অসংখ্য রাজা, মহারাজা, সুলতান, নওয়াব এবং স্বাধীন শাসকদের দ্বারা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে শাসিত শত শত স্বাধীন ভূখণ্ডে বিভক্ত ভারতকে একটি বিশাল সাম্রাজ্যে পরিণত করে তিনশাে বছর পর্যন্ত একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ। প্রতিষ্ঠার একক কৃতিত্ব মােগল রাজবংশের । মােগলরা এক পর্যায়ে দিল্লিকে বেছে নেয় তাদের রাজধানী হিসেবে এবং দিল্লি বিকশিত হয়ে উঠে মােগল আমলেই। সম্রাট শাহজাহান-এর শাসনামল থেকে পরবর্তী মােগল শাসকরা দিল্লি থেকে তাদের রাজধানী আর স্থানান্তর করেননি। ১৮৫৭ সালে মােগল শাসনের আনুষ্ঠানিক অবসানের পর ইংরেজরা দিল্লির ওপর তাদের পুরাে কজা প্রতিষ্ঠা করলেও ভারতে বৃটিশ শাসন পরিচালিত হত কলকাতা থেকে। ১৯১১ সালে রাজধানী স্থানান্তরিত হয় দিল্লিতে এবং বৃটিশ কর্তৃপক্ষ নতুন করে দিল্লিকে গড়ে তুলতে শুরু করে । কিন্তু এর ৩৬ বছর পর ১৯৪৭ সালে ভারতে বৃটিশ শাসনের অবসান ঘটে। স্বাধীন ভারতের রাজধানী দিল্লি আরও সমৃদ্ধ হয়ে উঠতে থাকে । এত পরিবর্তন এবং এত সমৃদ্ধির পরও দিল্লি, বিশেষ করে পুরনাে দিল্লি অবিশ্বাস্যভাবে এখনাে মােগল ও মুসলিম দিল্লিই রয়ে গেছে । বিশাল বিশাল মােগল স্থাপনা অযত্নে অবহেলায় মলিন হয়ে গেছে, ইট-পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে। মােগল। দিল্লির নামনিশানা মুছে ফেলার চেষ্টার কোনাে ত্রুটি ইংরেজদেরও ছিল না, স্বাধীন ভারতের শাসকদেরও নেই । কিন্তু দিল্লির সাথে মিশে আছে মােগল কীর্তি, যা বিলীন হয়নি। অযত্ন আর অবহেলাই যেন মােগল ঐতিহ্যকে আরও উজ্জ্বল করে তুলেছে। সীমাহীন কল্পনা ও কাহিনির উৎস হিসেবে অস্তিত্বকে টিকিয়ে রেখেছে। উইলিয়াম ড্যালরিম্পল তার যৌবনে কর্মসূত্রে দিল্লিতে এসে মােগল দিল্লির প্রেমে পড়ে যান এবং তার উপলব্ধি তুলে ধরেছেন ‘সিটি অফ জ্বিনস' গ্রন্থে', যা পাঠককে নিয়ে যাবে মােগল দিল্লির অলিগলিতে এবং সেখানকার বাসিন্দাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে, যারা এখনাে তাদের চিন্তাচেতনায়, আচার-আচরণে, খাদ্যাভ্যাস ও বিনােদনে মােগল ঐতিহ্যকেই ধারণ করে আছেন।
উইলিয়াম ড্যালরিম্পল এর দিল্লি : সিটি অফ জ্বিনস এখন পাচ্ছেন বইফেরীতে মাত্র 510.00 টাকায়। এছাড়া বইটির ইবুক ভার্শন পড়তে পারবেন বইফেরীতে। Delhi City Of Jbinns by William Dalrympleis now available in boiferry for only 510.00 TK. You can also read the e-book version of this book in boiferry.