"হার্ট অব ডার্কনেস" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা:
‘হার্ট অভ ডার্কনেস’ লেখা হয়েছিল ১৮৯৯ সালে এবং ১৯০২ সালে প্রকাশিত হয়। ‘ইয়থ আ ন্যারেটিভ, উইথ টু আদার স্টোরিজ’-এ। মারলো নামে এক নাবিকের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ এক অধ্যায় স্থান পেয়েছে কাহিনীতে। এ উপন্যাসটি সম্পর্কে সাধারণভাবে বলতে গেলে এটি এক টুকরো শিল্প, যার প্রভাব অত্যন্ত প্রবল এবং কাহিনীর দিক দিয়ে আকর্ষণীয়। এ উপ্যাসে লেখক জোসেফ কনরাডের শিল্প রয়েছে বর্ণনার মাঝে, যে বর্ণনায় আফ্রিকার স্থানীয় কালোদের ওপর পশ্চিমা ঔপনিবেশিকদের শত্রুতাপূর্ণ মনোভাব, নির্মমতা আর অমানবিক আচরণ ফুটে উঠেছে নিখুঁতভাবে। মারলোর বর্ণনায় পশ্চিমাদের ভয়াল হিংস্র থাবার মূর্তিমান প্রতীক হয়ে আবির্ভূত হয়েছেন কারৎ্জ। অসাধারণ চারিত্রিক গুণ আর নৈতিক দৃঢ়তা দিয়ে জংলিদের বশ করেন কারৎ্জ, নিজেকে দেবতার আসনে অধিষ্ঠিত করেন ওদের মাঝে। জংলিরা তাঁকে মহান কিছু ভেবে ভক্তিশ্রদ্ধা করে, তিনি জংলিদের পছন্দ করেন নিজের দেবতুল্য ইমেজের জন্য, জংলিদের সম্পদ দিয়ে নিজের ভাগ্য গড়ে তোলার জন্য। আবার কারৎ্জ প্রেমিকপুরুষও বটে। বুনো প্রান্তরে তিনি একদিকে যেমন এক বনহরিণীর মন জয় করে নেন, তেমনি নিজ দেশেও তাঁর রয়েছে এক সুন্দরী বাগদত্তা-কারৎ্জ-এর মৃত্যুতে যে বিরহব্যথায় মোহ্যমান হয়ে বেছে নেয় চিরশোকের জীবন। উপন্যাসটির কাহিনীবিন্যাস প্রাঞ্জল এবং সুদৃঢ়। চরিত্র এবং ঘটনা চিত্রণে অসামান্য দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন কারৎ্জ। মানুষের মনের মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ এসেছে অত্যন্ত জোরালোভাবে। ‘হার্ট অভ ডার্কনেস’-এ আত্মজীবনীমূলক উপাদান এত ব্যাপকভাবে এসেছে, কাহিনী বর্ণনাকারী মারলোকে সুস্পষ্টভাবে লেখক কনরাডের প্রতিভূ বলা যায়। তবে দুজনের মাঝে প্রচুর সাদৃশ্য থাকলেও পার্থক্য একটু রয়েছে। কাহিনীর প্রায় সব চরিত্র এবং ঘটনা প্রতীকী ব্যঞ্জনার মাধ্যমে ইঙ্গিতপূর্ণভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।
জোসেফ কনরাড এর হার্ট অব ডার্কনেস এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 106.25 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। hart of darknes by Joseph Conradis now available in boiferry for only 106.25 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.