হলে যে কয়টি দল আছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এবং অ্যাকটিভ হলাে দুষ্টদের দল। এছাড়াও পাজিদের দল, হারামিদের দল। হারামিদের দলের সাথে কেউ মিশতে যায় না। তাদের কেউ রাগাতেও যায় না। কারণ তারা হারামি। যে কোনাে সময় তারা যে কোনাে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে। তবে এর জন্য এ দলটিকে কম খেসারত দিতে হয়নি। হারামিদের দলের এক সদস্য স্কুল থেকে ইতােমধ্যেই বহিষ্কার করা হয়েছে । হারামিদের হারামি তবু যায় না। তারা এখনও বুক ফুলিয়ে বলে বেড়ায় আমরা হারামি। আর পাজিদের দলের কথা বেশি না বলাই ভালাে। পাজিরা দুষ্টুদের কাছাকাছি। হলেও তারা সবার সামনাসামনি পাজ্জামি করে। কয়েকদিন আগে তাদের সাথে বজ্জাত দলের একটা দারুণ মারামারি হয়ে গেল। হলের প্রভােস্ট ম্যাডাম এ জন্য দুই পাজি আর দুই বজ্জাতকে দুই ঘণ্টা কানে ধরে সবার সামনে দাঁড়িয়ে রেখেছিল। তবে দুষ্টদের দলটা একটু অন্য রকম। তারা। কারাে সামনে দুষ্টুমি করে না। তাদের দুষ্টুমিগুলাে গােপনে গোপনে। কিন্তু অনেকেই পরে বুঝতে পারে কাজটা নিশ্চিত দুষ্টদের দলের। এ দলে আছে ঝিনুক, মায়ামি, নিসা ও জাগলি। তারা চারজনই মেধাবী। তবে জাগলি তাদের মধ্যে লেখাপড়ায় সবচেয়ে ভালাে। একজন লেখাপড়ায় ভালাে হলেও অন্যরা তাকে নিয়ে হিংসে করে না। দুষ্টদের এ দল কিছুদিন আগে স্কুলের। ৬ ম্যাডামকে একটা আছাড় খাইয়েছে। তার কারণও আছে। ম্যাডাম। ‘র দলের নিসাকে ইচ্ছে করেই মেরেছিল। ম্যাডাম অবশ্য তার দোষ , মছে। নিসা নাকি তার মেয়ে মিইনিকে বেড়ালছানা বলেছে। তাই নিসার পিঠ সেদিন ভেসে গিয়েছিল রক্তে। কিন্তু দুষ্টু তার শাস্তিও নি। কয়েকদিন পরই স্কুলে তারা পােস্টার দিয়েছে। অবশ্যই তা ছিল গােপনে। সেখানে হেড ম্যাডামের নাম দেয়া হয়েছিল বাঁদরবুড়ি। দেখিয়েছে। নিস না! বিচার । নিসার পিঠ সােন কম দেয়নি। কয়েকদি গােপনে গােপনে।