সূচিপত্র :-
* মিরখাইয়ের অটোগ্রাফ
* রুঁরুঁর গল্প
* মোবারক হোসেনের মহাবিপদ
* একটি ভয়ংকর অভিযানের গল্প
* ভূত মন্ত্র
* পানি রহস্য
নীল হাতী
ছোটদের জন্য হুমায়ূন আহমেদের প্রথম গল্পের বই
নীল হাতি
অসাধারণ তিনটি গল্পের সংকলন
নীল হাতি
এক মামদো ভূতের গল্প
আকাশপরী
পড়ে মজা পাবেন
বড়রাও
সূচিপত্র
নীল হাতি
এক মামদো ভূতের গল্প
আকাশপরী
ছোটদের সেরা গল্প
প্রকাশকের কথা
শিশু-কিশোরদের জন্য হুমায়ূন আহমেদ দু’হাতে না লিখলেও প্রচুর লিখেছেন। মজার মজার সব লেখা। রহস্য, এডভেঞ্চার, ভৌতিক গল্প, সায়েন্স ফিকশান কোন কিছুই বাদ দেন নি। তাঁর সেই সব লেখা থেকে বাছাই করা কিছু গল্প আমরা প্রকাশ করতে চেয়েছিলাম। হুমায়ূন আহমেদ আমাদের প্রস্তাবে রাজি হলেন। যখন তাঁদের বললাম গল্প বাছাই করে দিতে, তখন তিনি বললেন- আমি কি করে বলব কোনটা সেরা গল্প, কোনটা নয়? আপনি বাচ্চাদের জিজ্ঞাস করুন। ওদের মতামত দিয়ে সেরা গল্প বাছাই করুন। এই সংকলনে তাই করা হয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষুদে পাঠক যে সব গল্পকে সেরা হিসেবে চিহ্নিত করেছে সেই সবই রাখা হয়েছে। গল্পের তালিকা লেখককে দেখানো হলে তিনি ভুরু কুঁচকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললেন- আমার কিছু ভাল গল্প বাচ্চারা বাদ দিয়েছে, এর কারণ কি? আমি বললাম, আপনার পছন্দের গল্প কি ঢুকিয়ে দেব? তিনি বললেন, অবশ্যই না। শিশুদের মতে কোনটি সেরা তা আমরা ঠিক করে ওদের উপর চাপিয়ে দেব না। ওরাই ওদেরটা ঠিক করবে। তাই করা উচিত। আমরা এই সংকলনে তা করেছি।
আহমেদ মাহমুদুল হক
সূচিপত্র
*বোকা দৈত্য
*লোকটি
*নীল হাতি
*গোবর বাবু
*রুঁরুঁর গল্প
*বড় মামা এবং রাজকুমারী সুবর্ণ রেখা
*কানী ডাইনী
*আলাউদ্দিনের চেরাগ
*একটি ভয়ংকর অভিযানের গল্প
*রাণী কলাবতী
ভূত ভুতং ভূতৌ
চারটি গল্প নিয়ে এই বই। বই-এর নামকরণ ঠিক হয় নি। নাম শুনে মনে হতে পারে বইটি খুব ছোটদের জন্যে। আসলে তা নয়। বইটি কিশোর-কিশোরীদের জন্যে। তিনটি গল্পের বিষয়বস্তু এমন যে খুব বাচ্চারা কিছুই বুঝবে না। তারা এই বই পড়লে আমার উপর রাগ করবে। ভুরু কুচকে ভাববে-এই পাগরা এসব কি লিখেছে ? একটি গল্পে ছোটদের চোখে বড়দের সমস্যা দেখার চেষ্টা করা হয়েছে। জানি না এই গল্প ছোটদের বইএ দেয়া ঠিক হল কি-না “বড় মামা এবং রাজকুমারী সুবর্ণ রেখা” হচ্ছে সেই গল্প। বড় মামার চরিত্রটি জীবন থেকে নেয়া। আমার বড় মামা যেমন ছিলেন এই গল্পেও ঠিক সে রকম রাখা হয়েছে। গল্পগুলি লেখার পেছনে মজার ইতিহাস আছে। একবার আমি কি করলাম-রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম। রাগ করলে সবাই খুব ছেলেমানুষ হয়ে যায়। আমিও তাই হলাম, ভাবলাম -এই যে বাড়ি থেকে বের হচ্ছি আর ফিরে যাব না। কমলাপুর রেল স্টেশনে গিয়ে দেখি মানব্যাগ আনি নি। পকেটে একটি টাকাও নেই। বাসায় ফিরে যেতে ইচ্ছা করছে-কিন্তু ফিরবার অজুহাত পাচ্ছি না। রাত কাটল কমলাপুর রেল ষ্টেশনে। ষ্টেশনের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত হাঁটি। ক্ষুধা তৃষ্ণায় শরীর অবসন্ন। তারচেয়েও বড় কথা আসার সময় দেখে এসেছি মেয়েটি জ্বরে কাতর।বেচারীর কথাও খুব মনে পড়তে লাগল এইসব ভুলে থাকার জন্যে গল্প ভাবতে শুরু করলাম। চারটি গল্প এইভাবে তৈরী হল।
এদিকে বাসায় অন্য নাটক। আমার মেয়ের জ্বর বাড়ছে। গায়ের তাপ বেড়ে হয়েছে ১০৬, কিছুতেই তাপ নামানো যাচ্ছে না। ডাক্তারের পরামর্শে বাথ টাবে বরফ মেশানো পানি দিয়ে তাকে ডুবিয়ে রাখা হয়েছে। সে ক্ষণে ক্ষণে জিজ্ঞেস করছে-আব্বু কি এসেছে? বাসায় ফিরলাম দু’দিন পর। বাসা ভর্তি মানুষ, দু’জন ডাক্তার। হুলুস্থুল ব্যাপার। মেয়ে বিছানায় শুয়ে। তার জ্বর ১০৫ এর কাছাকাছি যেতেই তাকে বাথটাবে শুইয়ে দেয়া হয়। আমার অন্য দুই মেয়ের খূব মন খারাপ-এরকম মজার জ্বর তাদের হচ্ছে না কেন? বড় মেয়েকে খুশী করার জন্যে তার বিছানার পাশে বসে গল্প গুলি লিখলাম। এক এক পাতা লেখা হয় সে বিছানায় শুয়ে শুয়ে পড়ে।আমি মেয়ের পাশে বসে থাকি। সে যখন গল্প পড়তে পড়তে খিল খিল করে হাসে তখন আনন্দে আমার চোখে পানি আসে। লেখকদের হাসি কান্না অদৃশ্য বলে আমার মেয়ে তা দেখতে পায় না।
এই হচ্ছে গল্প লেখার ইতিহাস
যে আনন্দ আমি আমার মেয়েখে দিয়েছি-তোমাদেরও যদি তার ভাগ দিতে পারি তাহলেই যথেষ্ট। তোমরা ভাল থাক, সুখে থাক। পরম করুণাময় তাঁর মঙ্গলময় হস্ত তোমাদের দিকে প্রসারিত করুন, এই আমার কামনা।
হুমায়ূন আহমেদ
শহীদুল্লাহ হল।
হলুদ পরী
জন্মদিনের শুরুটা হল খুব সুন্দর। ভোরবেলা থেকে সবাই টেলিফোন করছে-হ্যাপি বার্থডে সুমি। শুভ জন্মদিন সুমি। জন্মদিনের শুভেচ্ছা নাও সুমি।
একেবার টেলিফোন আসে আর কী যে ভালো লাগে সুমির! বিকেল থেকেই খালা এবং ফুপুরা আসতে শুরু করলেন। বাড়ি ভর্তি হয়ে গেল মানুষে। কেক কাটা হলো। জন্মদিনের গান গাওয়া গলো। তারপর শুরু হলো জন্মদিনের উপহারের প্যাকেট খোলার পালা।
সুমির বাবা সুন্দর কাগজে মোড়া একটা প্যাকেট দিয়ে বললেন, ‘তোমার হলুদ পরী বাজারে কোথাও খুঁজে পাইনি, তার বদলে নিয়ে এসেছি রিমোট কনট্রোল মোটর কার’।
সুমি বলল, ‘আমি তো সত্যিকারের পরী চেয়েছি।’
‘সত্যিকারের পরী মানে?’
‘যে পরী আকাশে উড়তে পারে। কথা বলতে পারে। গান গাইতে পারে। নাচতে পারে।’
বনের রাজা
বনের রাজা’ বইয়ের ফ্ল্যাপের কথাঃ শিয়াল বলল, এই হরিণ, শোনো, আমাকে তোমাদের রাজার কাছে নিয়ে যাও তো । তাঁকে প্রথম একটা সালাম দিয়ে আসি। হরিণ অবাক হয়ে বলল, রাজা আবার কী? রাজা আবার কী মানে! এই বনে রাজা নেই? না তো। রাজা নেই তো বন শাসন করে কে? দুষ্ট পশুদের শান্তি দেয় কে? অন্য বনের পশুরা এলে তাদের তাড়িয়ে দেয় কে? কেউ দেয় না। কেউ দেয় না? এ তো দেখি বোকা পশুদের রাজ্য ছিঃ ছিঃ ছিঃ! অন্য বনের পশুরা এ খবর জানতে পারলে তোমাদের লজ্জায় মাথা কাটা যাবে। তবে আমি যখন এসেছি একটা ব্যবস্থা করব। তুমি সবাইকে খবর দাও। একটা সভা হবে।
আকাশপরী
‘আকাশপরী আকাশপরী
কাঁদছে আমার মন
এসো তুমি আমার ঘরে
রইল নিমন্ত্রণ।’
শুধু এই? আর কিছু না?
‘না, শুধু এই।’
‘আকাশপরীরা এসে কী করে চাচা?’
‘ফুলের বাগানে হাত ধরাধরি করে নাচে—আর গান গায়। সেই গান শুনে বাগানের সব গাছে ফুল ফুটতে থাকে।’
হুমায়ূন আহমেদ এর হুমায়ূন শিশু-কিশোর গল্পসমগ্র এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 881.25 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Humayunb Shishu-Kishor Golposomogro by Humayun Ahmedis now available in boiferry for only 881.25 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.