তার আজব চোখ দুটো দেখে মনে হতাে চেহারাটা তার নিজের আর চোখ দুটো ধার করা। ধারাল চিবুক আর শাণিত ঠোট দুটোর পাশে গভীর কালাে চোখ জোড়া দেখে মনে হতাে কোনাে নিপুণ শিল্পী হঠাৎ ভুল করে বেশি কালির ছােপ দিয়ে ফেলেছেন চোখ জোড়ায়। পুরাে চেহারায় একটা অপরাজেয় ব্যক্তিত্বের ছাপ—পঁয়ত্রিশােত্তীর্ণ অভিজ্ঞানপুষ্ট একজন তীক্ষ স্বার্থবুদ্ধি মানুষের যেমন হয়ে থাকে। এই প্রখর চেহারার মাঝখানে গভীর কাদো কাঁদো একজোড়া কালাে চোখ আমাকে প্রবল বেগে টানতে লাগল; হতভাগা এ চোখ জোড়া কোথেকে চুরি করে এনেছে। সেটাই জানতে ইচ্ছে করছিল আমার। কলােনে তার কাপড়ের দোকানটা ছিল বেশ বড়সড়। বাইরের সাইনবাের্ডে লেখা ছিল : এখানে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে স্যুট বানানাে হয়। আমার একটা বুশ শার্টের দরকার ছিল। সাইনবাের্ডের নিচে লেখা ছিল ; প্রােঃ বি.ডি. ইসরানী। | বিডি, ইসরানী দেখে রীতিমতাে চমকে উঠলাম। কারণ, আমার নাম জি.ডি, ইসরানী। শুধু বি, ডি, আর জি, ডি-র পার্থক্য। বাধ্য হয়ে আমি দোকানে না ঢুকে পারলাম না। লােকটির পরনে চমক্কার সাটিনের স্যুট। মুখে মােটা চুরুট দাবানাে। হাতে একজোড়া হীরার আংটি। দীর্ঘ লয় নিয়ে ধোঁয়া ছাড়ছিল আর দোকানের মধ্যে পায়চারী করছিল। প্রথম দিকে আমার প্রতি তার কোনাে মনােযােগই ছিল না। কিন্তু অর্ডার নেবার সময় আমার নাম দেখে সে চমকে উঠল; দেখা গেল আমরা দু'জনই সিন্ধী। এমনকি এক বংশােদ্ভূত। এই সুদূর হংকং-এ