আজ বান্ধবী রোদেলাকে একটি সোনালী কলম উপহার দিয়েছে! কলমটার সৌন্দর্যে মুগ্ধ রোদেলা। মনে আনন্দ নিয়ে বান্ধবীর দেওয়া কলমের মাধ্যমেই আজকের ডাইরিটা লিখলো রোদেলা। আনন্দের হাসিটা ধীরে ধীরে মলিন হয়ে গেল যখন অভ্যাসমত আগের লেখাগুলোও পড়া শুরু করল রোদেলা। ভাইয়ের মৃত্যুর পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত রোদেলার সঙ্গে কথা বলেছিল। সে তার বোনকে কিছু বলতে চেয়েছিল কিন্তু বলার সময় পাইনি! মাঝেমধ্যে জানতে ইচ্ছে করে ভাই কী বলতে চেয়েছিল? যদি একবার তার কাছ থেকে শুনতে পারতাম! কথাটা প্রতিবারের মতোই আজকেও ডাইরি লেখার পর শেষে লিখল রোদেলা। হঠাৎ, মাঝরাতে আকস্মিক আওয়াজে রোদেলার ঘুম ভাঙলো। এই আওয়াজটা হঠাৎ কণ্ঠে রূপান্তরিত হলো!
“রোদেলা”! —এই কণ্ঠস্বর তার অতিপরিচিত! কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব? সে কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধ হয়ে গেল! সে কী ভুল শুনছে? এটা তাঁর ভাইয়ের কণ্ঠস্বর! কিন্তু তার ভাই কীভাবে আসবে এখন? রোদেলা ভয় পেলেও প্রকাশ না করে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করল। সেই কণ্ঠস্বরের পিছু নিল সে। কণ্ঠটা আসছে বাসার পেছনের পুকুরপাড়ের পাশের সেই বাগানের দিক থেকে! এতরাতে একা বাগানের দিকে যাওয়ার সময়ও সে নিজের ভয়কে নিয়ন্ত্রণ করার ব্যর্থ চেষ্টা করছিল! এই বাগানের এদিকে এখন সে আসেনা, তার মনে পড়ে যায় সেই স্মৃতিগুলো। তাঁর ভাইয়ের সাথে কাটানো জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময়টার কথা! ভুলতে চাইলেও ভোলা যায়না! আপন ভাইয়ের সাথে কতটা সময় সে এই বাগানে খেলতে খেলতে কাটিয়ে দিয়েছিল। মন খারাপ হলেও মন ভালো হওয়ার জায়গা ছিল বাগানটা! সেদিনের সেই মুহূর্তগুলো আজ শুধুই স্মৃতি! তবে স্মৃতি হলেও ভাইয়ের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো সবসময় জীবন্ত। পুরাতন স্মৃতি ভাবতে ভাবতেই বাগানের
অনেকটা গভীরে চলে এসেছে রোদেলা। প্রথম ধাক্কাটা তখনই আসলো যখন সে কল্পনার জগতের বাইরে এসে বাস্তবে পড়ল। মাঝরাতে সে এখন বাগানের গভীরে! এতটাই গভীরে যে সে এখানে দাঁড়িয়ে বাগানের শেষপ্রান্ত দেখতে পাচ্ছে। কিন্তু এবার সে ভয়ের সঙ্গে প্রচণ্ড ঘাবড়ে গেল যখন অনুভব করল সে সেই বটগাছের পাশেই দাঁড়িয়ে আছে! এটাই সেই গাছ যেখানে তার ভাইকে কবর দেওয়া হয়েছিল। তার মাকে মৃত পুত্র এবং দুই কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার অপরাধে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়েছিল! তবে রোদেলার বড়বোন এখন কোথায় সেটা সকলেরই অজানা! মায়ের সেই জীবন্ত কবরের সাক্ষী সে নিজেই! বট গাছের ডালগুলো এখন যেন একটু নড়ে উঠলো! ভীত হয়েই এক দৌঁড়ে ঘরে ফেরার সময় অনুভব করল সে একই স্থানেই বারবার ফিরে আসছে! এসব কী হচ্ছে! এরমধ্যেই সেই কণ্ঠস্বর বলে উঠল, আমি জানি তুই কেন এখানে আসিস না! তারপরও তোর সত্যটা জানা উচিত।আমরা দুইজনেই সেদিন সাক্ষী ছিলাম মায়ের মৃত্যুর! কিন্তু তুই কী জানিস এর আড়ালে কে ছিল? এক ছদ্মবেশী! যে এতদিন আমাদের বাবার পরিচয়ে আত্মগোপন করে ছিল! আর...—কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব? বাবা কোথায়?
Etikotha,Etikotha in boiferry,Etikotha buy online,Etikotha by Mashfiqul Hasan,ইতিকথা,ইতিকথা বইফেরীতে,ইতিকথা অনলাইনে কিনুন,মাশফিকুল হাসান এর ইতিকথা,978-984-97000-2-9,Etikotha Ebook,Etikotha Ebook in BD,Etikotha Ebook in Dhaka,Etikotha Ebook in Bangladesh,Etikotha Ebook in boiferry,ইতিকথা ইবুক,ইতিকথা ইবুক বিডি,ইতিকথা ইবুক ঢাকায়,ইতিকথা ইবুক বাংলাদেশে
মাশফিকুল হাসান এর ইতিকথা এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 224.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Etikotha by Mashfiqul Hasanis now available in boiferry for only 224.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.
মাশফিকুল হাসান এর ইতিকথা এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 224.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Etikotha by Mashfiqul Hasanis now available in boiferry for only 224.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.