Loading...

ফেরিওলা (হার্ডকভার)

স্টক:

১০০.০০

একসাথে কেনেন

বর্ষাকালটা ফেরিওলাদের অভিশাপ। পুলিশ জ্বালায় বারােমাস। দুমাসে বর্ষা হয়রানির একশেষ করে। পথে ঘুরে ঘুরে যাদের জীবিকা কুড়িয়ে বেড়ানাে তাদের প্রায় পথে বসিয়ে দেয়। না থুবলে পয়সা নেই ফেরিওলার। তার মানেই কোনােমতে পেট চালানােরও বরাদ্দ নেই। আকাশ পরিষ্কার দেখেই জীবন বেরিয়েছিল। ঘণ্টাখানেক ঘুরতে না ঘুরতে বৃষ্টি নেমে এসেছে। পরানাে জীর্ণ শাড়িটা ঢাকা বারান্দায় আশ্রয় নিয়ে মনে মনে সে বর্যাকে অভিশাপ দেয়। কিন্তু দেহটা যেন সায় দিতে রাজি হয় না। খানিকক্ষণ বিশ্রাম করার সুযােগটাকে সাগ্রহে বরণ শশতে চায়। দিন দিন যেন আবও বেশি বেশি দুর্বল মনে হচ্ছে শরীরটা। বর্ষা বনি সেধেছে রােজগাবে, খাওয়া আরও কমে গেছে আপনা থেকে, সেই জন্য কী ?
Ferioyala,Ferioyala in boiferry,Ferioyala buy online,Ferioyala by Manik Bondhopadhai,ফেরিওলা,ফেরিওলা বইফেরীতে,ফেরিওলা অনলাইনে কিনুন,মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর ফেরিওলা,Ferioyala Ebook,Ferioyala Ebook in BD,Ferioyala Ebook in Dhaka,Ferioyala Ebook in Bangladesh,Ferioyala Ebook in boiferry,ফেরিওলা ইবুক,ফেরিওলা ইবুক বিডি,ফেরিওলা ইবুক ঢাকায়,ফেরিওলা ইবুক বাংলাদেশে
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর ফেরিওলা এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 100 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Ferioyala by Manik Bondhopadhaiis now available in boiferry for only 100 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
ধরন হার্ডকভার | ৬৮ পাতা
প্রথম প্রকাশ 2022-10-18
প্রকাশনী উইনার্স বাজার
ISBN:
ভাষা বাংলা

ক্রেতার পর্যালোচনা

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
লেখকের জীবনী
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (Manik Bondhopadhai)

শ্রমজীবী মানুষের সংগ্রাম, মধ্যবিত্ত সমাজের কৃত্রিমতা, নিয়তিবাদ ইত্যাদি বিষয়কে লেখার মধ্যে তুলে এনে বাংলা সাহিত্যে যিনি অমর হয়েছেন, তিনি হলেন প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়। খ্যাতিমান এই সাহিত্যিক ১৯০৮ সালের ১৯ মে বিহারের সাঁওতাল পরগনায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রকৃত নাম প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, আর মানিক ছিলো তাঁর ডাকনাম। বাবার বদলির চাকরিসূত্রে তাঁর শৈশব, কৈশোর ও ছাত্রজীবন কেটেছে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে, যার ফলে বিভিন্ন অঞ্চলের পটভূমিতে বিভিন্ন সাহিত্য রচনা করেছেন তিনি। প্রবেশিকা ও আইএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় গণিত বিষয়ে অনার্স করতে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। এখানে পড়াশোনাকালে বন্ধুদের সাথে বাজি ধরে তিনি 'অতসী মামী' গল্পটি লেখেন। সেই গল্পটি বিখ্যাত 'বিচিত্রা' পত্রিকায় ছাপানো হলে তা পাঠকনন্দিত হয় এবং তিনি সাহিত্যাঙ্গনে পরিচিত হয়ে ওঠেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি সাহিত্য রচনায় পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন, যার ফলে তাঁর পড়াশোনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এবং তিনি আর পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি। তাঁর হাতে বাংলা সাহিত্যে এক বৈপ্লবিক ধারা সূচিত হয় ঐ সময়ে, যখন সারা পৃথিবী জুড়ে মানবিক বিপর্যয়ের এক চরম সংকটময় মুহূর্ত চলছে। কমিউনিজমের দিকে ঝুঁকে যাওয়ায় তাঁর লেখায় একসময় এর ছাপ পড়ে এবং মার্ক্সীয় শ্রেণীসংগ্রাম তত্ত্ব দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বই সমগ্র। ফ্রয়েডীয় মনোসমীক্ষণেরও প্রভাব লক্ষ্য করা যায় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচনাসমগ্র-তে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বই সমূহ এর মধ্যে 'পদ্মানদীর মাঝি', 'দিবারাত্রির কাব্য', 'পুতুলনাচের ইতিকথা', 'শহরতলি', 'চতুষ্কোণ', 'শহরবাসের ইতিকথা' ইত্যাদি বিখ্যাত উপন্যাস, এবং 'আত্মহত্যার অধিকার', 'হারানের নাতজামাই', 'বৌ', 'প্রাগৈতিহাসিক', 'সমুদ্রের স্বাদ', 'আজ কাল পরশুর গল্প' ইত্যাদি গল্পগ্রন্থ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা রচনার কিছু নিদর্শন থাকলেও সেগুলো তেমন উল্লেখযোগ্যতা অর্জন করেনি। অসামান্য এই কথাসাহিত্যিক মাত্র ৪৮ বছর বয়সে ১৯৫৬ সালের ৩ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

সংশ্লিষ্ট বই