ক্রীং ক্রীং ক্রীং। কলিং বেল বেজে উঠল। গভীর ঘুমে অচেতন হাবীবা। আবারাে বেজে উঠল কলিং বেল । কাঁচা ঘুম ভেঙ্গে ধড়ফড় করে উঠে বিছানায় বসে পড়ল হাবীবা । | হাবীবা দরজা খুলতেই দেখলাে-সামনে দাঁড়িয়ে আছে বােরকাপরা এক মহিলা। মহিলাটি সালাম দিয়ে ভেতরে আসার অনুমতি চাইল। হাবীবা সালামের উত্তর দিয়ে তাকে ভেতরে আসতে বলল। বােরকাপরা মহিলাটি ভিতরে এসে মুখের নেকাব সরিয়ে দিল এবং বলল-কেমন আছিস হাবীবা? হাবীবা কিছু না বলে জিজ্ঞাসু নেত্রে মহিলাটির মুখপানে তাকিয়ে থাকল আর মনে মনে ভাবতে লাগল এই মহিলাটি আমাকে কেমনে চিনে এবং আমার নামই বা কেমনে জানে? তখন হাবীবার এ অবস্থা দেখে বােরকাপরা মহিলাটি বলল আমাকে তুই চিনতে পারছিস না! আমি তাের বান্ধবী সালমা। সেই শৈশব থেকে কৈশাের, তারপর যৌবন তাদের এক সাথে | কেটেছে। এক সাথে তারা লেখাপড়া করেছে। হাবীবা দ্বীনদার পরিবারের মেয়ে। হাবীবা যখন অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী, তখন হাবী বিবাহ হয়ে যায়। এক দ্বীনদার ফ্যামেলির মাওলানা মুবাশুশির সাহেব সাথে। তারপর সালমা অন্য স্কুলে চলে যায় এবং সেখানে আবাসিক থেকে লেখাপড়া করতে থাকে। এভাবে তারা পরস্পর দূরে চলে যায় । এবার হাবীবা চিনতে পারলাে এবং তার চেহারা দেখে হতভম্ব হয়ে বলল তুই সালমা? সত্যি করে বলতাে-তাের অবস্থা এমন কেন? শুকিয়ে একেবারে কংকালসার হয়ে গিয়েছিস! তখন সালমা বলল | হ্যাঁ, বলব। আগে বল-তাের ছেলে-মেয়ে কয়টা এবং তারা কোথায় ?