কেন এ প্রয়াস?

গল্প, হ্যাঁ ... গল্পের প্রতিই ইদানীং উঠতি বয়সের তরুণযুবকদের প্রচণ্ড ঝোঁক। অসীম আগ্রহ। অথচ গল্প হল, মনে মনে একটি প্লট তৈরী শ্বা। একটি কাহিনী বানানাে। তারপর ভাষার লালিত্য ও সুষমায় তা সুন্দর করে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করা। পাঠকের মনােরঞ্জন করে তােলা।
ইদানীং গল্প লেখার এ কৌশলে সত্যের কোন ছোঁয়া থাকে । সুন্দর কোন আদর্শে পাঠককে উজ্জীবিত করার ব্যগ্রতা থাকে না। থাকে অশ্লীলতার নগ্ন চিত্রায়ন, প্রেম-ভালবাসার স্বপ্নীল হাতছানি, বিচ্ছেদ-বেদনার মাধুর্যের ফানুল আর যৌন আবেদনের বিট লবন ।
এ সব গল্পের কারিশ্মা আজ যুবসমাজকে নিয়ন্ডর টেনে নিয়ে যাচ্ছে নিকষ কালাে অন্ধকার গহঘরে। ধ্বংস ও অধঃপতনের প্রস্ত সীমায়। অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, এদেশের তথাকথিত একদল বুদ্ধিজীবী, জুরানীগুণী ও প্রতিষ্ঠিত লেখক এ আসরের পুরােধা। সমাজে এদের অনেক কদর।

অথচ শিক্ষা-দীক্ষা ও অজ্ঞান চর্চার পবিত্র এ অঙ্গনকে এরাই কলুষিত করছে। অন্ধকারে নিমজ্জিত করছে। এরা সমাজকে কোথায় নিয়ে যেতে চায়? কী এদের উদ্দেশ্য? এটা আজ প্রশ্নবিদ্ধ। তাই এদের প্রতিহত করতে চাই আন্দোলন। চাই অপ্রতিরােধ্য দ্রোহ। চাই প্রতিবাদ আর প্রতিবাদ। কি ব্লাস্তায় নামার আগে সুশীল সাহিত্যের ধারা সৃষ্টি করতে হবে। বিতর সাহিত্য ফোরাম তৈরি করতে হবে। কিন্তু কোথায় সেই শক্তি? কোথায় সেই মননশীল চিন্তা ও মেধা?
‘গল্প নয়, তবে সেই আন্দোলনের একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস। পুঞ্জীভূত অন্ধকারের মাঝে মিটমিটে আলাের বিচ্ছুরণ। বিশাল মহীরুহের এক দ্ৰ বীজের রোপন। এর পশ্চাতে রয়েছে বিশাল কাফেলা। আগের আবাবিল।
হে আগ্রহ, একে এ পথে এক ক্ষুদ্র মাইলফলক হিসেবে কবুল করুন। আমাদের চির ঘি ফয়সালা করুন। আমীন।