বিষণ শংকিত মন। ক্লান্তি ছেয়ে আছে চোখে-মুখে। নিষ্ঠুর কাফেরদের সাথে মুসলিম মুজাহিদদের লড়াই আজ। কী ঘটতে যাচ্ছে আজ কে জানে। কলসী হাতে ভাবছেন আর সামনে পা ফেলছেন। হয়ত ভাবছেন “যদি নারী না হয়ে পুরুষ হতাম তবে আজ দেখিয়ে দিতাম। হঠাৎ কিছু ভেবে উঠার আগেই হাত থেকে কলসী ফেলে দৌড়ে এলেন। সামনের দিকে। চোখ বড় বড় করে তাকাচ্ছিলেন আশপাশে। নিন্দা জানালেন সরে যাওয়া সাহাবীদের প্রতি। তিরস্কারও করলেন তাদেরকে। ভাতিজা মুহাম্মদকে ময়দানে একা ফেলে সবাই যার যার পথ ধরছে। তাই নিজেই এগিয়ে এলেন ভাতিজার পাশে। গত মঙs অশ। ভি তুলনাহীন, দৃঢ় পত্যয়ী, বিচক্ষণ ও বুদ্ধিমতি ছিলেন তিনি। কাফেরদের বিপক্ষে ছিলেন আকুতভয়। শত দূর্যোগ মুকাবেলায় ছিলেন অটল ও অবিচল। তিনি প্রিয় নবীজীর সম্মানিত ফুফু হযরত সাফিয়্যা রাযিয়াল্লাহু আরবের সম্মানিত ও প্রসিদ্ধ গােত্রের নারী। কুরাইশের সম্মানিত ব্যক্তি আব্দুল মুত্তালিবের আদরের মেয়ে। বীর সিপাহসালার হযরত হামযা। রাযিয়াল্লাহু আনহুর বােন। অন্যতম সাহাবী হযরত যােবায়ের ইবনে আওয়ামের গর্বিত মা। নবীজীর প্রিয়তমা সহধর্মীনী হযরত খাদীজা রাযিয়াল্লাহু আনহার ভাই আওয়াম ইবনে খুওয়াইলিদ তার স্বামী। সর্বদিক দিয়ে তিনি অনন্য। নবীজীর প্রতি তার ছিলাে পরম ভালােবাসা। ভাতিজা হিসেবে নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বহু আদর পেতেন ফুফু সাফিয়্যা থেকে। সাফিয়্যা রাযিয়াল্লাহু আনহা বহু আগেই জেনেছেন নিজ বংশ মর্যাদা কথা। তিনি জানতেন, এ বংশেই জন্ম নিবে আল্লাহর সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠনবী। নবীর শৈশবেই সাফিয়্যা যদি জানতাে, ভাতিজা মুহাম্মদই ঐ শ্রেষ্ঠ মানুষ, তাহলে হয়ত এত কষ্ট হতাে না শিশু মুহাম্মদের। মা-বাবা হারানাে ব্যাথার লাঘব হতে অনেকটাই।