওকে? এদিকে মধ্যরাতে ওর ঘরের দরজায় কে টোকা মারে? প্রাসাদের টাওয়ারের জানালায় প্রায়ই দেখা যায় এক ছায়ামূর্তি। এখানে কেনই বা বন্দি সে? গা ছমছমে, হাড় হিম করা, রহস্যে ভরা এই উপন্যাস ক্রাভেন ম্যানর। আছে বন্ধুত্ব, নীতিবোধের এক দারুণ গল্প ভৌতিক গল্পের অন্তরালে।
ডার্সি কোটস এর ইন্টারন্যাশনাল বেস্টসেলার হরর এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। International Bestseller Horror by Darcy Coatesis now available in boiferry for only TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.