১. নাম ও বংশ পরিচয় নাম মুয়াবিয়া। উপনাম আবু আবদুর রহমান। পিতার নাম সখর। উপনাম আবু সুফিয়ান। মাতার নাম হিন্দ। বংশ পরম্পরা এরূপ- মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান ইবনে হরব ইবনে উমাইয়া ইবনে আবদে শামস। ২. বংশগত মর্যাদা তাঁর জন্ম হয়েছিলাে আরবের অভিজাততম গােত্র কোরাইশের বনু উমাইয়া শাখায়। নেতৃত্ব, বংশ কৌলীন্য ও সামাজিক মর্যাদায় বনু হাশিমের পরই ছিলাে বনু উমাইয়ার স্থান। তাঁর পিতা হযরত আবু সুফইয়ান ইসলামপূর্ব জীবনেও ছিলেন অতি উচ্চ সামাজিক মর্যাদার অধিকারী। প্রথম সারির কোরাইশ নেতৃত্বের তিনি ছিলেন অন্যতম। মক্কা বিজয়ের বরকতময় দিনে হযরত আবু সুফইয়ানের ইসলাম গ্রহণে, আল্লাহর রাসূল খুবই প্রীত হয়েছিলেন এবং তার মর্যাদার স্বীকৃতিস্বরূপ ঘােষণা দিয়েছিলেন, “আবু সুফইয়ানের ঘরে যে আশ্রয় নেবে তাকে নিরাপত্তা দেয়া হলাে। ইসলাম গ্রহণের পর হযরত আবু সুফইয়ান বেদনাদগ্ধ হৃদয়ে অনুভব করলেন যে, তাঁর জীবনের বিরাট অংশ হাতছাড়া হয়ে গেছে। তাই তিনি রাসূলের পবিত্র সান্নিধ্যে থেকে ৬ শিক্ষা ও দীক্ষার পূর্ণ ফায়দা অর্জনে সচেষ্ট হন এবং বছরের পথ মাসে ও মাসের পথ দিনে অতিক্রম করার এক অনন্য সাধনায় আত্মনিয়ােগ করেন। তেমন হিম্মত ও মনােবলই দিয়েছিলেন আল্লাহ তাঁকে। হােনায়ন যুদ্ধ ছিলাে রাসূল্লাল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনের শেষ গাযওয়া এবং ইসলামের পক্ষে হযরত আবু সুফইয়ান রা.-র জীবনের প্রথম অস্ত্রধারণ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওয়াফাতের পর ইয়ারমুকের ঐতিহাসিক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে অবশেষে একত্রিশ হিজরীতে তিনি দুনিয়া থেকে চিরবিদায় গ্রহণ করেন। হযরত মুয়াবিয়া রা. ছিলেন তাঁরই সুযােগ্য পুত্র।