সচেতন শু জিজ্ঞাসু মনের মানুষ হিসেবে আমাদের বইয়ের গঞ্জির মধ্যে সময়ুযাপনের এক ধরনের পদ থাকে, যদিও জাগতিক বস্তায় না অনেক সময় উপেক্ষিত হয়। তবে নাগরিক সমাজে বইয়ের গুরুত্ব আমরা প্রণিধানযােগ্য হিসেবে। গণ্য করি। আমাদের সকল শিক্ষার মৌল উপকরণ জীবন-অতিতা; আর তা আহরণ হয় প্রকাশের পথ এই বই। গত শতাব্দীর মধ্যভাগে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের ফলে পূর্ববঙ্গের বান্নালিলের মাঝে রেনেসার সৃষ্টি হয়েছিল। মানুঘে বই পড়ার আগ্রহ দারুণভাবে তৈরি হয়েছিল। নই পড়ান্ত এই অগিদের তুলনায় সে সময় বই সরবরাহের গতি ছিল কম। কিন্তু বারে এখন অনেক বই, যদিও ভালাে বই অনেক কম। অন্যদিকে বই পড়ার ক্ষেত্রেও এখন অনেকটা ভাটার টান। অনেকেই মনে করেন, সর্বনাশা কিছু প্রযুক্তি মানুষকে বইবিমুখ করে তুলছে। এসব নেতিবাচক কারণ। আমাদের প্রকাশনা-আপকে প্রভাবিত করছে। সভ্যতা বিকাশের একটি পর্যায়ে প্রাচীনকাল থেকেই মুদ্রণ ও প্রকাশনা বড় ভূমিকা পালন করে এসেছে। বলা যেতে পারে, মুদ্রণশিল্পের বিকাশের ইতিহাস পৃথিবীর সভ্যতার ইতিহাসের হাত ধরে এগিয়ে চলেছে। মুদ্রণশিল্পের বিকাশে চীন ও কোরিয়ার ঐতিহাসিক অবদান স্বীকার্য হলেও দক্ষিণ এশিয়ায় প্রকাশনাশিল্পের অগ্রগতি ধীরে চলেছে, বিশেষ করে আমাদের দেশে। বিংশ শতাব্দী একবিংশ শতাব্দীতে মুদ্রণ ও প্রকাশনা প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়ন হলেও এ দেশে প্রকাশনা পেশা এখনাে শক্ত ভিতের ওপর গড়ে ওঠেনি। সে কারণে প্রকাশনা এখনাে শিল্পের মর্যাদা পায়নি। এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলােও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে তা এখনাে তেমন গুরুত্ব পায়নি। আমরা জানি যে, বর্তমান সরকারের মুদ্রণ শিল্পনগরী করার পরিকল্পনা রয়েছে। মুদ্রণ ও প্রকাশনা ক্ষেত্রে এ এক ধাপ অগ্রগতি।