"ঈদে মিলাদুন্নবী"বইটির ভূমিকা:
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, নাহমাদুহু ওয়া সাল্লী আলা রাসূলিহীল কারীম। আম্মা বাদ, রাসূলুল্লাহ এমন নবী, মানব জাতির সৃষ্টির শুরুতেই যার মর্যাদার কথা লিপিবদ্ধ হয়েছিল মহান রবের দরবারে। ইবরাহীম (আ) এর দোয়ার বাস্তবায়নে ইসমাঈল (আ) এর বংশে আরবে শ্রেষ্ঠতম কুরাইশ বংশে রাসূলুল্লাহ 4 জন্মগ্রহণ করেন। সহীহ হাদীস থেকে জানা যায় যে, তিনি সােমবার জন্মগ্রহণ করেন। আবু কাতাদা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ কে সােমবার দিন রােযা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। তিনি বলেন “এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এই দিনেই আমি নবুয়্যত পেয়েছি।” রাসূলুল্লাহ সঃ এর জন্ম নিঃসন্দেহে উম্মাতের জন্য মহা আনন্দের বিষয়। তবে এ আনন্দ প্রকাশ যদি রাসূলুল্লাহ : ও তাঁর সাহাবীগণের সুন্নাত অনুসারে হয় তাহলে তাতে সাওয়াব হবে। রাসূলুল্লাহ * এর মীলাদ বা জন্মে আমাদের আনন্দ রাসূলুল্লাহ ও তাঁর সাহাবীগণের সুন্নাত অনুসারে করতে পারলে আমরা এতে অফুরন্ত সাওয়াব ও বরকত লাভ করতে পারব। মীলাদ পালনের সুন্নাত পদ্ধতি হলাে প্রতি সােমবার সিয়াম পালনের মাধ্যমে। আল্লাহর দবরারে শুকরিয়া জানানাে । রাসূলুল্লাহ ঃ নিজে আমাদের এ পদ্ধতি শিখিয়েছেন। এ ছাড়া আমরা দেখেছি যে, মূসা (আ) ও পরবর্তীকালে রাসূলুল্লাহ আশূরার দিন সিয়াম পালন করেছেন। রাসূলুল্লাহ এর মীলাদ বা জন্মে আনন্দ প্রকাশের দ্বিতীয় সুন্নাত পদ্ধতি হলাে সর্বদা তাঁর উপর দরুদ ও সালাম পাঠ করা । তিনি আমাদের জন্য যা করেছেন আমরা জীবন বিলিয়ে দিলেও তার সামান্যতম প্রতিদান দিতে পারব না, কারণ আমরা হয়ত আমাদের পার্থিব সংক্ষিপ্ত জীবনটা বিলিয়ে দিলাম, কিন্তু তিনি তাে আমাদের পার্থিব ও পারলৌকিক অনন্ত জীবনের সফলতার পথ দেখাতে তাঁর মহান জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। তাই রাসূলুল্লাহ , এর প্রতি আমাদের নূন্যতম দায়িত্ব যে আমরা সর্বদা তাঁর জন্য সালাত ও সালাম পাঠ করব। আল্লাহর যি ও সালাত সালামের জন্য ওযু করা শর্ত নয়, তবে তা উত্তম। বসে, শুয়ে, দাঁড়িয়ে, হাঁটতে হাঁটতে, ওযুসহ বা ওযুছাড়া সর্বাবস্থায় সালাতসালাম পাঠ করতে হবে। বিভিন্ন সহীহ হাদীস থেকে জানা যায় যে, একবার সালাত পাঠ করলে বান্দা নিম্নের সাত প্রকার পুরস্কার লাভ করে: একবার দরুদ পাঠ করলে
(১) মহান আল্লাহ দরুদ পাঠকারীর দশটি গােনাহ ক্ষমা করেন।
(২) দশটি সাওয়াব দান করেন
(৩) দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন
(৪) দশটি রহমত দান করেন
(৫) ফিরিশতাগণ তার জন্য দুআ করতে থাকেন।
(৬) ফিরিশতাগণ পাঠকারীর নাম ও তার পিতার নামসহ তার সালাত রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পবিত্র রাওয়ায় পৌছে দেন।
(৭) তিনি নিজে এবার সালাত পাঠকারীর জন্য ১০ বার দুআ করেন। বেশি বেশি সালাত পাঠকারীর জন্য রয়েছে অতিরিক্ত দুটি পুরস্কার: প্রথমত আল্লাহ তার সমস্যা ও দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দিবেন এবং দ্বিতীয়ত: রাসূলুল্লাহ সাঃ এর শাফায়াত তাঁর পাওনা হবে।সালাতের সাথে সাথে সালাম পাঠ করতে হবে। তাঁর উপর সালাম পাঠ করলে, স্বয়ং আল্লাহ সালাম পাঠকারীকে সালাম প্রদান করেন, সালাম রাসূলুল্লাহ এর রাওযা মুবারাকায় ফিরিশতাগণ পৌছে দেন এবং তিনি সালামের উত্তর প্রদান করেন। রাসূলুল্লাহ ও এর আগমনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অন্যতম দিক হলাে তাঁর মহান শিক্ষা ও পবিত্রতম চরিত্রের কথা বিশ্ববাসীকে জানানাে। রাসূলুল্লাহ সাঃ এর প্রতি ঈমান এনে, তাঁর শরীয়ত মােতাবেক জীবন গঠন করে, তার সুন্নাতের পরিপূর্ণ অনুসরণ করে, সদা সর্বদা তাঁর উপর দরুদ সালাম পাঠ করে, সাধ্যমত বেশি বেশি তার জীবনী ও হাদীস পাঠ করে ও শ্রবণ করে নিজেদের জন্য নতুন জীবনের নতুন জন্ম লাভ করা। এই তাে হলাে সর্বোচ্চ সফলতা। আল্লাহ আমাদের সকলকে তাওফীক প্রদান করুন। আমীন।
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর এর ঈদে মিলাদুন্নবী এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 24.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Eide Miladunnobe by Dr. Khandaker Abdullah Jahangiris now available in boiferry for only 24.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.