কলেজে বিএ ক্লাশে ভর্তি হয়ে বাড়ি প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সৈয়দের সাথে তার পিতার মনােমালিন্য হয়ে গেল। বিষয়টা খুব বড় নয়, কিন্তু সৈয়দের জন্য বড় হয়ে দাঁড়ায়। | সৈয়দের মাতার মৃত্যু হয়েছে বছরও পার হয়নি। দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে মা মারা গেলে তার পিতা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে। মাঝে সৈয়দ। পরেরটিও মেয়ে, পারু বা পরুিল। তারও বিয়ের সময় ঘনিয়ে এসেছে। এ সময় বাবা বিয়ে না করলেও পারতেন। কিন্তু স্ত্রীতে অভ্যস্ত পিতা তাদের সর্বগুণান্বিতা মায়ের স্মৃতি বেমালুম ভুলে যথেষ্ট বিলম্ব না করেই বিমাতাকে বিয়ে করে আনেন। | সন্তানেরা এটাকে সুদৃষ্টিতে দেখে না। বড় মেয়ে মনের দুঃখে বাপের বাড়ি আসা ছেড়ে দেয়। সৈয়দ ও পার এই মহিলাকে মা ডাকতে পারে না। তাদের মা ছিলেন রূপসী, স্বাস্থ্যবতী এবং বহু গুণের অধিকারিণী । সমস্ত গ্রামের মধ্যে তার মায়ের সমকক্ষ আর কাউকে খুঁজে পাওয়া যেত না। সেই মায়ের স্থলে তার পিতা এবার যাকে ঘরে নিয়ে আসেন তাঁকে মায়ের সাথে তুলনা করে ভাই-বােন তাদের পিতার। রুচিবােধকে প্রশংসা করতে পারে না। প্রকাশ্যে কিছু বলা সম্ভব নয়, নীরব প্রতিবাদ স্বরূপ তারা বিমাতাকে কোন প্রকার সম্বােধন করা থেকে বিরত থাকে। মধ্যবয়সী কৃষ্ণাঙ্গী এই মহিলা অবশ্য নানাভাবে তাদের মন জয় করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ভাইবােনের অঘােষিত অসহযােগের সঙ্গে কুলিয়ে ওঠতে পারেন না। | তারা অন্য কোনভাবে তাদের অপছন্দের কথা প্রকাশ করে না। কেবল তাকে মা হিসাবে স্বীকৃতি দেয় না, দেওয়া সম্ভব নয়। ne affror of a